"ব্ল্যাক ডায়মন্ড" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: টিপটাপ করে গােছানাে ফ্ল্যাটটাতে বড় অস্বস্তি হতাে সােবহান সাহেবের। সৌখিনের ল্যাপটপ অন করে কিছু কাজ করার সময় কাবার্ডের আড়ালে লম্বামতাে একটা কিছু চোখে পড়লাে তাঁর। প্রথমে গুরুত্ব দিলেন না। কাজ করতে লাগলেন। কাজের মধ্যে আবারও চোখ গেলাে। কাবার্ডের আড়ালে। এবার কৌতূহল দমাতে না পেরে সেদিকে এগিয়ে গেলেন তিনি। হাত বাড়িয়ে টেনে জিনিসটা বের করতেই হতভম্ব হয়ে গেলেন সােবহান সাহেব। এ কী কান্ড!.... স্তম্ভিত সােবহান সাহেব। মাথা কাজ করছে না। তাঁর। তারই সন্তানের এতােটা অধঃপতন হয়েছে আর তিনি সম্পূর্ণ বেখেয়াল। কি করবেন বা কি করা উচিত কিছুই আসছে না। মাথায়। পাশের কামরায় চলে এলেন সােবহান সাহেব। এই ঘরেই থাকছেন ক'দিন হলাে। সারাটা দিন ভীষণ অস্থিরতায় কাটলাে তাঁর। সেই সাথে রাগ, ক্ষোভ আর ঘৃণার মিশ্রণ। তবে এটাও বুঝতে পারছেন ভালােভাবেই, রাগারাগি। করে কোনাে লাভ নেই। নাগরিক জীবনের নানামুখী সমস্যা প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে৷ মানুষ গুলাে কেমন অন্তর্মুখী হয়ে যাচ্ছে। কাছে থেকেও যেনাে যােজন যােজন মাইল দূরত্ব৷ এর পেছনের কারণগুলাে একটু ভাবলেই সুস্পষ্ট হয়ে যায়। চাইলেই যেমন সমাধান করা যায়না তেমনি সমাধান না করলে এর পরিণাম হতে পারে দূর্বিষহ। প্রতিটি মানুষের ভিতরে বাস করে এক পবিত্র আত্মা। খারাপ, মিথ্যা ও অন্ধকারের সংস্পর্শে সে আত্মা দিকভ্রান্ত হয়। পৃথিবীতে নেমে আসে। অশান্তি। ভালাের সংস্পর্শে এলে সে আত্মা আলাে ছড়ায়, পৃথিবী ভরে ওঠে আলােয় আলােয়।