একটিও ইংরেজি শব্দ ব্যবহার না করে অনর্গল বাংলায় কথা বলা মানুষ এখন খুব কম পাওয়া যায়। আমরা মনের অজান্তেই প্রতিটি বাক্যে একটি দুটি ইংরেজি শব্দকে সাথী করেই কথা বলি। বর্তমানে প্রায় সবার মাঝেই বাংলিশ ভাষায় কথা বলার প্রবনতা দেখা যায়। আমরা ভাবি জগাখিচুড়ি ভাষাটা আমাদের অতি আধুনিক মানুষে পরিণত করবে। ইংরেজিতে কথা বলতে পারাটা আমরা নিজেদের যোগ্যতা বলে দাবি করি কিন্তু নিজের ভাষা ঠিকমত বলতে না পারার অযোগ্যতাকে এড়িয়ে যাই। সুন্দর করে কথা বলা একটি শিল্প। সুন্দর করে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারাও একটি যোগ্যতা। যে মাতৃভাষা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে সে ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আমাদের ভেতর তৈরি হয়নি। শুধু বিশেষ দিবসে আমরা দেশের প্রতি, ভাষার প্রতি যে সম্মান প্রদর্শণ করি সেটা সারা বছর থাকেনা। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে অবশ্যই ইংরেজি কিনবা অন্য ভাষা জানতে হবে কিন্তু নিজ ভাষার প্রতি সম্মান বজায় রেখে। আমার সন্তান ইংরেজিতে পারদর্শী কিন্তু বাংলা বলতেই চায়না সেটা লজ্জার! একজন বাঙ্গালী মার প্রথম দায়িত্বই সন্তানকে নিজের দেশ এবং মাতৃভাষায় পারদর্শী করে গড়ে তোলা। অমর একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে এবার প্রকাশিত হচ্ছে আমার “ আহ্ মরি বাংলা ভাষা” উপন্যাসটি। অতুল প্রসাদ সেন রচিত “মোদের গর্ব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা” গানটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। এখানে “আ মরি” আনন্দ, অপূর্ব বাংলা ভাষার কথা বলা হয়েছে কিন্তু আমার উপন্যাসে “আহ্ মরি” হতাশা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলা ভাষাকে আমরা কোন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি তারই প্রতিফলন দেখা যাবে বইয়ের প্রতিটি পাতায়।
Shahin Akter Shati। জন্ম ৯ সেপ্টম্বর ১৯৮৫। পিতা মো: মাহবুবুল হক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবি, মাতা শিরিন আক্তার , গৃহিনী। পৈতৃক নিবাস ঢাকা । গ্রামের বাড়ি, ফেনী, মজলিশপুর। বাবার চাকরির সুবাদে শৈশবের শুরুটা কেটেছে খুলানায়। আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবনের শুরু। লেখালেখির হাতেখডিও হয় স্কুল জীবনের শুরুতে। ৩য় শ্রেনীতে থাকতে ' দৈনিক জন্মভূমি' পত্রিকায় ' মা' কবিতা প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে। ঢাকার দক্ষিন মুহসেন্দী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচ. এস. সি পাশ করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন । বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই যুক্ত হন' স্বরকল্পন আবৃত্তিচক্র' নামক সংগঠনে। বর্তমানে দৈনিক প্রথম আলো এবং দৈনিক bdnews 24.com এ লিখছেন। দাদু এম. এ গফুর সারথি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচিত্র ' মুখ ও মুখোশের' গীতিকার । দাদুর অনুপ্রেরনা নিয়ে লেখার জগতে আজন্ম বিচরন করতে চান নতুন প্রজন্মের এই লেখিকা।