"ডিসিপশন পয়েন্ট" বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া একটি তাকলাগানাে আবিষ্কার। অতিশয় চতুর একটি ষড়যন্ত্র, যা মনকে বিহ্বল করে দেয়। এমন একটি রহস্যোপন্যাস, যা আপনি আর কখনাে পড়েননি… মেরুপ্রদেশের বরফের নিচে নাসার নতুন স্যাটেলাইটটি যখন একটি অত্যাশ্চর্যরকম বিরল বস্তু আবিষ্কার করল, তখন তারা অত্যন্ত প্রয়ােজনীয় একটি বিজয়ের কথা ঘােষণা করল। এমন একটি বিজয়, যা নাসার নীতি ও আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য একটি গভীর ব্যঞ্জনার্থ বয়ে আনল। আবিষ্কারটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য হােয়াইট হাউস দক্ষ গােয়েন্দা বিশ্লেষক র্যাচেল সেক্সটনকে তলব করল। টেলিভিশন তারকা ও সমুদ্রবিশারদ মাইকেল টলান্ডসহ একদল বিশেষজ্ঞ নিয়ে র্যাচেল মেরু প্রদেশে গিয়ে একটি অচিন্ত্যনীয় ব্যাপার আবিষ্কার করল : একটি বৈজ্ঞানিক জালিয়াতির প্রমাণ- একটি দুঃসাহসী প্রতারণা, যা সমগ্র পৃথিবীকে একটি বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিল। তবে প্রেসিডেন্টকে এ বিষয়ে সতর্ক করার আগেই ভয়ংকর একদল আততায়ী র্যাচেল ও মাইকেলের উপর হামলা চালাল। প্রাণ বাঁচাতে তারা একটি নির্জন ও ভয়ংকর এলাকার উপর দিয়ে ছুটে চলল। তাদের বাঁচার একমাত্র আশা ছিল - খুঁজে বের করা যে, কে এই ভয়ানক ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছে। আর শিগগিরই তারা যে সত্যটি উদ্ঘাটন করল তা ছিল অতি জঘন্য একটি প্রতারণা।
সাসপেন্স তৈরি করার মতাে একটি রহস্য উদ্ঘাটন। যে বই একবার হাতে নিলে শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর রেখে দেওয়া যায় না। -দা ওয়াশিংটন পােস্ট।
ড্যান ব্রাউন একটি রকেটের গতিতে চলা রহস্যোপন্যাস রচনা করেছেন। এর মধ্যে এমন অনেক মারপ্যাচ ও বিস্ময় রয়েছে, যা একজন অত্যন্ত অভিজ্ঞ পাঠককেও অন্ধকারে থাকতে বাধ্য করবে। এই বিষয়টি এবং নিখুঁত গবেষণা মিলিয়ে ডিসিপশন পয়েন্ট একটি চমৎকার উপন্যাসে পরিণত হয়েছে। - ভিন্স ফ্লিন
মার্কিন থ্রিলার লেখক ড্যানিয়েল গেরহার্ড ব্রাউনের জন্ম ১৯৬৪ সালের ২২ জুন। ড্যান ব্রাউন নামেই বিখ্যাত এই লেখকের জন্মস্থান যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের এক্সিটারে। তাঁর বাবা বিখ্যাত গণিত শিক্ষক রিচার্ড জি. ব্রাউন ফিলিপস এক্সিটার একাডেমিতে পড়াতেন। এই সূত্রে ড্যান এই একাডেমি থেকেই গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এরপর আমহার্স্ট কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেন তিনি। ছোটবেলায় সংগীতের প্রতি ঝোঁক থাকায় ১৯৮৬ সালে পেশাদার সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তবে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হন। ১৯৯৪ সালে সিডনি শেলডন এর লেখনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ড্যান লেখালেখির জগতে প্রবেশ করেন। উপন্যাস হিসেবে ড্যান ব্রাউন এর বই 'ডিজিটাল ফোরট্রেস' প্রকাশিত হয় ১৯৯৬ সালে, সেটাই ছিল তাঁর প্রথম লেখা। পাঠক বইটি সাদরে গ্রহণ করায় আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ২০০৩ সালে প্রকাশিত 'দ্য ভিঞ্চি কোড' বিশ্বজুড়ে তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়। ক্রিপ্টোগ্রাফি বা সাংকেতিক চিহ্নের রহস্যময়তা, কী, কোড এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলোর সন্নিবেশ তাঁর রচনাগুলোকে করেছে আরো আকর্ষণীয়। রবার্ট ল্যাংডনের চরিত্রটিকে কেন্দ্রে রেখে তিনি দুঃসাহসিক সব অভিযানের রূপায়ণ করেছেন তাঁর লেখায়। ড্যান ব্রাউন এর বই সমূহ বিশ্বজোড়া থ্রিলার পাঠকদের জন্য যেন সোনার খনি। তাঁর রচনায় বুঁদ হয়ে থাকা পাঠকেরা সাংকেতিক রহস্যময়তার জন্য ড্যান এর রচনার সমাদর করেন। পাঠকনন্দিত ড্যান ব্রাউন এর বই সমগ্র হলো 'ডিসেপশন পয়েন্ট', 'এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস', 'দ্য লস্ট সিম্বল', ' ইনফার্নো' ও 'অরিজিন'। তাঁর লেখা বই বিশ্বের ৫২টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং বিক্রি হয়েছে ২০০ মিলিয়নেরও বেশি কপি। এছাড়াও 'এঞ্জেলস এন্ড ডেমন্স', 'দ্য ভিঞ্চি কোড', এবং 'ইনফার্নো' পেয়েছে চলচ্চিত্র রূপ। যদিও তাঁর রচনা নিয়ে ধর্মতত্ত্ববিদেরা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন, তবে ড্যান তাঁর রচনাকে ধর্মের রহস্যময়তার নতুন এক দিক হিসেবেই বর্ণনা করেছেন।