বিলাত-আমেরিকা -দুবাইর গল্প বইটির পাণ্ডুলিপি পড়ে মনে হলো আমি যেন নতুনভাবে এসব দেশে আবার ঘুরে এলাম। যাঁরা এসব দেশে গেছেন তাঁদের জন্যে এ বইটি স্মৃতিচারণের এক বলিষ্ঠ মাধ্যম, আর যাঁরা যাননি তাঁদের প্রতিটি প্রবন্ধে মনে হবে, তাঁরা যেন লেখকের সাথে একাত্ম হয়ে এসব দেশ ভ্রমণ করছেন। বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের পর সাধারণ-অসাধারণ মানুষের কাছে গল্প করতে গিয়ে লেখক মনোরম মব্দ চয়নে ও বাক্য গঠনে রম্য-উপস্থাপনায় গল্পগুলোতে নিজের অভিজ্ঞতা ও মনের কথা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন- এগুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। এই বইটি পড়ে আমার বহু দিনের একটি ধারণা দৃঢ় হলো। আমার সৌভাগ্য হয়েছে প্রায় পঁচিশটি দেশে যাওয়ার, যেসব দেশের বেশিরভাগ লোকই ভালো এবং কারো ক্ষতি না করেই নিজ নিজ জীবন যাপনের উৎসুক। এ মহাসত্য\'টি সবাই বুঝতে পারলে এবং উপলব্ধি করতে পারলে আমরা সবাই ভালমন্দের সংমিশ্রণে বিশ্ব শান্তির দিকে এগিয়ে যেতে পারবো। লেখককে আমি চিনি-বহু আগে থেকে চিনি-অন্যভাবে চিনি, তাঁর এ দিকটা আমার জানা ছিলো না। জেনে, পরিচিত হয়ে আমি খুশী হলাম। এ বইয়ের জন্যে তাঁকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।- ড. জামাল নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ইমেরিটাস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যাল।
নূর মোহাম্মদ। চরণদ্বীপ, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনাধীন চিটাগং স্টীল মিলস লিঃ, প্রগতি ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ, ইস্টার্ন কেইবল্স লিঃ, বাংলাদেশ ক্যান কোং লিঃ, গাজী ওয়্যারস লিঃ, জেনারেল ইলেকট্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোং লিঃ-এর প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর/জেনারেল ম্যানেজার। তিন কন্যার জনক। বড় কন্যা সিরাজাম মুনীরা রুমম্ান আমেরিকা প্রবাসী, স্বামী প্রকৌশলী মোহাম্মদ দিদারুল আলাম পান্না স্যামসং টেলিকম্যুনিকেশনস আমেরিকা-র ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার ও উত্তর আমেরিকা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় কন্যা কামরাম মুনীরা রায়হান ও সিদ্দাতাম মুনীরা ফারহান লিংকন্স ইন থেকে বার-অ্যাট-ল করে এখনো বিলাত প্রবাসী। স্ত্রী আবরারা বেগম ফটো সাহিত্যে বি-এ (অনার্স), এম-এ করে লেখকের চালিকা শক্তির ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। লেখক চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করে এখন চট্টগ্রাম জেলাজজ ও সেশনজজ আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন।