দুই সহোদর সহোদরা আবরার শাহরিয়ার স্বপ্নীল ও সুবহা নাওয়ার পুষ্পিতার লেখা রোবটিকসের মাস্টারপ্ল্যান বইটি সম্পর্কে লিখতে দ্বিগুণ আনন্দ অনুভব করছি— নতুন প্রজন্মের এই দুজন তরুণ-তরুণী রোবটিকস করে যে আনন্দ পেয়েছে তা সমবয়সীদের মধ্যে ভাগ করে উপভোগ করার মাধ্যমে তাদের যে সমাজসচেতনতা প্রকাশ পেয়েছে তার জন্য আর দ্বিতীয় হলো বংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের জন্মলগ্নে শিক্ষক, ল্যাব, জায়গা, পাঠ্যপুস্তক কিংবা সিলেবাসের অভাব জেনেও সারা দেশের সবচেয়ে মেধাবী যে ছাত্ররা এই বিভাগে ভর্তি হয়েছিল সেই প্রথম ব্যাচের ছাত্র শাহ আলম পাটোয়ারির তারা যোগ্য সন্তান। উভয়েই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। রোবটিকস শেখার জন্য যে ধারণাগুলো প্রয়োজন তা যথাযথ ক্রমিকে বইয়ে সন্নিবেশিত হয়েছে- মাইক্রোকন্ট্রোলার, মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ, সিগন্যাল, সেন্সর, ডায়োড, ট্রান্সফর্মার, পাওয়ার সাপ্লাই ইত্যাদি। নানা যন্ত্রাংশের ছবি দিয়ে বইটিকে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। কিছু প্রোগ্রামের অংশও জুড়ে দেওয়া হয়েছে যাতে পাঠক তার ফলাফল সরাসরি দেখতে পারে। আমাদের তরুণ প্রজন্মের রোবটিকসের প্রতি উৎসাহ বৃদ্ধিতে এবং তাদের জ্ঞানকে সুশৃঙ্খল করতে এই বইটি প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি। মোহাম্মদ কায়কোবাদ অধ্যাপক (অবসরোত্তর ছুটিভোগরত) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ফেলো, বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস
আবরার শাহরিয়ার স্বপ্নীল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রপ্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার শাহরিয়ার স্বপ্নীল। সায়েন্স ফিকশন মুভি থেকে ছোটবেলায় রোবটিকসের প্রতি আগ্রহের সূচনা। উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষ থেকে রোবটিকসের কাজ করা শুরু। পরবর্তীতে এই আগ্রহের পথ ধরে মাইক্রোকন্ট্রোলার, মাইক্রোকম্পিউটারভিত্তিক সিস্টেম থেকে শুরু করে ত্রিমাত্রিক ডিজাইনের ওপর অনেক কাজ রয়েছে। রোবটিকসের ভিশন সিস্টেম, বায়োমেকানিকস, এক্সোস্কেলেটনের ওপর বর্তমানে গবেষণারত।