মােবাইল জার্নালজিম বা সাংবাদিকতার ধারণাটা আমাদের দেশে নতুন হলেও অপরিচিত নয়। ২০০৫ সালে এটি যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছিল এবং ক্রমেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের দেশেও স্বল্প পরিসরে এর বিস্তৃতি ঘটছে এবং বলা ঠিক যে, নতুন প্রজন্ম এটির প্রতি বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছে। আমাদের দেশের সংবাদমাধ্যমগুলােও এটির প্রতি ঝুঁকছে। কম বিনিয়ােগে আকর্ষণীয় সেবা, পাশাপাশি দুর্গম অঞ্চলের দুর্লভ ছবিও হাতের মুঠোর চলে আসায় রাজধানীর বাইরে থাকা সাংবাদিকদের মধ্যে এটি নিয়ে বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। সেই সাংবাদিকতাকে আরাে পরিশীলিত করতে, সহজ করতে এবং কাজের সুবিধা সৃষ্টি করতে সহায়তা করবে এই বইটি। আরেকটি বিষয়, মােবাইল সাংবাদিকতা মানেই আপনাকে টেকনােফ্রেন্ডলি হতে হবে। কারণ মােবাইল সাংবাদিকতার আসল কথা সাংবাদিকতার জ্ঞান হলেও সেটাকে পুরােপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে প্রযুক্তি। সে বিষয়েও আলােচনা রয়েছে এই বইয়ে জানা-মতে, বাংলাদেশে মােবাইল সাংবাদিকতা নিয়ে এটিই প্রথম বই। এই বই লিখতে গিয়ে আমার নিজের ইউটিউবসহ সংবাদ মাধ্যমে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাে রয়েছেই। (এর কিছু লিংক এই বইয়ের ফ্ল্যাপে রয়েছে) এ ছাড়া আল জাজিরা, বিবিসি, সিএনএন-এর মতাে সংবাদমাধ্যমের মােবাইল জার্নালিজম গাইড, অনলাইন এবং আমাদের দেশে যারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। কৃতজ্ঞতা সবার প্রতি মােবাইল চেষ্টা করেছি বিষয়গুলােকে প্রাধান্য দিয়ে কীভাবে সহজে মােবাইলের মাধ্যমে সাংবাদিকতা করা যায় সেটি জানাতে , এর বাইরেও আমার অজানা অনেক বিষয় থাকতে পারে। সেটি জানালে পরবর্তী সংস্করণে সংযােজনের চেষ্টা করবাে। এ ছাড়া জানাতে পারেন বইটি সম্পর্কে আপনার মতামতও।
শান্তনু চৌধুরী, ভালোবাসার নাগরিক মানুষ। নদী, ফুল, পাখি, ডাহুকের বিচিত্র ডাক ওকে বিমোহিত করে। গ্রাম্য মেলায় কিশোরীর খোঁপায় ফুল গুঁজে দেয়ার স্মৃতিকাতরতা, উঠোনে কাঁথা সেলাইয়ে বসা ঠাকুরমার আঁচলে মুখ লুকিয়ে ভূতের গল্প শোনার মতো মধ্যবিত্ত শিশু বিনোদন, আর রাতের নীরবতা ভেদ করে মৃদঙ্গের তালে তালে পুঁথিপাঠের আসর ভালোবাসে শান্তনু। সমান তালে লিখে চলেছেন গল্প, কবিতা, উপন্যাস আর প্রাত্যহিক যাপিত জীবনের সাহিত্য। প্রকাশিত হয়েছে বেশ কয়েকটি বই। এর মধ্যে কথা প্রসঙ্গে-, তারার অন্তরালে, প্রথম চিঠি, ফিরে এসো, নারীসঙ্গ, অন্য সময়ের প্রেম উল্লেখযোগ্য। ১৯৮০ সালের ৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানায় জন্ম নেয়া শান্তনু চৌধুরী নৈসর্গিক প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ শেষ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এখন চলছে স্বশিক্ষিত হওয়ার চেষ্টা। কাগুজে, অন্তর্জালিক, শ্রুতিনির্ভর ও দৃশ্যমান সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেছেন শান্তনু। বর্তমান ব্যস্ততা টেলিভিশনের অন্দরমহলে।