প্রাচীন এক জমিদারবাড়িতে বাস করেন শতবর্ষী নারী প্রতিমা দেবী। সঙ্গে থাকে তার নাতির মেয়ে সুনন্দা। তাদের দেখভালের জন্য আছে পুরনো এক কাজের লোক হরিপদ। বাড়ির একমাত্র জীবিত পুরুষ জয়ন্ত চ্যাটার্জি নিরুদ্দেশ। একদিন গবেষণাকাজে এই জমিদারবাড়িতে উপস্থিত হয় একদল আর্কিওলজিস্ট। প্রতিমা দেবী প্রথমে তাদের বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি দিতে চাননি; কিন্তু সুনন্দার প্রবল আগ্রহে আর্কিওলজিস্ট দলটি কিছুদিন জমিদারবাড়িতে থাকার সুযোগ পায়। এরপর ঘটতে থাকে নানা ধরনের রহস্যময় ঘটনা। আর্কিওলজিস্ট দলটি আবিষ্কার করে এই বাড়িটিকে গ্রামের মানুষ এখন ভূতের বাড়ি বলে জানে। সুনন্দাকে মনে করে ডাইনি। একটি সিন্দুকের জন্য এই বাড়ির পূর্বপুরুষরা সবাই খুনের শিকার হয়েছেন। এখনো রাত-বিরাতে তাদের আত্মা ঘুরে বেড়ায় সারা বাড়ি। আর্কিওলজিস্ট দলটিকে চলে যাওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। এক রাতে সত্যি সত্যি একজন খুন হয়ে যায় এ বাড়িতে! কে খুন করেছে তাকে? গ্রামের চেয়ারম্যান তবারক ভূঁইয়া, সুনন্দা, নাকি তৃতীয় কেউ! একটি পুরনো জমিদারবাড়িকে ঘিরে এ-গল্প আবর্তিত হলেও এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই বাংলার অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য, গ্রামীণ মানুষের সংস্কার।