”বেঁচে থাকার গান”বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা: মধ্যবয়সী হতদরিদ্র বর্গাচাষি রহিম মিয়া ভীষণ অসংযমী মানুষ হিসেবে পরিচিত। স্ত্রী জুলেখাকে হরহামেশা গালাগাল দেয়া মানুষটা রমজান মাসে করে ফেলল ভীষণ পাগলামি এক কাজ। পুরাে সমাজ তাকে ধিক্কার জানাল, তার সংযম বৃদ্ধির জন্য মসজিদে পর্যন্ত করা হলাে মােনাজাত। সমাজের তৈরি করা আয়নায় রহিম মিয়ার যে অবয়ব দেখানাে হলাে সেটাই কি চুড়ান্ত সত্য চিত্র, নাকি আয়না থেকে সিলভার প্রলেপ তুলে নিলে ওপাশে দেখা যাবে তারচেয়েও কুৎসিত দৃশ্য? প্রমাণ হয়ে যাবে কে প্রকৃত সংযমী, কোথায় আছে সত্যিকারের ‘সংযম? র্যাব অফিসার নিষ্কল্প হাতে গুলি করলেন রবিউলকে। রবিউলের হাহাকার, প্রাণ ভিক্ষা মুহূর্তের মধ্যে হারিয়ে গেল একটা বুলেটের আঘাতে। কিন্তু নিরীহের নিষ্ফল হাহাকার কি আদতে হারিয়ে যায়? হাহাকার বাড়তে থাকে, এক সময় ফিরে সুদে আসলে ফিরে আসে। বুলেটের ক্রসফায়ার’ বহুগুন বড়াে হয়ে ফিরে আসে স্বয়ং ঘাতকের দিকে। পলাশ আহমেদ আদ্যোপান্ত ফেঁসে গেলেন। ধর্ষণ ও খুনের সব প্রমাণ চলে গেল তার বিপক্ষে। জগতের সব চোখ যা দেখে, ভালােবাসার মানুষের কাছে এর ব্যত্যয় হতে পারে বলেই তাকে প্রিয়জন বলে । পলাশ আহমেদের দুর্ভাগ্য, জগতের সব চোখের সমান্তরালে দীপালিও চলে গেল। তারপর...জীবনের যাত্রাপালার মঞ্চ গুটিয়ে যাওয়ার আগে পলাশ চিঠি লিখলেন দীপালিকে। বিশ্বাস কতটা জীবনদায়ী এবং অবিশ্বাস কতখানি মরণঘাতী হতে পারে সে কথা বলে গেল ‘কয়েদীর চিঠি। সবশেষে তরুণ লেখক রাফি, মুখােমুখি হলাে জীবনের অবিশ্বাস্য এক বাস্তবতার। এমন বাস্তবতা যা সে আগে দেখেনি, শুনেনি এমনকি কখনাে কল্পনাও করতে পারেনি। আচ্ছা, সে যা দেখেছিল তা কি আসলেই সত্যি? জন সমুদ্রের ঢাকা শহরে কীভাবে এমন বাস্তবতা লুকিয়ে থাকতে পারে? যে সত্যি থেকে সে পালিয়ে যাচ্ছে, সেটাকে উপেক্ষা করে ‘বঁচে থাকার গান গেয়ে যাওয়া আদৌ তার। পক্ষে সম্ভব?