‘দুঃসাহসী পিপলু ও পিশাচের থাবা’ একটি রোমাঞ্চকর কিশোর উপন্যাস। দুঃসাহস অনেক সময় ভয়ংকর বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায় কিন্তু দুঃসাহসই এনে দিতে পারে বীরের মর্যাদা। পিতহীন হতদরিদ্র ভয়ংকর দুষ্টু পিপলু। অসম্ভবকে সম্ভব করা এবং ভয়কে জয় করার মতো অজস্র ঘটনার ভেতর দিয়ে তার বেড়ে ওঠা। ঘটনাক্রমে নিষ্ঠুর পিশাচের খপ্পরে পড়ে যায় পিপলু। বনের গভীরে পিশাচদের গোপন আস্তানায় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় সে। সেখানে পরিচয় হয় নগরপিতার একমাত্র কন্যা বন্দি জেরিনের সঙ্গে। কাহিনি মোড় নেয় অন্য দিকে। পদে পদে তৈরি হতে থাকে বিস্ময়কর অদ্ভুত ঘটনার। দুঃসাহসী পিপলু নানা ঘটনার ভেতর দিয়ে পাঠককে নিয়ে যায় উপন্যাসের চূড়ান্ত পরিণতির দিকে, যেখানে নগরীর অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে আছে বীরকে স্বাগত জানানোর জন্য।
-বিএম বরকতউল্লাহ্ এক নজর দেখেই বলে দেওয়া যায় ছেলেটি দুষ্টুর শিরোমণি। ওর ঘাড়ের রোয়াগুলো খাড়া। শক্তপোক্ত শরীর। কোঁকড়ানো চুল। গায়ে প্রচ- জোর। ভয়-ভাবনাহীন বুদ্ধিদীপ্ত চোখে দুষ্টুমির পূর্বাভাস। আমি নিজেই ওর খপ্পরে পড়ে গিয়েছিলাম একবার। ডান বাম কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। ভয়ানক বিপদ। পায়ের জোরে কোনোমতে বাড়ি ফিরতে পেরেছিলাম। কিন্তু গায়ের জোরে ফেল। দেখতে দেখতে একশ চার ডিগ্রি জ্বর। কাঁথার তলে শুয়ে আবোল-তাবোল বকছি। ট্যাবলেটে কাজ হয় না। বৈদ্য এসে মন্তর পড়ে ফুঁ দিলো, তাতেও কিচ্ছু হলো না। তারপর পুরান ঝাড়– আর নিমের ডালার বাড়ি পড়ল পিঠে। এবার কাজ হলো কিন্তু শরীর ফুলে ঢোল। বেশ করে ভোগলাম। আড়াই দিন। জ্বর নেমে গেল। মাথাটাও খুলল। তারপর বুঝতে পারলাম, কি সাংঘাতিক বিচ্ছুর কবলে পড়েছিলাম আমি!