ওবায়দুল সমীরের জন্যে তিন উল্লাস বাংলা ছড়াকে প্রথম মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী। আজ থেকে একশ কুড়ি বছর আগে বাংলা ১৩০৬ সালে যোগীন্দ্রনাথ সরকারের খুকুমনির ছড়া বইটির ভূমিকা লিখতে গিয়ে তিনিই প্রথম ‘ছড়াসাহিত্য’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। ছড়াকে ছড়াসাহিত্যের মর্যাদায় সমুন্নত রাখতে ছড়াকারদের চেষ্টার কমতি নেই। কখনো প্রবীনদের প্রদর্শিত পথে হেঁটে, কখনো প্রবীনদের প্রদর্শিত পথকে অস্বীকার করে নবীন ছড়াকাররা ছড়াকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছড়ার ধারায় মেধার ঝিলিক দেয়া তরুণদের তালিকায় একটি উজ্জ্বল নাম ওবায়দুল সমীর। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তেরো। ওবায়দুল সমীর রচিত ছড়ার সংখ্যাও কম নয়। ছড়াকার এবং শিশুসাহিত্যিক হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি পাঠকের সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছেন। পত্র-পত্রিকা এবং অন্তর্জালে তাঁর ছড়া নিয়মিতই প্রকাশিত হয়। তাঁর ছড়ার একজন অনুরাগী পাঠক হিসেবে আমি লক্ষ্য করেছি যে, ছন্দ এবং মিলের ব্যাপারে সমীর একজন সতর্ক অভিযাত্রী। এই মুহূর্তে আমার জন্যে সবচে আনন্দের সংবাদটি হচ্ছে- আমাদের ছড়ার আকাশে দীপ্যমান নক্ষত্রপুঞ্জে চট্টগ্রামের ছড়াবন্ধু ওবায়দুল সমীর নতুন একটি আলোকোজ্জ্বল তারাবাতি সংযোজন করতে যাচ্ছেন। নাম ‘ভূত ক’প্রকার এবং কী কী’। পুরো বইটাই সাজানো হয়েছে একগুচ্ছ ভূতের ছড়া দিয়ে। পা-ুলিপিটি আমার পড়ার সুযোগ হলো। রীতিমতো ভূতের একটা ছন্দময় হাট বসিয়েছেন ওবায়দুল সমীর। পাঠ করে আমার যেমন আনন্দ হলো, আশা করছি পাঠকদেরও তেমনটিই হবে। আমাদের ছড়াযাত্রায় উজ্জ্বল সহযাত্রী ওবায়দুল সমীরের জন্যে তিন উল্লাস। অনেক অনেক শুভ কামনা তাঁর জন্যে। ছড়ার জয় হোক।
লুৎফর রহমান রিটন হিউস্টন, আমেরিকা ১১ ডিসেম্বর ২০১৯