"আমার সুন্দরী ইয়োগা ট্রেনার" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: ফারুক কাদের পরিণত বয়সে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ আমাদের উপহার দিয়েছেন দশটি চমৎকার গল্প। রয়েছে গ্রন্থটিতে, যাদের নিখুঁত বা অসাধারণ বলা যাবেনা, না পড়ে ফেলে রাখার মতও বলা যাবেনা। বহুদিনের প্রস্তুতির ছাপ রয়েছে গল্প গুলিতে। অত্যন্ত পাঠযােগ্য এই দশটি গল্প চমৎকার গদ্যে লেখা। আকর্ষণীয় মনাে-বিশ্লেষণ, মানুষের প্রতি ভালবাসা ও জীবনের অর্থ খোঁজার আন্তরিক চেষ্টা দেখি। দেরীতে লেখা শুরু করলেও ফারুক কাদের গুণী লেখক। নাম গল্পটি কসমােপলিটান জীবনের চিত্র তুলে ধরেছে। গল্পটিতে লেখকের রসবােধ ধরা দেয়। নিয়ন্ত্রিত রসবােধ গল্পকারের সম্পদ। অস্ট্রেলিয়ার প্রেক্ষাপটে রচিত তিনটি গল্প, “পাতা ঝরার দিন”, “পালাবদল”ও “ক্যাসুয়াল টীচার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এ গুলাে বাংলা ডায়াসপােরা সাহিত্যের অংশ হয়ে। থাকবে। “রশীদের আজ ও আগামীকাল” নামক গল্পটিতে বাংলাদেশের বাস্তব ধরা দিয়েছে তার সবটুকু নিষ্ঠুরতা ও কাঠিন্য নিয়ে। একাত্তুরের রুড় বাস্তব তুলে ধরে “অন্তহীন যাত্রা”। বাংলাদেশের গ্রামও লেখক ভাল চেনেন। ফারুক কাদের অপার সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছেন পাঠকের কাছে। তাকে বরন করে নিতেই হবে। কিছু গল্প আরও বড় হতে পারত, দু একটি শব্দ বদলে দেয়া যেত। “আমার সুন্দরী ইয়ােগা ট্রেনার” তবু আকর্ষণীয় প্রথম গল্পগ্রন্থ।