"বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ : ভাষা-সংস্কৃতির সংগ্রাম" বইটির লেখকের কথা নামক অংশ থেকে নেয়াঃ “কিছু মানুষকে কিছু সময়ের জন্য বােকা বানানাে যায়, তবে সকল মানুষকে সকল সময়ের জন্য বােকা করে রাখা যায় না” ‘১৬তম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন এর ঐ বিখ্যাত উক্তির সত্যতা চিরকালীন। সবাইকে সব সময় বােকা করে রাখা যায় না। এই বাংলাদেশেও কিছু ব্যক্তি, মহল অপশক্তির প্রভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গর্বিত ইতিহাসকে নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা সবাইকে বােকা ভাবে, কিন্তু তা তাে নয়। এদেশে স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এখনও এই মানসিকতায় কোন কোন ব্যক্তি, মহল কঢ়িল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দুঃখজনক যে কোন-কোন প্রচার মাধ্যমও এই অপপ্রচারকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের অর্জন, ইতিহাসকে খর্ব করতে চায়এটি খুব দুঃখের, এটি ক্ষোভের, এটি প্রতিবাদের.... আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানানাে দরকার বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর নানা সংগ্রামী ইতিহাস। সেই লক্ষ্যে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, বেগম রােকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর শাখার আয়ােজনে নিয়মিত পাঠচক্রে আমাকে আমন্ত্রণ জানানাে হয়। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক সংগঠনের ভূমিকা শীর্ষক পাঠচক্রটিতে আমি মূল বক্তব্য উপস্থাপন করি। বেগম রােকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের সহযােগী অধ্যাপক উমর ফারুকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্যানেল আলােচক ছিলেন একই বিভাগের সহযােগী অধ্যাপক আপেল মাহমুদ, অর্থনীতি বিভাগের তরুণ শিক্ষক কাজী নেওয়াজ মােস্তফা ও বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্র রংপুরের সমন্বয়ক সৈয়দ আরিফুল ইসলাম আরিফ। প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ। শিক্ষার্থীরা আমার কাছে মূলবক্তব্যটি লিখিত প্রবন্ধ আকারে পাওয়ার অনুরােধ জানায়। তাই আমার বক্তব্যের লিখিত রূপ দিতে গিয়ে বিষয়টির বিস্তৃত বর্ণনায় এর কলেবর বেশ বড় হয়ে যায়। শুভাকাঙ্ক্ষীরা গ্রন্থাকারে প্রকাশের কথা বলেন। তখন আমি প্রবন্ধটিকে একটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ করার প্রচেষ্টা নেই। পাণ্ডুলিপিটির প্রস্তুতি শেষ হলে অনুরাগীদের পরামর্শে এর নাম দেই ‘বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ: ভাষা-সংস্কৃতির সংগ্রাম।