"আ লিটল হিস্ট্রি অফ ফিলোসফি" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা: দর্শনচর্চার খানিক ইতিহাস দর্শনশাস্ত্র প্রথমেই বুঝতে চায় আমাদের বাস্তবতার প্রকৃত রূপটি কেমন, কিভাবে যাপন করা উচিত এই মানবজীবন। সক্রেটিসকে এই বিষয়গুলি চিন্তিত করেছিল। তিনি তাে জীবনটাই কাটিয়ে দিলেন এথেন্সের বাজারে ঘােরাঘুরি করে। চলমান লােকজনের গতিরােধ করে তিনি তাদের উদ্ভট সব প্রশ্ন করতেন। তার সাক্ষাপ্রাপ্ত মানুষরা যখন বুঝতেন যে নিজেদের জানা বিষয়গুলিও আসলে তারা তেমন জানেন না, তারা খুবই বিচলিত এবং কিছুটা মনক্ষুন্নও হতেন। এই ইতিহাস গাঁথা বড় আকর্ষণীয়। পশ্চিমা দর্শনের চল্লিশজন গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাবিদ এবং তাদের গভীর প্রভাববিস্তারকারী চিন্তাগুলির সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে কিভাবে এসব দর্শনের আলােকে জীবন পরিচালনা করা যায় তারও একটি পথ নির্দেশ করা হয়। চল্লিশটি সংক্ষিপ্ত অধ্যায়ে, নাইজেল ওয়ার্বার্টান আমাদের কাছে দর্শনের ইতিহাসের প্রধান ধারণাগুলি তুলে ধরছেন। আমরা জানতে পারি দার্শনিকদের অন্যরকম জীবন এবং মৃত্যুর কথা। নাইজেলের বলা এই গল্পগুলি বেশ মজার, অনেকক্ষেত্রে কেমন অদ্ভুত, আবার দুঃখেরও। সেই প্রাচীন দার্শনিকগণ, যারা মুক্তি এবং আত্মা নিয়ে ভাবতেন- তাদের থেকে শুরু করে হালের পিটার সিংগার, যার প্রশ্নে ধরা পড়ে আমাদের আধুনিক যুগের দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ এবং প্রচলিত নৈতিকতার দার্শনিক সংকট। ওয়ার্বার্টান শুধু দর্শনকে সাধারণ লােকদের জন্য বােধগম্যই করে তােলেন নাই, তিনি চিন্তা করতে, তর্ক করতে, যুক্তির যন্ত্রে আমাদের লালিত মতবাদগুলিকে পরখ করে দেখতেও উৎসাহিত করেছেন। নাইজেল আমাদের উস্কানি দিচ্ছেন যেন আমরা প্রশ্ন করি, যেন দ্বিমত হই, বিশ্বাস রাখি দ্বিতীয় চিন্তায়। আ লিটল হিস্ট্রি অফ ফিলােসফি- মানব সম্প্রদায়ের দার্শনিক তল্লাশের মহাযজ্ঞে আমন্ত্রণ জানায় আমাদের সবাইকে।