"এক শেতাঙ্গিনী মারিয়া" বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা মনের মানুষের জন্য অপেক্ষা খুবই কষ্টের। চারটা বেজে আরও পাঁচ মিনিট হয়ে গেলে কিরণ মনে মনে ভাবতে লাগল—তাহলে কি মারিয়া আসবে না? শুনেছি, ইউরােপের মেয়েরা নাকি অনেক সময় আবার আসবে বলে সময় দিয়ে পরে হিসাব-নিকাশ করে ভালাে মনে না করলে আসে না। আমার বেলায়ও নাকি তাই ঘটল বলে মারিয়া আসছে না। এসব হিজিবিজি চিন্তা করতে গিয়ে কিরণ মনটা খারাপ করে দাঁড়িয়ে রইল। কিন্তু ঠিক চারটা বেজে দশ মিনিটের মাথায় কিরণ চোখ ঘুরাতে গিয়ে দেখে একদিক থেকে মারিয়া সময় চলে যাচ্ছে এমন একটা ভাব নিয়ে দ্রুত হেঁটে আসছে। আর তাকে দেখেই কিরণ ঈদের চাঁদ দেখার মতাে খুশিতে চমকে উঠে, ঐ যে শ্বেতাঙ্গিনী মারিয়া আসছে বলে তার আগমন পানে চেয়ে রইল। তারা দু'জনে একে অপরের প্রতি প্রবল আকর্ষণে একসাথে থেকে জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু করতে রাস্তায় বের হয়ে আসল। রাস্তায় এসে হেঁটে দুজনে কিরণের বাসার দিকে যাওয়ার সময় প্রথমে মারিয়া তার হাত ধরে হাঁটতে লাগল। তখন কিরণ তার গালে কয়েকটা চুমু দিয়ে পরে তার কোমর হাত দিয়ে বেড়িয়ে ধরলে মারিয়াও তার কোমর হাত দিয়ে বেড়িয়ে ধরে দুজনে হাঁটতে লাগল। আর এ সময় কিরণ তার গালে কিছুক্ষণ পর পরই চুমু দিয়ে যেতে থাকলে, মারিয়া নিজের উত্তেজনা থামাতে তার কাঁধে মাথা রেখে হেঁটে চলল।