এই উপন্যাস দু’টি লেখা হয়েছিল সেই সময়ে যখন ভালােবাসার খােজে ভালবাসার জন্য মনপ্রাণ আকুল হয়ে থাকতাে মানুষের মনে। আজ থেকে বিশ বছর আগে যখন হাতে হাতে মােবাইল ছিল না কিন্তু ছিল মানুষের চিঠি... See more
TK. 240 TK. 206 You Save TK. 34 (14%)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
কমিয়ে দেখুন
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষণীয় সব অফার!
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষণীয় সব অফার!
এই উপন্যাস দু’টি লেখা হয়েছিল সেই সময়ে যখন ভালােবাসার খােজে ভালবাসার জন্য মনপ্রাণ আকুল হয়ে থাকতাে মানুষের মনে। আজ থেকে বিশ বছর আগে যখন হাতে হাতে মােবাইল ছিল না কিন্তু ছিল মানুষের চিঠি লেখার প্রবণতা। সারারাত চিঠি লিখে মনের ভালােবাসা প্রকাশ করত প্রিয়জনের কাছে। বর্তমান সময়ের মতাে মনের ভাব সহজেই বলা যেত না সেই সময়ে। ভালােবাসার কথা বুকের ভেতর লুকিয়ে নিজে নিজে একরকম কষ্টের ভালােলাগায় ভালাে থাকতাে ভালােবাসার মানুষ। সেই সময়টাকে মাথায় রেখে গল্প দু’টি পড়তে হবে। জোছনায় নীল আকাশ’ আর ‘জলজোছনায় ভালােবাসার এক যুগলবন্দী।
হাড় ভাঙা জোড়া দেয়ার পাশাপাশি লেখালেখির চর্চা চলছে সমান্তরালে | অসীম হিমেল পেশায় একজন অর্থোপেডিক সার্জন হিসাবে নিয়োজিত থাকলেও সাহিত্যের পাতায় লিখে যাচ্ছেন গল্প, উপন্যাস। মধ্যরাতের অভিযান নামক কিশোর উপন্যাস দিয়ে যাত্রা শুরু করে একে একে লিখেছেন জোছনায় নীল আকাশ , খেদুমিয়া , ভাওয়াল উপাখ্যান মেজোকুমার এক সন্ন্যাসী রাজা ,দূরবীনে ব্যাকবেঞ্চার ও ধুম্রজালে খেদুমিয়া। প্রতিটি গল্প, উপন্যাস পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা। বর্তমানে জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), পঙ্গু হাসপাতালে কনসালটেন্ট হিসাবে কর্মরত।
একজন নতুন লেখক হিসাবে অসীম হিমেল এর লেখা অসাধারণ। জোছনায় নীল আকাশ পড়লে পাঠকরা নিজেরাই তা উপলব্ধি করতে পারবেন। লেখক থেকে আরো সুন্দর সুন্দর গল্প পাবো এই প্রত্যাশায় থাকলাম।
Read More
Was this review helpful to you?
By Habib,
12 Feb 2022
Verified Purchase
খুব ভালোভাবেই বইগুলো পেয়েছি।সব পৃষ্ঠা ঠিকঠাক।
Read More
Was this review helpful to you?
By Soptorshi Official,
14 Sep 2021
Verified Purchase
#সপ্তর্ষি_রকমারি_বুকরিভিউ_প্রতিযোগ নামঃ নাছরিন আক্তার মনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ পাঁচলাইশ এস এম নাসিরুদ্দিন সিটি কর্পোরেশন মহিলা কলেজ জেলাঃ চট্টগ্রাম ই-মেইলঃ moniakter1122.ctgaz@gmail.com
"ভালোবাসা হঠাৎ করে হয়ে যায় না। মিশতে মিশতে কারও প্রতি ভালোবাসা হয়ে যায়। এই ভালোবাসাটাই দীর্ঘস্থায়ীভাবে মনের ভেতর দাগ কেটে যায়" -অসীম হিমেল(জোছনায় নীল আকাশ)
★প্রথম কথা: বইটিতে দুটি ভালোবাসার গল্প রয়েছে। এগুলো সেই যুগের ভালোবাসা যখন যোগাযোগ করার জন্য ফোন নয় মাধ্যম ছিলো একমাত্র চিঠি। সেরকম সময়ের দুটি প্রেম কাহিনী লেখক এই বইয়ে তুলে ধরেছেন যা সত্যিই দারুণ। বইয়ে পুরনো ভালোবাসার স্বাদ যেমন পাবে তেমনি পাবে একজন বেকার কিভাবে আত্মনির্ভরশীল হয়ে একটি এলাকাকে উন্নয়ন করে তা জানার সুযোগ। এবং জানবে চার বন্ধু একে অপরকে কতটা ভালোবাসতে পারে।
★লেখক পরিচিতি: অসীম হিমেল ১৯৮১ সালে ০৫ নভেম্বর গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। রাত, চাঁদ ও জোছনা তার ভালো লাগে। এইজন্যই তাঁর সকল লেখায় রাত, চাঁদ ও জোছনা বেশি গুরুত্ব পায়। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহের মধ্যে মধ্যরাতের অভিযান, খেদু মিয়া ও মেজোকুমার এক সন্ন্যাসী রাজা উল্লেখযোগ্য।
★প্রচ্ছদ: "জোছনায় নীল আকাশ" গল্পগ্রন্থের দুটি গল্পতেই জোছনার উল্লেখ আছে। সেই অনুযায়ী প্রচ্ছদেও দেখা যায় জোছনা ভরা নীল আকাশ অন্ধকারের শোভা বাড়াচ্ছে। দুইটি গাছের মাঝখানে একটি ছেলে দন্ডায়মান কিছু ঘাসের উপর। আকাশে একটি গোল থালার মত চাঁদ শুভ্র সুন্দর ছড়াচ্ছে। আমার মতে, গল্পের সাথে, নামের সাথে প্রচ্ছদটি পুরোটাই মানানসই।
★পাঠ সংক্ষেপ: এই বইয়ে দুটি গল্প আছে ভালোবাসার। প্রথম গল্প "জোছনায় নীল আকাশ" এ দেখি, জামিল নামের একটি ছেলে শানু নামের একটি মেয়েকে প্রচন্ড ভালোবাসে। কিন্তু জামিল বেকার হওয়ায় শানু জামিলকে একদিন প্রত্যাখ্যান করে। জামিলের বাবা বলতো জামিল নিশ্চয়ই একদিন কিছু হবে। জামিল একদিন রাঙ্গামাটিতে একটি এলাকায় কাজ করে এবং তা সফলতার সাথে ও করে। কিন্তু তারপরও তার জীবনে হাহাকার থেকে যায় শানুর জন্য। জামিল কি পারবে শানুকে ফিরিয়ে আনতে? জামিলের কষ্টই বা কতটুকু কমলো? রাঙ্গামাটির চাকরিওটা কি শেষ পর্যন্ত ছিলো? জামিলের বাবার বলা কথাটা কতটুকু সত্য হলো? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে গল্পটি। শেষট গল্প "জলজোছনায়" এ দেখি, সুমিত, রুমা, সোহাগ এবং শফিক চার বন্ধু। সুমিত হিন্দু হয়েও রুমাকে পছন্দ করে অন্যদিকে শফিকও রুমাকে পছন্দ করে। রুমা পড়ে দোটানায়। শেষ পর্যন্ত কে পাবে রুমাকে? রুমা'ই বা কাকে ভালোবাসে? সুমিত এবং শফিকের কি পরিণতি হয় তা জানতে হলে অবশ্যই গল্পটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে পাঠকদের।
★পাঠ প্রতিক্রিয়া: বইটিতে থাকা দুটো গল্পই পুরোনো প্রেমের মাহাত্ম্য বহন করে। গল্প দুটো পড়ে তখনকার ভালোবাসার মানুষদের ছটফটানি দেখে অভিভূত হলাম। তখন ফোন ছিলো না বিধায় তাদের দেখা না হলে কোনো কথায় বলার সুযোগ ছিলো না। দুটো গল্পই মোটামুটি ভালো লেগেছে।
★প্রিয় উক্তি: ০১.কাউকে ভালোবাসলে তার বাসাও খুব প্রিয় হয়ে যায়। প্রিয় হয়ে যায় তার বাসার দারোয়ান থেকে ছোট বিড়ালও। ০২.পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ থাকে যারা শুধু ভালোবাাতে জানে, কিন্তু প্রকাশ করতে পারে না। ০৩. যেখানে টাকাই হলো যোগ্যতার চাবিকাঠি, সেখানে বিনা চাবিতে তালা খুলতে যাওয়া বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। ০৪. পুরুষের আসল পরিচয় তার কাজে। কাজেই পুরুষকে পৌরুষত্ব দান করে। ০৫. জীবনে কাজই আসল, তারপর ভালোবাসা। আর কাজের সাথে ভালোবাসা মিশলে হয়ে যায় মেধা। ০৬. আধুনিক যুগে ভালোবাসার কোন দাম নেই৷ দাম হলো যোগ্যতার।
★বইয়ের ভালো দিক: "জোছনায় নীল আকাশ" গল্পগ্রন্থে "জোছনায় নীল আকাশ" গল্প থেকে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে জামিলের কর্মকান্ড। জামিলের কোম্পানির স্কুলের প্রতি নেওয়া পদক্ষেপ। যেমন: স্কুলে খেলাধুলার ব্যবস্থা করা, গ্রামে সমবায়ের মাধ্যমে কাজ করা, সমিতি করা, ঝড় বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আত্মরক্ষা। নিপুনভাবে কাজগুলো করা। রাঙ্গামাটির এলাকাটিকে নিয়ে চিন্তা- ভাবনা এবং ভাবনাগুলো কাজে ফুটিয়ে তোলা সেই সাথে সে এলাকার সবাইকে অকৃত্রিম ভালোবাসা এসব একজন পাঠককে মুগ্ধ করতে বাধ্য। ছন্নছাড়া, বেকার থেকে কাজের ছেলে হওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। কিন্তু জামিল সেটা করিয়ে দেখিয়েছে। জামিলের এই কাজগুলোই আমি মনে করি প্রত্যেকটি পাঠকের মন ছুঁয়ে দিবে। "জলজোছনায়" গল্পে ভালো লেগেছে ওদের চার বন্ধুর কেমিস্ট্রি। এক বন্ধুর আরেক বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা অসাধারণ লেগেছে।
★পাঠক সমালোচনা: বইটিতে দুইটি গল্প বিদ্যমান। দুইটি গল্পেই লেখক শুধু শুধু কতগুলো সংলাপ দিয়ে বইয়ের পৃষ্ঠা বড় করেছেন। জামিলের কতগুলো কল্পনা যা সত্যিই বিরক্তির উদ্রেক করে। শেষ গল্পেও তেমন। টেনে টুনে গল্পকে বড় করা হয়েছে এরকমই মনে হয়েছে। কিছু কিছু সংলাপ না থাকলেই বেশ হতো। ১৮ ছিলো যা গল্পের প্রয়োজন আনলেও লেখক চাইলে আরেকটু সুন্দরভাবে সেগুলো তুলে ধরতে পারতেন। খারাপভাবে না তুললেও হতো। এবং কিছু বানান ভুল পেয়েছি। আশা করি, ভবিষ্যতে লেখক এসব বিষয়ে আরো সতর্ক হবেন।
★সার্বিক মূল্যায়ন: আলোচনা- সমালোচনার পরে বলতে হয় বইটি মোটামুটি ভালো লেগেছে। বইটিতে থাকা বিরক্তিকর সংলাপ এবং ১৮ গুলো আরেকটু কম দিলে আরো বেশি বইটি ভালো লাগতো।