"জীবন যৌবন এবং জলাঞ্জলি" বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া মিথুন ভেবেছিলাে সবাই তার জন্য অপেক্ষা করবে, তার কথা ভেবে চোখের জল ফেলবে । কিন্তু তা হয়নি। কেউই তাকে মনে রাখেনি; এমনকি স্ত্রী কান্তাও না। কেননা জীবন নদীর এইপ্রান্তে এসে মিথুন নিজেকে আবিস্কার করে নতুনভাবে । ফেলে আসা জীবনের দিকে তাকালে সে নিজেকে দেখতে পায়, লম্পট-মাতাল-ভােগসর্বস্ব একজন মানুষ হিসেবে। সারাজীবনে এমন কোনাে ভালাে কাজ নেই যার জন্য লােকে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। মিথুনের অনুপস্থিতিতে কান্তার জীবনে এসেছে সৌমেন। মিথুনের অফিসের ম্যানেজার হলেও সৌমেন চৌকস ছেলে; যেকোনাে নারীই তাকে চাইবে । কিন্তু সৌমেন কান্তাকে চেয়েছে । প্রথম দিকে এড়িয়ে গেলেও সৌমেনের প্রচণ্ডতার কাছে সমর্পিত হয়েছে কান্তা। মিথুনের একমাত্র ভাই শিপন এত সহজে মেনে নেয় না সৌমেনকে। কারণ মিথুনের অগাধ সম্পত্তি, সুন্দরী স্ত্রী এত সহজে অন্যের হয়ে যাবে; তা হতে পারে না। আবার সৌমেনও বিতর্কের উর্দ্ধে নয়। শুরু হয় দ্বন্ধ। একে একে সামনে আসে সভ্যতা-ভব্যতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা মুখােশধারী মানুষ। লােভ-লালসা, জিঘাংসায় মত্ত এইসব চাওয়া-পাওয়ার জন্য লিপ্ত হয় তারা; আবার অনেককিছু থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় ক্রমশ। জীবন-যৌবন প্রশ্নবিদ্ধ হয়; জলাঞ্জলি হয় প্রতিনিয়ত।