"কৃষ্ণচূড়ার সেই দিনগুলি" বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা কারাের প্রতি দুর্বলতা থেকে প্রেম ও কাউকে ভালােলাগার মনের দুর্বলতা জন্য সেই প্রেমের প্রকাশ ঘটে। যা সব ধরনের বাধা অতিক্রম করে বিরহ মনে কষ্টের বন্যা বয়ে দেয়। যে কাছে এলে সুখের অনুভূতি জাগ্রত করে সেই থেকে হয় ভালােবাসা। সেই ভালােবাসার অগােচরে ঘটে হৃদয়ে ব্যথা, জাগ্রত করে অপরাধবােধের। যখন কারাে মনে বাসা বাঁধে কষ্টের, সেই কষ্টকে লাঘব করতে নিজের মনে ঘটে যাওয়া অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে যার সাথে অন্যায় করা হয়েছিল সেই ব্যক্তির নিকট ক্ষমা চাওয়ার শেষ সুযােগ হারিয়ে যায়। সে তখন নিজের করা অন্যায়কে ঘিরে অপরাধবােধ থেকে হৃদয়ে ব্যথা আর হৃদয়ের সেই ব্যথা থেকে বিবেকবান লােকের মনে সংকোচ। সংকোচ থেকে শুরু হয় না-ঘুমানাের রােগ। সেই সাথে মস্তিষ্কের বিকৃতি অর্থাৎ হ্যালােসিনেশন। হ্যালােসিনেশন একটি মনের সৃষ্টি করা রােগ। এ রােগ সৃষ্টিকারী ব্যক্তি নিজেই। কোনাে বিষয়কে স্বাভাবিক মনে করে মেনে না নিয়ে তার ব্যাখা খোঁজার চেষ্টা করা। সেই ব্যক্তি নিজে নিজেই মনের সকল তথ্য সংগ্রহ করে, সেই তথ্য থেকে নিজের মনের মতাে করে ডাটা কালেকশন করে, ঘটে যাওয়া সবকিছুর জন্য নিজেকে দায়ী করে অন্যায়ের শাস্তি নিজের উপর অর্পণ করে। নিজেকে সকল সামাজিকতা থেকে বিরত রাখে। সর্বক্ষণ তা নিয়ে নিজ মনেই ভাবে। নিজে নিজেই অন্য এক জগৎ তৈরি করে নেয়, তখনি হ্যালােসিনেশন ঘটে। এই হ্যালােসিনেশনের জন্য অনেক তরুণপ্রাণ অকালে ঝরে পড়ে, যা আমাদের কারােরই কাম্য নয়।