"রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বধ্যভূমি" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ প্রফেসর আবদুল খালেক পেশায় একজন অধ্যাপক। তাঁর কর্মজীবনের প্রায় সবটাই অতিক্রান্ত হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপনায়। যে কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অধিকাংশ শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীর সঙ্গে ছিলাে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। এছাড়া রাজনৈতিক দর্শনের ক্ষেত্রে কোন শিক্ষকের অবস্থান কোথায় সে সম্পর্কেও ছিলাে তার সুস্পষ্ট ধারণা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ দিনগুলােতে তিনি কখন কোথায় অবস্থান করেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের কি ভয়াবহ পরিণতি ঘটেছিলাে তিনি প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সে সব ঘটনার মূল্যায়ন প্রয়াসী হয়েছেন। ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বধ্যভূমি' শীর্ষক গ্রন্থের ছয়টি অধ্যায়ে মূলত এ সব ঘটনারই প্রাণবন্ত ও হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা স্থান পেয়েছে। বাংলার মুক্তিযুদ্ধকে যাদের দেখার সৌভাগ্য ঘটেনি, বিশেষ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা অবস্থান করছেন তাদের জন্য এ গ্রন্থখানির গুরুত্ব অপরিসীম। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে আমাদের যত গৌরব সে ক্ষেত্রেও এ গ্রন্থের গুরুত্ব অপরিসীম। ড, শামসুজ্জোহা, অধ্যাপক হবিবুর রহমান, অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দার, অধ্যাপক মীর আবদুল কাইউম প্রমুখ অধ্যাপক সহ আরাে যে সব শিক্ষার্থী কর্মকর্তা কর্মচারী শহীদ হন তাদের গৌরবােজ্জ্বল ইতিহাসও এ গ্রন্থে স্থান পেয়েছে ভিন্নমাত্রায়। প্রফেসর আবদুল খালেক একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন ইতিহাসের বিস্মৃতপ্রায় এক অধ্যায়কে পুনরুদ্ধার করে জাতীয় জীবনে স্মরণীয় ও বরণীয় হওয়ার এক দুর্লভ সৌভাগ্য অর্জন করলেন। এ গ্রন্থের আবেদন শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে সীমাবদ্ধ থাকবে না, মুক্তিযুদ্ধপ্রিয় প্রতিটি মানুষের হৃদয়কে আলােড়িত ও আন্দোলিত করবে।
Title
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বধ্যভূমি