বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র হবে বাংলাদেশ। কিন্তু সমাজে বিদ্যমান ধনী-দরিদ্রের তীব্র সম্পদ-বৈষম্য কি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হবে? নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। রাষ্ট্র ধনী হতে পারে, কিন্তু সমাজে মানুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করা অন্য বিষয়। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ হতে পারতো সুষম আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অব্যর্থ সূত্র । কিন্তু জাতির পিতার আদর্শ সম্পর্কে রাষ্ট্র বা সমাজ পরিষ্কার ধারণা রাখে কি? আমার মনে হয় না। মুখে বঙ্গবন্ধুর নাম নেয়া, আর বাস্তব জীবনে তাঁর আদর্শ অনুসরণ করা দুটো ভিন্ন বিষয় । বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অধ্যয়ন করে আমার মনে হয়েছে এই মহান ব্যক্তিত্বের আদর্শ বাস্তবায়িত হয়নি বলেই অদ্যাবধি বাংলাদেশ সোনার বাংলায় পরিণত হয়নি । এর জন্য অবশ্যই জাতির পিতার খুনিচক্র দায়ী। ১৯৭৫ সালে বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালে প্রত্যাবর্তন করে দেশ ও দলের হাল ধরেন তিনি । বঙ্গবন্ধুর আদর্শের যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত জাতীয় সাফল্যকে মাঝে মাঝেই ম্লান করছে এক শ্রেণির রাজনীতিবিদ 3 আমলার দুর্নীতি আর অপরাধপ্রবণতা। বাংলাদেশকে একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু । ভোগবাদী, মুনাফালোভী, দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর কেউ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শের স্বরূপ উদ্ঘাটন করা হয়েছে এই গ্রন্থে। পাশাপাশি মৌলিক গবেষণাকর্ম দ্বারা উদ্ঘাটিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর গণমাধ্যম ভাবনা। একটি মানবিক, সমাজবাদী ও প্রগতিশীল রাষ্ট্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ আর গণমাধ্যম ভাবনা বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে এই গ্রন্থে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামের শেখাবাদে ১৯৮১ সালে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম হয় শেখ আদনান ফাহাদের। বাবা ভাষা সংগ্রামী, মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শেখ মো. আবু হামেদ ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে গ্রামে ফিরে যান। সেখানে তিনি সরাইল ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন । সরাইল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ আবু হামেদ-এর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ আদনান ফাহাদের মা মরহুম নূরজাহান বেগম রত্নগর্ভা বলে পরিচিত ছিলেন। শেখ আদনান ফাহাদ ১৯৯৮ সালে কুমিল্লা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার মানবিক শাখায় ১৮তম স্থান অর্জন করেন। ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই যোগদান করেন বার্তাসংস্থা ইউএনবি'তে। ইউএনবির প্রতিনিধি হিসেবে ২০০৬-২০০৮ পর্যন্ত কাজ করেছেন আওয়ামী লীগ বিটে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিডিয়া টিমে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিডিয়া টিমের সদস্য হিসেবে ২০০৯-২০১১ সালে কাজ করেছেন বিশ্বের কমপক্ষে ১৫টি দেশে। সাংবাদিকতা জীবনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগে ২০১৯ সালের ২১ মার্চ থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। নিয়মিতভাবে বিভিন্ন জার্নালে গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হচ্ছে শেখ আদনান ফাহাদের। ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে সংবাদের পূর্ব-পশ্চিম নামে একটি গবেষণাগ্রন্থ। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে