১৯৭৫ সালের ১৫-ই আগস্ট সংঘটিত স্বপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেশ-বিদেশী পত্রিকাগুলো যতটা সহজভাবে উপস্থাপন করেছিল, বাস্তবে কোন অবস্থাতেই হত্যাকান্ডটি ততটা সহজ ছিল না। একটি পরাশক্তির বিরোধিতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা পাওয়া, ৯৩ হাজার সৈন্যের মাথা নিচু করে অস্ত্র সমার্পনের মাধ্যমে পাকিস্থান সেনাবাহিনীর দুঃসহ পরাজয়, মুক্তিযুদ্ধে দেশীয় স্বাধীনতা বিরোধীদের স্বাধীনতাকে মেনে না নেওয়া, সেই ৭১ সাল থেকেই শেখ মুজিবকে উৎখাত করার দৃড় সংকল্প নিয়ে এবং পরাজয়ের প্রতিশোধে সকল স্বাধীনতা বিরোধীরা একজোট হয়ে ষড়যন্ত্রের এক গোপন আঁতাত গড়ে ওঠে। লিফসুলজের মতে, ঐ গোপন আঁতাতের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন একজন জেনারেল। কিভাবে তিনি পর্দার অন্তরালে থেকে সেনাবাহিনীতে শেখ মুজিব ও ভারত বিরোধীতার গুজব ছড়িয়ে দিতেন এবং খুনীদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরনা যুগিয়ে শেখ মুজিব হত্যাকান্ডে ভূমিকা রেখে এক এক করে রক্তাক্ত সিড়ি পেরিয়ে একজন সামান্য সেনানী থেকে পৈতৃক সম্পত্তিরমত একটি রাষ্ট্রের মালিক বলে গেলেন এবং নিজের রাজত্ব কায়েম করলেন তা জানা যাবে “বঙ্গবন্ধু হত্যাকন্ড ও জেনারেল জিয়া”- নামের এই বইটি থেকে।