"জ্যান্ত বাঘের সত্যি ঘটনা" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: অনুকরণ প্রবণতা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। বিশেষভাবে শিশুদের মধ্যে এ প্রবণতা প্রকট। তাই শিশুর মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে তার সামনে আইডল বা মহাপুরুষের আদর্শ তুলে ধরলে সে তা সহজে গ্রহণ করে থাকে। আবার নতুন কিছু জানার কৌতূহলও শিশুদেরই বেশি। সেকারণে অ্যাডভেঞ্চার, থ্রিল, ডিটেকটিভ ইত্যাদির মধ্যে শিশুদের আগ্রহ বেশি থাকে। বিশেষ করে যা সে দেখেনি বা শােনেনি তা শােনার বা দেখার জন্য তার কৌতূহলের সীমা থাকে না। শুধুমাত্র শিশুরাই নয়, যে কোনাে বয়সের যে কেউ যারা সুন্দরবনে যায়নি সবারই ভালাে লাগবে। দীর্ঘদিন কর্মজীবনে দায়িত্ব পালনের সুবাদে লেখকের চোখের সামনে ঘটা, ঘটনাগুলাে খুব সহজ ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে। ঘটনার আকস্মিকতায় কখনাে কখনাে মনে হবে অলৌকিক। যেমন কালাচান মাটিতে পড়ে থেকে বাঘের গলা ধরে রাখতে পারতাে না, যদি না সেখানে গাছের একটা ডাল বাঘের গলার নিচে পড়ে সাপোর্ট হতাে। আবার ৮ বছরের এক শিশু তার বাবাকে বাঘে নিয়ে যাচ্ছে কোনােরূপ চিন্তা না করে আল্লাহ আমার আব্বাকে বাঘে নে গেল’ বলতে বলতে জঙ্গলের গহিনে ঢুকে যাওয়া সত্যিই ভাবা যায় না। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেছে। এখানে লেখক সত্যাশ্রয়ী। আমি অত্যন্ত আশাবাদী বইটি শিশু-কিশােরসহ সকলেরই আনন্দ দেবে।