এই বইয়ের লেখাগুলো অন্য সধারণ গল্পের মতো নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করেছে বা করছে এমন আটজনের জীবনের মোড় ঘোরানো সত্যি গল্প এগুলো। খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এখন থেকে দুই/তিন দশক আগের গল্পের সাথে একদম নতুন ঘটনাগুলো-ও কেমন যেন মিলে যায়! যেন একটা নির্দিষ্ট সুর ঘুরে ফিরে আসে সবার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। এর কারণ, আসলেই উচ্চশিক্ষা বিষয়ক আমাদের সাধনাগুলো মোটামুটি একই রকম স্বপ্নকে ঘিরে আবর্তিত হয়। br উচ্চশিক্ষার স্বপ্নটা আমাদের সবার ভেতরেই কখনো না কখনো উপ্ত হয়Ñ কারো ভেতরে আগে, কারো ভেতরে পরে। বিষয়টি নির্ভর করে আমরা কখন এ বিষয়ে সচেতন হই তার ওপর। এই সচেতনতা যার যত আগে হবে, ততই সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা। উচ্চশিক্ষার জন্য আমরা কোথায় যাবো, কি নিয়ে পড়াশোনা করবো, তার ভবিষ্যত-ই বা কী, এসব বিষয় নিয়ে নানান প্রশ্ন তৈরি হয়। কারণ, উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য কেবল একটি ডিগ্রি অর্জন নয়; বরং এর মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নিজেদেরকে আরো সুযোগ্য করে তোলার লক্ষ্য থাকে। br এই বইয়ের গল্পগুলো ব্যক্তিগত বিষয় ছাড়িয়ে তাই উচ্চশিক্ষা নিয়ে আমাদের চিরন্তন অনুভূতির প্রকাশ হয়ে উঠেছে। লেখকদের স্বপ্ন, সাধনা ও অর্জনের উপাখ্যানগুলো ভবিষ্যত শিক্ষার্থীদের জন্য পথনির্দেশিকা হিসেবে কাজ করবে।
এদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে যে ক’জন আপন আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছেন এবং বিশেষভাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন তাঁদের মধ্যে একজন শামীর মোন্তাজিদ। তিনি একাধারে একজন বিজ্ঞানী, গবেষক, পর্যটক, অনলাইন শিক্ষক এবং লেখক। আয়মান সাদিকের প্রতিষ্ঠা করা বিখ্যাত অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম ‘টেন মিনিট স্কুল’ এর চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন, এবং একইসাথে এই দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরির মাধ্যমে অর্থাৎ অনলাইন ভিডিও এর মাধ্যমে লেকচার দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট অনলাইন শিক্ষক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের লেকচার সমৃদ্ধ অন্তত চার শতাধিক ভিডিও তিনি তৈরি করেছেন। তিনি ‘হাইজেনবার্গ’ নামে সকলের নিকট অধিক পরিচিত। শিক্ষাজীবনে তিনি ছিলেন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর শামীর মোন্তাজিদ ২০১১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন এবং এখান থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে ডীন’স অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ফেলোশিপ এর বৃত্তি লাভ করেন এবং সেই সুবাদে বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। বর্তমানে সেখানে মেডিকেল সায়েন্সের উপর পড়াশোনা করছেন ও সেই সূত্রে যুক্তরাজ্যেই বসবাস করছেন। বর্তমানে ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। শামীর মোন্তাজিদ লেখালেখির ক্ষেত্রেও বেশ সিদ্ধহস্ত। শামীর মোন্তাজিদের বই এর সংখ্যা বেশি নয়। তিনি মূলত লেখালেখি করেন তাঁর নিজস্ব ওয়েবসাইট ‘shamirmontazid.com’-এ, যেখানে তিনি ৬০টির বেশি ব্লগ লিখেছেন নিজের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই। তিনি খাওয়াদাওয়া করতে ও রান্না করতে খুব পছন্দ করেন এবং আরো বেশি পছন্দ করেন দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করতে। এসব বিষয় নিয়েই লেখা হয়েছে শামীর মোন্তাজিদ এর বই সমূহ। শামীর মোন্তাজিদ এর বই সমগ্র এর মধ্যে একটি প্রকাশিত হয়েছে, যার নাম ‘হাইজেনবার্গের গল্প’। আরেকটি শীঘ্রই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, যার নাম ‘উড়ছে হাইজেনবার্গ’, যেখানে তাঁর ভ্রমণের তীব্র নেশা থেকে বিভিন্ন দেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ার ও সেসব ভ্রমণের বিভিন্ন মজাদার কাহিনী উঠে এসেছে। তিনি তাঁর লেখালেখির মাধ্যমে এদেশের তরুণ সমাজকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছেন।