ঘুম ভাঙলাে বেইন্যা বেলা। সূর্যের খোঁচাখুচিতে। যেমন ভাঙে এভরি ডে। টিনের ছ্যাদা দিয়া ঢুইক্যা পড়ে সূর্যের হইলদা জিভ। যেনে সাপ কতগুলা চিকনা চিকনা। বেহুলার বাসরের সুতানালিগুলা। ঘুম ভাঙ্গনের পরে যেইটুক হয় আইলসামি, আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধবের কথা যেমন ভাবে রিতুল, ভাবে সূর্যেরে নিয়াও। রাগ রাগ লাগে। হারামজাদায় রােজ সকালে ঘুম ভাঙ্গায়া দেয় কাকডাকা ভােরে। সুতানালি সাপ হইয়া ঢুইক্যা পড়ে ঘরের আন্ধাইরে। রিতুলের ঘরে সাপ ঢুইক্যা পড়ে কে জানে কেনে! ঘরে কি আছে কোনাে বেওলা? হুদাই সাতসকালে আইসা গরীব ব্যাচলরের ঘুম ভাঙায়া দেওন। এইটা হইলাে কিছু? সূর্যের ভাবসাব দেইখ্যা লুচ্চাও মনে হয় হারামজাদারে। এইভাবে পরের ঘরে আইসা উঁকি দেওনের কী হইলাে? গরীব বইল্যা কি তার মান ইজ্জত নাই? ঘরে তাে বউও নাই যে, উঁকি দিয়া ভালা-মন্দ দেখব কিছু। বউ থাকলে ভালাই হইতাে, কাউয়া ডাকা ভােরে ঘুম ভাইঙা যাওনের পরে এক শট খেলায় শরীরের ম্যাজম্যাজানি কমায়া নেওন যাইতাে, সূর্য বদমাইশটার উঁকি দেওয়া চোউক্ষেরও একটু আরাম হইতাে। রিতুল বারান্দার যে রুমটাতে ঘুমায়, সেইটাও আরেক বেহায়া। সূর্যের চ্যাংড়া আলাের চোদন খাওনের লাইগ্যা অত অত ছ্যাদা বানায়া রাখনের কী দরকার! যেনে বারান্দার এই রুমটাও বাজারি মাগী একটা, ল্যাংটা হইয়া বইসা আছে ছ্যাদাট্যাদা নিয়া। টিনের চাল ও টিনের বেড়ার এইসব ছ্যাদার কারণে রুমটা একেবারেই প্রকৃতি-বান্ধব। রােইদ আর বৃষ্টি, দুইটারেই এনজয় করন যায় বন্ধ ঘরের বিছনায় বইসাই। বর্ষাকালে অবশ্য থালা-বাটি পাইতা রাখন লাগে বৃষ্টিরে রিসিভ করনের লাইগ্যা। থালা-বাটি সেট করন লাগে মাঝে মাঝে মাঝরাইতে ঘুম থাইক্যা জাইগ্যা।