‘চেঞ্জ ইউর মাইন্ড’ আমাদের সংগ্রহে রাখা উচিত। দেশীয় ও বৈদেশিক জীবনঘনিষ্ট ঘটনাপ্রবাহকে তিনি মনের মাধুরি মিশিয়ে পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করতে সক্ষম হন। এটা তাঁর কৃতিত্ব। তাঁর উদারচিন্তাধারা ও উম্মাহর ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনা, মানস গঠনের প্রয়াস গ্রন্থের ছত্রে ছত্রে বিধৃত। মারপ্যাঁচে কথা বলার পথ পরিহার করে তিনি সোজাসাপ্টাকথা বলতে অভ্যস্ত। সমাজদেহের দগদগে ক্ষতগুলোকে সারিয়ে তুলতে তাঁর জবান ও কলমের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসার্হ। আমরা তাঁর মাঝে একটি প্রতিবাদী মানস সক্রিয় থাকতে দেখি। ভয়কে জয় করে দুরন্ত সাহসে এগিয়ে চলার প্রত্যয় তরুণদের উৎসাহিত ও আলোড়িত করে। হতাশা ও অবসাদ যেন আমাদের পথ আগলে না ধরে। সম্ভাবনার স্ফুলিঙ্গ যেন দুর অজানায় হারিয়ে না যায়। অন্যায় ও পাপাচারের ঘোর অমানিশা কেটে যাবে একদিন, দিগন্তে ফুটে উঠবে নতুন দিনের নতুন সুর্য। মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ হাফিজাহুল্লাহ’র লেখায় নবপ্রজন্মকে আশাবাদী করার উপাত্ত-উপাদান আছে। আমি তাঁর সব গ্রন্থের পাঠকপ্রিয়তা কামনা করি এবং দোয়া করি তাঁর মেধাশক্তির সৃজনশীলতায় কওম ও মিল্লাত যেন সত্যের দিশা পায়। আল্লাহ তা'আলা জাযায়ে খায়ের দান করুন, আমীন।
Habibur Rahman Michbah হাফিজাহুল্লাহ সারা বাংলাদেশে এক পরিচিত মুখ। জননন্দিত ওয়ায়েজ হিসেবে তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা স্বীকৃত। ধীরে ধীরে তাঁর মেধা ও মননের বর্ণিলতায় দর্শক ও পাঠক বিমুগ্ধ হচ্ছেন। আগে জনগণ জানতো তিনি একজন ওয়ায়েযমাত্র। এখন তাঁর মেধার বহুমাত্রিকতায় ও লেখকসত্তার অবির্ভাবে মানুষ পুলকে শিহরিত হচ্ছেন। ইতোমধ্যে তাঁর লিখিত বেশ কয়েকটি গ্রন্থ বাজারে এসেছে। একুশের বই মেলায় তাঁর রচিত ‘বদলে যাও বদলেদাও’, রোহিঙ্গা শিবিরের অলিগলি’, ‘নিউ ভার্সন অফ লাভ’ ১০টি বেস্টসেলারের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। দিন দিন তাঁর লেখার পাঠকপ্রিয়তাবৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিন গাড়ীতে বসে বসে শুনলাম তাঁর কণ্ঠে তাঁরই রচিত একটি ইসলামী জাগরণী নাশিদ। মাশাআল্লাহ! হৃদয়ে নবচেতনার দোলা লাগলো। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থ