প্রচণ্ড জেদী আর একগুঁয়ে অর্ণব চৌধুরী যখন দূরারােগ্য কিডনী রােগে আক্রান্ত হয়ে অনেকটা জীবনের মায়া ভুলতে বসেছে, তখনই খরতপ্ত ক্লান্তিতে প্রশান্ত বৃষ্টির বারতা নিয়ে তার জীবনে আসে মােহনা। মােহনার সাথে অর্ণবের পরিচয় হয় জনপ্রিয় সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম ফেসবুকে। দু’জনই লেখালেখি করে, অর্ণব কবিতার প্রতি বেশি আকৃষ্ট আর মােহনার আকর্ষণ ছােটগল্পে। দীর্ঘ তিন-চার বছর পর্যন্ত দু’জন একে অপরের ফ্রেন্ডলিস্টে থাকলেও কখনাে ইনবক্সে চ্যাটিং হতাে না। তাদের হঠাৎ একদিন মােহনার একটা পােস্টে অর্ণবের ব্যতিক্রম মন্তব্য মােহনার দৃষ্টি কাড়ে। মােহনা অর্ণবের ব্যাপারে আরও জানতে উৎসাহী হয়। ধীরে ধীরে মােহনা অর্ণবের ফেলে আসা অতীতের সমস্ত খুঁটিনাটি জেনে যায়। কলেজ জীবনে মুন্নী নামের একটা মেয়ের কাছে প্রতারিত হয়ে অর্ণব চলে আসে ঢাকায়। শুরু করে জীবন আর জীবিকার অবিরাম সংগ্রাম। জীবন যুদ্ধের অদম্য সৈনিক অর্ণব চৌধুরী নিজেকে পাথুরে মানব রূপে গড়ে তােলে, ভুলে যায় একটা সময় সে ছিলাে প্রচণ্ড মেধাবী প্রাণচঞ্চল। ইনবক্সে কথা বলতে বলতে দুজন দুজনের প্রতি যথেষ্ট দুর্বল হয়ে যায়। কিন্তু কেউ কাউকে প্রপােজ করে না। কে আগে বলবে এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে ভুগতে একদিন মােহনা সিদ্ধান্ত নেয় আজই সে অর্ণবকে বলবে তার আজন্ম লালিত স্বপ্নের কথা, অর্ণবই হবে তার জীবনের প্রথম প্রেম, প্রথম স্বপ্নপুরুষ। কিন্তু সেদিনই মােহনা জানতে পারে অর্ণব প্রচণ্ড অসুস্থ। তার একটা কিডনী প্রায় অকেজো হয়ে গেছে। এ কথা শােনার পর মােহনা ভেবে পাচ্ছে না সে কী করবে? সে কি অর্ণবকে বলবে‘অর্ণব আমি তােমাকে ভালােবাসি। আমি শুধু তােমাকেই ভালােবাসি। -সুরাইয়া পারভীন
লেখিকা সুরাইয়া পারভীন ১৪ ই নভেম্বর ১৯৯২ সালে। জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই এক বােনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। বাবা-মায়ের অবিরাম স্নেহ আর বড় ভাইয়ের অবিচল অনুপ্রেরণায় কেটে যায় শৈশব-কৈশাের। ছােটবেলা হতে বই পড়ার অদম্য ইচ্ছে থেকেই তার লেখালেখির আগ্রহ জাগে। শেষ বিকেলের রােদুর লেখিকার প্রথম উপন্যাস।