বাবুল আশরাফ চৌধুরী। ডাক নাম 'বাবু'। নরওয়ে বারগেন ইউনিভার্সিটি থেকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টারস্ করে সেখানেই গবেষণা ফেলো হিসেবে যোগ দিয়েছেন। আসলে বাবু পাস করে বেরোবার আগেই ইউনিভার্সিটি অগ্রিম এপয়েন্টমেন্ট দিয়ে রেখেছিল। কেননা, এত ভালো আর মেধাবি ছাত্র দু'দশ বছরে আর একটিও পাওয়া যায়নি। চাকরি ভালো, বেতন ভালো। এতদিনের পরিশ্রম আর কষ্ট সার্থক হয়েছে। একবার ভেবেছিল দেশে ফিরে গিয়ে সেখানেই কাজ করবে। অনেক ভেবেচিন্তে আবার সেই চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসেছে। লোকে বলবে দেশের ছেলে দেশে ফিরে আসবে না, এ আবার কেমন কথা। নটরডেম-এর প্রিন্সিপাল স্যারসহ অনেকেই রিকোয়েস্ট করেছিলেন, 'তুমি এত ভালো ছাত্র, ফিরে এসে দেশের জন্য কিছু করো।' বাবু স্যারকে মুখের উপড় না করতে পারেনি। বলেছে দেখি স্যার কী করা যায়। বিষয়টি নিয়ে মনে মনে ভেবেছে অনেক। দেশে গিয়ে কী হবে! গবেষণার আধুনিক ব্যবস্থা নেই, চাকরির নিরাপত্তা নেই, আরও কত কী! শেষ পর্যন্ত দেশে ফেরত আসার চিন্তা বাদ দিয়েছে। মনে একটা সান্ত্বনা তো চাই। এদেশে যদি ভালো কিছু করি তার সুফল পৃথিবীর সব মানুষই তো পাবে। বাংলাদেশও বাদ যাবে না। তাই তাঁর আর দেশে ফিরে আসা হলো না।