''বৈরানের বাঁকে " বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা : ‘কিছু একটা লেখা দরকার'-এ মানসিকতা নিয়েই মূলত লেখালেখির জগতে আমার প্রবেশ। কী লিখব পাঠ্যবই, না সাহিত্য-এই করে করেই শেষবেলার দিকে চলে এলাম প্রায় । সঙ্গত কারণেই পাঠ্যবই লেখার প্রতি একটা অনীহা চলে এসেছে। তাহলে কী লিখব? এটা নিয়ে যখন ভাবছিলাম, তখন একজন সজ্জন বোদ্ধা কবির সান্নিধ্যেই প্রতিনিয়ত চলাফেরা আমার। তিনি স্বভাব কবি জসীম উদ্দীন মুহম্মদ। প্রায় প্রতিদিনই তাঁর লেখা দেখে বা শুনে কোন না কোন শেয়ারিং চলতে থাকে। আস্তে-আস্তে কবিতার প্রতি আমার আগ্রহ জন্ম নিতে থাকে। অবশ্য এর আগে আমি যে টুকটাক বার্ষিকী, সাময়িকী বা দেয়াল পত্রিকায় লিখিনি, এমন নয়। আমি ভাবলাম, জীবনে ঘটে যাওয়া ঘাত-প্রতিঘাত, অনুকূল-প্রতিকূল অবস্থা তথা কর্মজীবনে জন্ম নেয়া মিশন-ভিশনগুলোর প্রতিফলন লেখনির মাধ্যমে ঘটানো যায় কিনা? মূলত এ কারণেই আমার কবিতা লেখা। তাছাড়া আমি সৃজনশীল, কারিকুলাম এবং ডিজিটাল কন্টেন্ট ডেভেলপার-এর অর্জিত অভিজ্ঞতা লেখনিতে নিয়ে আসতে পারি কিনা তাও একটা বিবেচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। যা একজন শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর জন্য কিছুটা হলেও কাজে আসতে পারে। সর্বোপরি আমি আদ্যোপান্ত একজন ক্যাডেট এবং বিএনসিসি অফিসার। একজন ক্যাডেটের আদর্শের ব্রত আমার ধমনীতে মিশে আছে। সে কারণেই একজন পরিশ্রমী, স্বেচ্ছাশ্রমী, সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার সাহসিকতায় আমি দৃঢ়প্রত্যয়ী। আমি আমার চিন্তা-চেতনার জায়গা থেকে যা-ই লিখি না কেন, হয়তো তা সমালোচনার নিরিখে কোন শ্রেণি, পেশা বা ব্যক্তিজীবনকে আঘাত মনে হতে পারে। আসলে আমার যাবতীয় কর্মের উদ্দেশ্য কাউকে খাটো নয় বরং সম্মানিত করা; যা কল্যাণ ও মঙ্গলের জন্যই। আমি মনে করি, সমাজের প্রতিটি মানুষেরই কিছু না কিছু সম্মান আছে। মূলতঃ সে লক্ষ্যেই আমার এ প্রথম ক্ষুদ্র প্রয়াস ‘বৈরানের বাঁকে'।