বই নিয়ে কিছু কথাঃ জীবনের গল্প এতটা সুখের নয়। দুঃখ-কষ্ট, দারিদ্রতা আর না পাওয়া নিয়েই বাঁচতে হবে। কত মানুষ শত যন্ত্রণা নিয়ে বাস করছে এই পৃথিবীতে তার হিসেব কারো জানা নেই। কত মানুষ হাসিমুখে কত কষ্টের পাহাড় বয়ে বেড়াচ্ছে তা বুঝা সম্ভব নয়। কতজনের কত পবিত্র স্বপ্ন রোজ রোজ ভেঙে চুরমার হচ্ছে, সে হৃদয় ভাঙার শব্দ কেউ শুনতে পাই না। সামান্য কষ্টের সাথে পরিচিত হয়ে ভেঙে না পড়ে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার নামই জীবন। ক্ষুদ্র পৃথিবীর হাজারো ব্যর্থতা আমাদের জীবনের তুলনায় অতি-নগণ্য। সামান্য ব্যর্থতা আসতেই পারে, তাই বলে কি সুইসাইড করে সেই মূল্যবান জীবনকে বিসর্জন দিতে হবে? বেশ্যাদের কপাল এতটা ভালো হয় না জনাব। আমার জীবনের গল্প শুনে আজ হয়তো আপনার খারাপ লাগছে, কিন্তু বউ করে ঘরে নিয়ে কাল ঠিকই বলবেন, তুই তো একটা বেশ্যা। পরশু যখন কেউ আপনাকে বলবে, একজন বেশ্যাকে ঘরে এনে রেখেছেন কেন? তখন ঠিকই জুতা মেরে তাড়িয়ে দেবেন, তাই না? চাঁদের আলোতে তোমাকে আরো ভীষণ সুন্দর লাগছে। চলো আজকের রাতটা আকাশের চাঁদ দেখে পার করি। অবশ্য তুমি পাশে না থাকলে চাঁদটাকে দেখতে পোড়া রুটির মতো লাগবে। এই তুমি চাঁদ না দেখে আমাকে কী দেখছো? ধার্মিক ছেলের ক্ষেত্রে অন্তত এটুকু শিউর দিয়ে বলতে পারি, একটা ধার্মিক ছেলে কখনো নেশা করে মাতাল হয়ে বাসায় ফিরবে না। তারা সবসময় স্ত্রীর প্রতি কেয়ারিং হয়। তানিয়াকে তো ভাল করেই চিনিস। বড় লোকের আদরের দুলাল দেখে এমন ছেলেকে বিয়ে করেছিল, যে ছেলে কি-না প্রতি রাতে নেশা করে মাতাল হয়ে বাসায় ফিরতো। বিয়ের তিন মাস যেতে না যেতেই কী হয়েছিল ভুলে গেছিস? রাত ৯ টা। নিঝুম বৃৃষ্টি পড়ছে। ঘনঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। মাঝেমাঝে মেঘের গর্জনও শোনা যাচ্ছে। যাত্রী ছাউনিতে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটা। রাস্তার পাশের সোডিয়াম লাইটের আলোয় মুখটা উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। ঠোঁটের লিপস্টিকটা চিকচিক করছে। চোখের পানিতে কাজলটা মনে হয় থেবড়ে গেছে। অদ্ভুত মায়ায় ভরা অচেনা এই মেয়েটা কাঁদছে কেন? এই প্রশ্নগুলোর জবাব যার কাছে রয়েছে তার নাম ‘‘শ্রাবণ মেঘের ভালোবাসা”