আজকের ছোটরা কিন্তু এখন আর তেমন ছেলেমানুষ নয় কেউ। বড়ো হয়ে যাচ্ছে বড্ড তাড়াতাড়ি। ওরা এখন তো সবটাই জানে। জলেই একদিন জীবনের শুরু হয়েছিল শ্যাওলা দিয়ে। তারপর সেই শ্যাওলাই ডাঙায় উঠে জঙ্গল সাজিয়ে ছিল গাছপালার। ফুলে-ফলে সেজে উঠেছিল পৃথিবী। প্রাণের সাড়া পড়েছিল চারদিকে। বনের বাঘ-হরিণ-হাতি- থেকে পাখিরাও তখন দখল করে নিচ্ছে তাদের আশ্রয়। সব শেষে এলো মানুষ। আশ্রয় হলো পাহাড়ের গুহা আর উঁচু গাছের ডালপালায় বাঁধা মাচা। আদিম মানুষ তখন কখন কী খাবে তার ঠিক নেই। পশু-পাখি শিকার করতে হতো সারাদিন। ওদের হাতেই আবিষ্কার হল আগুন। কাঁচা মাংস পুড়িয়ে খাওয়ার কী স্বাদ! পরণে তখন কারোও গাছের ছাল নয়তো জন্তু জানোয়ারের গায়ের চামড়া। তার মধ্যেই শুরু হলো স্বপ্ন দেখার নেশা। সেই থেকেই আরম্ভ হলো একের পর এক নতুন নতুন আবিষ্কার। চাকা চলল গড়গড়িয়ে। তৈরি হলো থাকার আশ্রয়। খাবার ফসল। হাট বাজার। মাটির বই। সেসব বই পড়েই তো এগিয়ে চলা শুরু হলো মানুষের। সেই নিয়েই তো ছেপে বের হলো এ বইটা। পড়তে পড়তে যেন মনে হবে রূপকথা। পদ্য লেখার মিষ্টি হাতেই যে এ বইটা লিখে দিয়েছেন কবিতাপ্রাণ ভাগ্যধর বৈদ্য। পড়তে পড়তে দু-বাংলার পড়–য়ারাই গর্ব করবে আনন্দে। এইটুকুই আমাদের সান্ত্বনা। - কার্তিক ঘোষ