বাবার মৃত্যুর পর নরডিক অঞ্চলের জাদুকরদের নেতা বনে যায় সিওরেন আটারডেগ। একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে লেকচার দেয়ার সময় অসুস্থ বােধ করে সে। তাকে রক্ষাকারী ট্রলেরও কোন হদিস নেই। সে বুঝতে পারে মহাশক্তিধর ডেমন হামজাদ তার পিছু লেগেছে। কিন্তু কেন? কেউ কি আছে এর পেছনে?br স্বামী সিওরেনকে খুশী করতে নিজের ট্রল জ্বিন করুকারাকে পােষ মানাবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে আইরিন। তাকে সাহায্য করছে সিওরেনের বােন এলিসাও। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। পােষ মানছে না কুরুকারা। এমন সময় একদিন সিওরেন এসে হাজির হয় অসুস্থ অবস্থায়। ক্রমেই এক জটিল পরিস্থিতির মুখােমুখি হয় তারা। ডেকে আনে মৃত আর ভয়াল এক পরিবেশ। প্রাণ বাঁচাতে ঘর ছাড়ে আইরিন তার একমাত্র সঙ্গী কুরুকারাকে নিয়ে। পেছনে তাড়া করে ফিরছে এক অজানা অচেনা শত্রু।br মা বাবাকে হারিয়ে বিমর্ষ অবস্থায় ইরফান। কুমিল্লা থেকে ফেরার পর নতুন করে কাজ শুরু করে সে। মিরপুরে এক অসুস্থ মেয়ে শেহতাজকে সুস্থ করে তুলতে গিয়ে ভয়ঙ্কর এক বিপদের সম্মুখীন হয়। গভীর জঙ্গলে বাস করা এক প্রাণী তাকে ডাকে প্রতি রাতে। নিঃসঙ্গ ইরফান, ভৌতিক প্রাণী, আর এক নরপিশাচ। ইরফান কি পারবে শেহতাজকে সুস্থ করে তুলতে? আর সেই সাদা আলাের রহস্য, সেটাই বা কী?
জাবেদ রাসিনের জন্ম ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায়, তবে বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তার প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস "ব্ল্যাকগেটত্ত প্রথম কাব্যগ্রন্থ "শূন্য পথের আপেক্ষায়"। ইতোমধ্যে প্রকাশিত 'ব্যাকক্সিট", "সার্কেল" ও "ডগমা", তিনটি জনপ্রিয় স্পাই থ্রিলার যা "সার্কেল ট্রিলোজি" নামে পাঠক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। তবে "তমিসা ভুবন" নামে সিরিজটি তাকে পাঠকের কাছে আলাদা পরিচিতি এনে দিয়েছে। এই সিরিজের বই "তমিস্রা", "অসূয়া" ও "বিস্তৃত আঁধার" এর মধ্যেই প্রকাশিত হয়ে পাঠক সমাদৃত হয়েছে। এ ছাড়াও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী "সময়ের সিঁড়ি বেয়ে একটি বুলেট" ও রোমান্টিক উপন্যাস "চন্দ্রাহত"ও প্রকাশিত হয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।