হৃদ স্পন্দন’ (২য় খন্ড) বইটিতে মােট ৪৭টি বিষয় আলােচিত হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও সহ- সম্পাদক সাহেবদের অনুরােধে স্বাস্থ্য ও হৃদরােগ বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনেকগুলাে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলাম ও বেশ কিছু প্রবন্ধও ছাপা হয়েছিল। রােগী ও সুধীজনের অনুরােধে হৃদরােগ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে উক্ত সাক্ষাৎকার এবং প্রবন্ধগুলিকে একত্রে সংকলন করেই ‘হৃদ স্পন্দন' (২য় খন্ড) নামে আমার ৭ম বইটি প্রকাশ করা হল।
সাধারণত চেম্বারে রােগী দেখার সময় রােগীদের কাউন্সেলিং করার সময় যে সব বিষয়ে যেভাবে সহজ সরল ভাষায় সহজে বােধগম্য হওয়ার জন্য পরামর্শ দেই সেভাবেই প্রশ্ন উত্তর আকারে লেখাগুলি লিখি । পরবর্তীকালে চেম্বারে ও হাসপাতালে ব্যস্ততা আরাে বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা শহরে চলার পথে জ্যামে গাড়ীতে বসে বা বিদেশ ভ্রমণের সময়ে দীর্ঘ প্লেন জার্নিতে একাকী সময় কাটানাে ও ভ্রমনের ক্লান্তি দূর করার জন্য হৃদরােগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে লিখি । প্রথম প্রথম লেখাগুলাে হাতে লিখলেও পরবর্তীতে অ্যাপেলের বড় আইপ্যাডে বাংলা লেখার সফটওয়্যার ডাউনলােড করে লেখাগুলি লিখি, এতে পত্রিকা বা ম্যাগাজিনগুলাে বা বই আকারে ছাপার সময় প্রুফ দেখতে সময় অনেক কম লাগে ও মুদ্রণজনিত ভূল অনেক কমে যায়। ইউরােপ বা আমেরিকা ভ্রমনের সময় বিশেষ করে ঢাকা দোহা আমেরিকা বা ঢাকা দুবাই আমেরিকা বা ঢাকা ইস্তাম্বুল আমেরিকা যেখান প্রায় ২৪ ঘন্টা বা তার বেশী প্লেনের ভিতরে বা এয়ারপাের্টে কাটাতে হয় তখন বিরক্তি ও ক্লান্তি কাটাতে অনেকগুলাে লেখা লিখে ফেলি, এভাবেই আস্তে আস্তে লেখার সংখ্যা ও মান বাড়তে থাকে। তাছাড়া নভেম্বর থেকে মার্চে সময় শীতকালে যখন ইউরােপ বা আমেরিকায় কনফারেন্সে যাই, তখন চারপাশে অত্যন্ত ঠান্ডা ও বরফ, কনফারেন্স শেষে সােজা হােটেলে এসে পড়াশুনা আর লেখালেখি । আমেরিকা ও ইউরােপের সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য থাকায় আমেরিকায় থাকাকালীন সাধারণত রাতে ঘুম না আসায় একাকীত্ব কাটাতে অনেক সময় কিছু কিছু লেখা শেষ করি। এছাড়াও ঢাকার বাহিরে কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, সাতক্ষীরা, খুলনাতে সেমিনারে বক্তৃতা দিতে যাবার পথে বা ফেরার পথে বা হােটেলে অবস্থানকালীন বিশ্রামের সময় কিছু কিছু লেখা লিখি। যথেস্ট পরিশ্রম করা সত্ত্বেও মুদ্রণজনিত ভূল- জুটি গুলাে মার্জনীয়। যে কোন বিষয়ে উপদেশ ও দিকনির্দেশনা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণীয়।