কথায় বলে, ‘আমরা তাই, যা আমরা খাই’। পরিমিত খাদ্যগ্রহণ যেমন আমাদের দীর্ঘায়ু লাভের উছিলা হতে পারে, তেমনি অতিভোজন বা প্রয়োজনের চেয়ে কম খাদ্যগ্রহণ স্বাস্থ্যহানি কিংবা অকাল মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমরা সাধারণত রোগাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের কাছে যাই। তিনি তখন অনেকগুলো টেস্ট করাতে দেন, ওষুধ খেতে দেন। রোগ বিপজ্জনক পর্যায়ে গেলে অপারেশনও করাতে হয় আমাদের। এসব ওষুধ কিংবা অপারেশন যেমন আমাদেকে রোগমুক্ত করে, আবার অনেক সময় দেহে অন্য একটি রোগের সৃষ্টিও করেÑ যা দীর্ঘায়ু লাভের অন্তরায়। তাই চিকিৎসকের কাছে যাবার আগেই সুস্থ থাকার চেষ্টা করা উচিত একজন মানুষের। আর এজন্য স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জন খুবই জরুরি। ইন্টারনেটের এ যুগে অনলাইনে ভেসে বেড়াচ্ছে নানা বিষয়ে জ্ঞানের অপরিমেয় ভাÐার। এর মধ্যে স্বাস্থ্যবিষয়ক অনেক টিপসও আমাদের চোখের সামনে পড়ে। কখনো পড়ি, কখনো পড়ি না। না পড়া বিষয়টির যখন প্রয়োজন হয়, তখন আবার খুঁজে পাই না। এই বইতে এমন ১০০টি বিষয়ের বেশ কয়েকশ মহামূল্যবান পরামর্শ ও নির্দেশনা আমরা একই মলাটের ভেতর একত্রিত করে দিলাম। আশা করি বইটি আপনার সুস্থ থাকতে খুবই কাজে লাগবে এবং আল্লাহর রহমতে দীর্ঘায়ু লাভে সহায়ক হবে।
Title
রোগব্যাধি ও স্বাস্থ্য সচেতনতায় ১০০ টিপস মানুন ১০০ বছর বাঁচুন
চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় হওয়ায় ছোট তিন ভাইয়ের পড়ালেখার সক্রিয় দিক নির্দেশনা দেয়ার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে তার । তার হাত ধরেই প্রত্যন্ত গ্রামের প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ, ঢাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ-মতিঝিল, নটরডেম কলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ইংল্যান্ডের বিশ্বসেরা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা ও গবেষণার সমন্বয় ঘটেছে তার পরিবারে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণা করছেন। পেশায় পুস্তক প্রকাশক। খবর পড়েন বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৫ সালে বিএ (অনার্স) ও ১৯৯৬ সালে এমএ) পাশ করেছেন। ছাত্রজীবনেই সাংবাদিকতা শুরু করেন। এসময় দেশের প্রথম শ্রেণির পত্র-পত্রিকায় ছোটগল্প লেখেন অনেক। নিয়মিত সাহিত্য সভায় অংশ নিয়েছেন বহুবছর। তিনি একজন আবৃত্তিশিল্পী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সাহিত্যের বাচিক চর্চাকেন্দ ‘কণ্ঠশীলন’-এ কাজ করেছেন প্রায় ১০ বছর। এখন আবৃত্তি সংগঠন ‘বাকশিল্পাঙ্গন’-এর সাথে যুক্ত। ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারে অনুষ্ঠান করেন। বর্তমানে বেতারে বাংলা সংবাদ পাঠ ছাড়াও ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘উত্তরণ’ করেন নিয়মিত । তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিয়মিত সংবাদ পাঠক। ছাত্রজীবনে ৩ বছর ও কর্মজীবনের প্রথম ২বছর- এই ৫ বছর সাংবাদিকতার পর ১৯৯৯ সালের ১ জানুয়ারি পুস্তক প্রকাশনা ব্যবসাকে পেশা হিসেবে নেন। শিক্ষাবিষয়ক পুস্তক প্রকাশনা ব্যবসা চালাতে গিয়ে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অনেক বই রচনা এবং সম্পাদনা করতে হয় তাকে। দেশে পুস্তক ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি’র পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন দুইবার। এসময় তিনি শিক্ষাঙ্গন, শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি নীতি দেশে প্রস্তাবিত। শিক্ষা আইন ইত্যাদি নিয়ে কাজ করার সুযোগ পান। সম্প্রতি তিনি রচনা করেন প্যারেন্টিং বিষয়ে “আপনার সন্তান হবে স্বপ্নের চেয়ে বড়” বইটি।