আর্থোপােডা পর্বের প্রাণীরা জীবদ্দশায় কয়েকবার রূপান্তরিত হয়। তেলাপােকা খােলস বদলায়, নিচ থেকে পূর্ণাঙ্গ ঘাসফড়িঙ হয়, শুয়ােপােকা প্রজাপতি হয়। যেসব জীবের এমনতর রূপান্তর ঘটে তাদের বলা হয় মেটামরফিক জীব। কেমন হবে, যদি বলা হয় মানুষও একটা মেটামরফিক জীব? মানুষও খােলস বদলায়, রূপ বদলায়? অন্ধকাশপুর, লােকালয় থেকে বেশ খানিকটা দূরে নির্জন এক উপবন। এরই ঠিক মাঝামাঝি শতাব্দি প্রাচীন এক বাংলাে, যার প্রবেশদ্বারে শ্বেতপাথরে খােদাই করা-'দাঁড়াও পথিকবর!' এই বনাঞ্চলে হঠাৎ কেন বেড়ে গেল ইঁদুরের প্রকোপ? জানা যায়, এর সাথে জড়িয়ে আছে মেডিকেল কলেজের গা হিম করা এক অতীত। সব কিছু ধোঁয়াশা হতে শুরু করে যখন কাহিনিতে যুক্ত হয় আজারবাইজানের লুপ্তপ্রায় আদিবাসী গােত্রের এক গােপন প্রথা, পারস্যের এক রহস্যময় জাদুকর আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কলঙ্কজনক এক অধ্যায়ের সূত্র ধরে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া। এক গ্লোরিয়াস সাইকোপ্যাথ। এক অগ্নিদূর্ঘটনার কেসের দায়িত্ব পায় নাম না জানা তরুণ ডিটেক্টিভ। সে একলব্য হয়ে হন্যে। হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে তার দ্রোণাচার্য, ষাট থেকে আশির দশকে দেশ-মহাদেশ দাপিয়ে বেড়ানাে বাংলাদেশের ইতিহাসের চৌকসতম গােয়েন্দাকে। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেল সেই প্রবাদপুরুষ?। কাহিনি বাঁক নেয় যখন এই শ্বাপদ বনে পাওয়া যায় এক রূপবতী নারীর নগ্নদেহ। এই ছায়া ছায়া বনের শত শতবর্ষজীবী মহীরুহের ভিড়ে কে এই অহল্যা? মেটামরফিক নিশীথে এমনই এক রহস্যের গল্প, রূপান্তরের গল্প, রূপ বদলের গল্প!