বাদ জোহর ডাক্তার সাহেব নিজেদের মসজিদে জানাজার পর মিরপুর বুদ্ধিজীবি গোরস্থানে মার কবরে দাফন করা হবে। সেজন্য ওখানে লোক পাঠিয়ে কবর খুড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন নতুন নিয়ম হয়েছে কবর কিনা থাকলেও বর্তমান মূল্যের শতকরা একভাগ টাকা সিটি করর্পোরেশনে জমা দিয়ে রশিদ দেখালে তবে ওরা কবর খুরার অনুমতি দিবে। ভাগ্নারা ও ভাগ্নী জামাইরা চলে গেছেন ওকাজে যোহরের নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গেলে সমস্ত আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, ভাই-বোনরা এবং পাড়া-পড়শি সবাই শেষবারের মতো তাকে দেখার জন্য নিচে সমবেত হলেন। ডাক্তার সাহেবের ভাই ও মেয়ে বাবার পক্ষহয়ে সবার কাছে ক্ষমা ও দোয়া চাইলেন। বাসায় আবার কান্নার শোর পরে গেল। সবাই অশ্রæসজল চোখে তাকে শেষ বিদায় ও সালাম জানালেন। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কালেমা শাহাদাত পড়তে পড়তে তাকে কাঁধে তুলে নিলেন। চারিদিক থেকে আওয়াজ আসছে আশহাদু আললা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ দাহু, লা-শারীকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু তাকে নিয়ে এলাকার মসজিদে নামাজ পড়াতে চলে গেলেন। নামাজ শেষে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হল। অনেক লোক তার জানাজায় শরিক হলেন। সবাই দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আল্লাহপাকের দরবারে দুই হাত তুলে মোনাজাত করে দোয়া করলেন-হে দয়াময় ডাক্তার সাহেবকে তুমি বেহেস্ত নসিব কর। জানাজা শেষে তার লাশ ট্রাকে তুলে কলিমা শাহাদাত পড়তে পড়তে মিরপুর বুদ্ধিজীবি গোরস্থানে নিয়ে যাওয়া হল তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার মেয়ে হিরা, বোন ও ভাগ্নী ওদের সাথে গেল। সেখানে আর একবার জানাজা দিয়ে তাকে মায়ের বুকে মাটির বিছানায় চার সজ্জ্যায় শায়িত করে এলেন। হিরার কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে গেল। সবাই ওর জন্য দোয়া করলেন-আল্লাহ যেন ওকে এবং তার শোক সন্ত্রস্ত পরিবারকে শোক সহ্য করার তৌফিক দান করেন, আমিন।