পাকিস্তানি এক কমান্ডার। যিনি ছিলেন মস্তবড় পেটুক। একদিন তার ডাব খাওয়ার ইচ্ছে হলো। রাজাকার সাদেক গাজীর মাধ্যমে ধরে আনলেন রাতুলকে। কিশোর ছেলে। গাছে উঠতে পারে সে। ঘটনাক্রমে রাতুল একটি ফর্মুলা শিখিয়ে দিলো, যা প্রয়োগ করে যখন খুশি তখন ডাব খেতে পারবে কমান্ডার। কয়েকদিন পর মৌচাক থেকে মধু খেতে ইচ্ছে হলো কমান্ডারের। ডাবের ফর্মুলা মৌচাকে প্রয়োগ করলো সে। কী সেই ফর্মুলা? সেটি প্রয়োগ করার পর কী ঘটেছিল সেদিন? তুহিন। কিশোর বয়স। মা কে নিয়েই সংসার তার। ভেলজাল দিয়ে মাছ ধরে কোনো রকম কেটে যাচ্ছিল দিন। হঠাৎ গ্রামে মিলিটারিরা প্রবেশ করে। ক্যাম্প গড়ে। প্রতিদিন সকালে এসে কমান্ডার তুহিনের ভেলজালে ওঠা মাছগুলো নিয়ে চলে যায়। ফলে উপোস থাকতে হয় তাদের। কমান্ডারকে চরম একটি শিক্ষা দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করে সে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এগুতে থাকে। কী সেই পরিকল্পনা? অত বড় শক্তিশালী একজন কমান্ডারকে শিক্ষা দিতে পারে সে? কী ঘটেছিল তারপর? স্কুল মাঠে ক্যাম্প গড়ে হানাদার বাহিনিরা। প্রতিদিন গ্রামের মানুষগুলোকে ধরে এনে অমানসিক নির্যাতন করে। মাঠের কোণে পুরনো দুটি বটগাছে তাদেরকে বেঁধে গুলি করে মারে। এসব দেখে সহ্য হচ্ছিল না গাছ দুটোর। যেভাবেই হোক হানাদারদের তাড়াতে হবে। বন্ধু বাতাস দলদের খবর দেওয়া হলো। আলাপ-আলোচনার পরে তাদেরকে পাঠানো হলো মিশনে। ব্যর্থ হলো বাতাস দল। উপায় না পেয়ে বটগাছ দুটো আত্মঘাতী এক সাহসী সিদ্ধান্ত নেয়। কী সেই সিদ্ধান্ত? বাতাস দলের মিশনটিই বা কী ছিল? কেন ব্যর্থ হলো? তারপর কী ঘটল? বই খুললেই উত্তর। সঙ্গে ভিন্ন স্বাদের আরও দুটি গল্প। তবে আর দেরি কেন!
জনি হোসেন কাব্য। জন্ম ৫ মার্চ ১৯৯৬, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে, নানার বাড়িতে। বাবা মফিজুর রহমান ও মা আমেনা বেগমের মেঝো ছেলে তিনি। ৫ম শ্রেণিতেই লেখালিখির হাতেখড়ি। পরে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, নয়া দিগন্ত, বাংলাদেশ সময়, পূর্বদেশ, সোনার দেশ, ভোরের কাগজসহ স্থানীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, পাক্ষিক, ষাণ্মাসিক ও বার্ষিক পত্রপত্রিকায় লেখালিখি করেন। পাশাপাশি মাসিক শিশুকিশোর ম্যাগাজিন 'ভোঁদৌড়' সম্পাদনা করছেন।