"কর্তৃত্ববাদ, আধিপত্য ও মুক্তির দিশা: বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: “নির্বাচনী কারচুপির একটা বড় অংশই করা হয় গােপনে। কিছু জিনিস আমাদের চোখের সামনেই। ঘটে যেমন বৈষম্যমূলক নির্বাচনী আইন, প্রতিবাদী মিছিলে দমন-পীড়ন কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ফেলে প্রার্থীতা বাতিল ইত্যাদি। এই ধরনের।ম্যানিপুলেশন বা প্রভাব বিস্তারের কাজ করা হয়। প্রকাশ্য দিবালােকে, রাষ্ট্রীয় এজেন্ট বা প্রতিনিধির মাধ্যমে এবং জনস্বার্থ বা আইনের দোহাই দিয়ে। অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তির সমন্বয়ে ভােটারদেরকে ভয়-ভীতি দেখানাে, ভােট ক্রয় কিংবা ভােটের দিন ভােট জালিয়াতি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কর্তৃত্ববাদী নির্বাচনী নিয়ন্ত্রণকৌশল গােপনে প্রয়ােগ করারও চেষ্টা করা হয়। আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক যত ভাবেই আমরা জানা-বােঝার চেষ্টা করি না কেন, তথ্য পরিসংখ্যান সংগ্রহের চেষ্টা করি না কেন, কর্তৃত্ববাদী নির্বাচনী জালিয়াতির গােপন জগৎটি পুরােপুরি উন্মােচন করা। কখনােই সম্ভব হয় না।..” “মােহন কমিটিসহ বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ-এর প্রস্তাবনার বিপরীত পদক্ষেপ গ্রহণ করেই ভারতীয় রেলওয়ের অবস্থার পরিবর্তন ঘটানাে হয়। মােহন কমিটিসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব ছিল। যাত্রীভাড়া বৃদ্ধি করা। রেলওয়ে উল্টো যাত্রীভাড়া হ্রাস করে দরিদ্র যাত্রীদের জন্য ভাড়া ৩ রুপি পর্যন্ত কমানাে হয়। মােহন কমিটির প্রস্তাব ছিল লােক ছাঁটাই করা। লালুপ্রসাদ রেলওয়েকে উল্টো কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যম হিসেবে কাজে লাগান।...”
Title
কর্তৃত্ববাদ, আধিপত্য ও মুক্তির দিশা: বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা