জীবন যদি হতো নারী সাহাবির মতো তারা ছেড়ে এসেছিলেন আয়েশি জীবন, চাকচিক্যময় দুনিয়া; রঙিন আর স্বাপ্নিক সব মুহূর্ত। তারা ছুটে চলেছিলেন এক ধ্রুব সত্যের পানে, যে সত্য নিয়ে এসেছিল এক ভিন্ন জীবন, ভিন্ন ভুবন। তারা ডুব দিলেন এক পবিত্র, শুভ্র-সফেদ জীবনসমুদ্রে। তারা তুলে আনলেন মণিহার, মুক্তোর মালা। তাদের জীবনালেখ্যে কত না সংগ্রাম, কত না ত্যাগ আর হারানোর গল্প লুকিয়ে আছে। সে গল্পগুলোই আমাদের আয়না। আয়নার নাম ‘নারী সাহাবির পথে’। এই আয়নায় আমরা দেখে নেব নিজেদের অবয়ব। নিজেদের ভুল-ভ্রান্তি আর শূন্যতাকে পূর্ণতায় রুপ দিতে চলুন মেলে ধরি সেই আয়না... “কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা : পোশাক-পরিচ্ছদ মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য ও সার্বক্ষণিক বিষয়। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত মানবদেহকে আবৃত করে রাখে তার পোশাক। পোশাকের মধ্যে ফুটে ওঠে ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ গুণাবলি, রুচি ও ব্যক্তিত্বের ছাপ। ইসলামের দৃষ্টিতে পোশাকের বিধান ও সুন্নাতী পোশাক সম্পর্কে অনেক বিতর্কও আমাদের সমাজে বিদ্যমান। এ সকল বিষয়ে আলোচনা করাই এ পুস্তকের উদ্দেশ্য। অন্যান্য সকল ইসলামী বিষয়ের মত পোশাকের বিষয়টিও মূলত হাদীস বা সুন্নাত নির্ভর। কুরআন কারীমে এ বিষয়ক কিছু মূলনীতি উল্লেখ করা হয়েছে। বিস্তারিত সকল বিধিবিধান জানতে আমাদেরকে একান্তভাবেই হাদীসের উপর নির্ভর করতে হয়েছে। এজন্য মূলত হাদীসে নববীর আলোকে পোশাকের বিধিবিধান জানার চেষ্টা করেছি এ পুস্তকে। রাসূলুল্লাহ সা.-এর মধ্যে রয়েছে আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। আর মহান আল্লাহ কুরআন কারীমে ‘প্রথম অগ্রগামী মুহাজির ও আনসারগণকে’ আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত অর্জনের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ ও সফলতার মানদণ্ড হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাঁদের ও যারা নিষ্ঠার সাথে তাঁদের অনুসরণ করবে তাঁদের জন্য তাঁর সন্তুষ্টি, জান্নাত ও মহা-সাফল্যের সুসংবাদ প্রদান করেছেন। নিঃসন্দেহে নিষ্ঠার সাথে তাঁদের অনুসরণের ক্ষেত্রে তাঁদের সমসাময়িক সাহাবী-তাবিয়ীগণই ছিলেন সবচেয়ে অগ্রগামী। আর হাদীস শরীফেও তাঁদেরকে সর্বোত্তম প্রজন্ম ও অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের মতামত ও কর্মের আলোকেই ইসলামকে সর্বোত্তমভাবে বুঝা ও ব্যাখ্যা করা সম্ভব। তাঁদের অনুকরণ অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে মুক্তি, জান্নাত ও মহা-সাফল্যের নিশ্চয়তা। এ বিশ্বাসের উপরেই এ পুস্তকের সকল আলোচনা আবর্তিত। পোশাক-পরিচ্ছদ ও দৈহিক পারিপাট্যের বিষয়ে কুরআন-হাদীসের শিক্ষা, রাসূলুল্লাহ সা. ও সাহাবীগণের সুন্নাত জানাই আমাদের উদ্দেশ্য। “হে বোন : জান্নাত তোমার প্রতীক্ষায়” -বইয়ের কিছু কথা আমার নেককার, পবিত্র বোন! আপনি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করুন, এই দুনিয়ার বুকে আপনার মর্যাদাই সবার ঊর্ধ্বে। আপনি একজন মা, বোন, স্ত্রী ও কন্যা। আপনি এই সমাজের অর্ধেক। অবশিষ্ট অর্ধেকের অস্তিত্বের উৎসও আপনি। যুগে যুগে আপনার গর্ভেই জন্মেছেন দ্বিগি¦জয়ী বীর, অনলবর্ষী বক্তা, যুগের রাহবার, দেশ ও জাতির কা-ারী। আপনার কাছেই আমি কিছু কথা ও আবেদন, ব্যথ্যা ও নিবেদন, ইতিহাসের কিছু বাস্তব সত্য ঘটনা তুলে ধরতে চাই। হয়ত তা আপনার হৃদয়কে স্পর্শ করবে। আপনার আবেগ ও অনুভূতিকে ছুঁয়ে যাবে। আমরা জানি, নারী পুরুষের অর্ধাংশ ও সমকক্ষ। যুগে যুগে পুরুষের মাঝে যেমন আলেম ও বিদ্যান, সমাজ সংস্কারক ও দীনের মহান দায়ীগণ ছিলেন, নারীদের মাঝেও তেমনি বিদ্যান ও দায়ী ছিলেন। পুরুষের মাঝে যেমন দিবসের রোযাদার ও রাতের রোদনকারীরা ছিলেন, নারীদের মাঝেও তেমন ছিলেন, বরং কল্যাণ ও সত্যের প্রতিযোগিতায় নারীরা সব সময়ই পুরুষদের পাশাপাশি ছিলেন। এভাবে কত নারী যে পুরুষদেরকে ছাড়িয়ে গেছেন! তাদের তুলনা তো তারাই! আল্লাহর গোলামী, দীনের নুসরত ও হেফাজত, বদান্যতা ও আমলে-কর্মে নারীরা সর্বদাই পুরুষের সমকক্ষ ছিলেন, বরং আপনি যদি ইতিহাসের পাতায় চোখ বুলান তাহলে দেখতে পাবেন, মানবেতিহাসের বৃহৎ ও মহান বহু কাজ নারীরাই আঞ্জাম দিয়েছেন। সর্বপ্রথম যিনি হারাম শরীফে বসবাস করেছেন, যমযমের পানি পান করেছেন, সাফা-মারওয়ায় সায়ী করেছেন তিনি একজন নারী। তিনি হযরত ইবরাহীম আ.এর স্ত্রী ও ইসমাইল আ.এর জননী হযরত হাজেরা রা.। সর্বপ্রথম যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং দীনের সাহায্যার্থে নিজের সর্বস্বকে উজাড় করে দিয়েছিলেন তিনি একজন নারী। তিনি হলেন উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদীজা রা.। ইসলামের জন্য যিনি নিজের জীবন কুরবান করে প্রথম শহীদের মর্যাদা লাভ করেছিলেন তিনিও একজন নারী। তিনি হলেন হযরত আম্মার বিন ইয়াসিরের জননী হযরত সুমাইয়া রাযি.। মনে রাখবেন! মর্যাদা কোনো মানুষের দান বা অনুকম্পা নয়। পুরুষ বা নারী হওয়া মর্যাদার মাপকাঠি নয়। কর্ম ও অবদানই ব্যক্তির মর্যাদার উৎস। তাই এ যুগেও যদি মর্যাদা লাভ করতে হয় তাহলে কর্মের ময়দানে আপনাকে আপন প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে হবে। মা হাজেরার ধৈর্য ও কুরবানীর ইতিহাস কে না জানি! ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কষ্ট করেছেন। বিজন মরুভূমিতে একাকী কোলের সন্তান নিয়ে জীবনযাপন করেছেন। তবু আল্লাহ তাআলার প্রতি সব সময় সন্তুষ্ট থেকেছেন। সমস্ত কষ্টক্লেশ হাসিমুখে বরণ করেছেন। আল্লাহ তাআলার সন্তষ্টির জন্য তাঁর পথে মোজাহাদার বিস্ময়কর ইতিহাস রচনা করেছেন। এ সব কাজের সওয়াব ও বিনিময় আল্লাহ তাআলার কাছে কী বিপুল হবে তা কী ভাবা যায়! তাঁর ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের আয়াত নাযিল করেছেন। তাঁর সন্তানকে নবী বানিয়েছেন। তাঁকে সকল অলীদের জন্য আদর্শ সাব্যস্ত করেছেন। এসব অসামান্য প্রাপ্তির পরিবর্তে দুনিয়ার সামান্য কষ্টের কি কোনো তুলনা হয়! এ কেবল একজন হাজেরা নন, ইতিহাসের পাতায় এমন বহু হাজেরা রয়েছেন যারা তাদের রবের সন্তুষ্টির জন্য দুনিয়ার সকল সুখ-ভোগ ত্যাগ করে কষ্টের জীবনকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। দীনের জন্য নিজের সর্বস্ব উজাড় করে তারা রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জন করেছেন। নট ফর সেল এর কিছু কথা: আমরা বই পড়ি কেন? জানার জন্য। নিজেদের জানা, এ পৃথিবীকে জানা, আমাদের সৃষ্টিকর্তকে জানা। জ্ঞানের উৎস সর্বজ্ঞ স্রষ্টা । এই জ্ঞানই সভ্যতাকে এগিয়ে নেয়, সমাজকে টিকিয়ে রাখে।জ্ঞানের আধার বই। জ্ঞানচর্চা আমাদের ঐতিহ্য। কালের বিবর্তনে আজ তা হারিয়ে গেছে। তথ্য বিস্ফোরণে জ্ঞান আজ কোণঠাসা । শিক্ষার দৈন্যতায় অজ্ঞতার মহামারী। জ্ঞানার্জনে অনাগ্রহের পাশাপাশি বইয়ের দুর্বোধ্য ভাষা, মলিন প্রচ্ছদ আর জীর্ণ পৃষ্ঠা পাঠ অনাকাজক্ষাকে উসকে দেয়। গ্রন্থকারাগারে বন্দি প্রকৃত জ্ঞান। জ্ঞানের নয়, চারদিকে আজ লঘু বিনোদনের জয়জয়কার । সিয়ান পাবলিকেশনের স্বপ্ন বিশুদ্ধ জ্ঞানের উপস্থাপন। ধর্ম, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং অন্যান্য বিশেষায়িত ক্ষেত্রগুলোর জ্ঞান | বিষয়বস্তু নির্বাচনে আমরা জীবনঘনিষ্ঠ এবং তথ্যসূত্রে প্রামাণ্য; আমাদের লক্ষ্য সাবলীল ভাষা এবং নান্দনিক উপস্থাপনা। সময়, শ্রম ও সম্পপদ সাশ্রয়পূর্বক সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে যাওয়ার নিমিত্তে আমাদের রয়েছে ই-কমার্স সংযুক্তি সেনপাব্লিকেশন.কম ক্লিকেই বই পৌছে যাবে আপনার ঘরে । আমাদের বিশ্বাস, জ্ঞানের এ প্রসার আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে গভীর ও ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে ইনশা আল্লাহ।
প্ৰকাশকের কথা অধুনা নাগরিক সভ্যতায় বিনোদন মাত্রই দূষণ। বাকাবাক্সকে হারাবার জো নেই। বাইরে বেরুনোও হয় না। অথচ এমন একটা সময় ছিল যখন মানুষ কাজ থেকে বিরতি নিতে ছুটে যেত প্রকৃতির কাছে। আজকাল যখন কাজ আর পড়াশোনাতে পরিশ্রান্ত মানুষ জিজ্ঞেস করে, “কী করব?” তখন বলার মতো খুব বেশি উত্তর থাকে না। প্লেজার রিডিং বা আনন্দের জন্যপড়া সেইসব দামি কাজগুলোর মধ্যে একটি যা মানুষকে গতানুগতিকতা থেকে ছুটি দেয় আবার চিন্তাশীলতারও উন্মেষ ঘটায়।পেয়ালার কোন অংশটা বেশি দামি? দেয়াল না। ভেতরের ফাঁকা জায়গাটা? পেয়ালার দেয়াল খাওয়া যায় না, তবে ভেতরের তরলটুকু খাওয়া যাবে। না। যদি দেয়ালটা না থাকে। আমাদের ভাবনাগুলো এই খালি জায়গাটার মতো। কিছু ভাবনা প্রদত্ত উপমাটির সমার্থক-অন্তঃসারশূন্য। কিছু ভাবনা মানুষকে আলোর দিকে নেয়, কিছু ভাবনা অন্ধকারে। সবকিছু ঐ শব্দের দেয়ালেই ঘেরা। তাকাতে পারি। আল্লাহর বেছে নেওয়া কিছু শব্দ মানুষকে যুগ যুগ ধরে পথ দেখাচ্ছে। এই শব্দমালার অলৌকিকতা মৃত মানুষ জীবিত করার চেয়েও শক্তিশালী, জলরাশিকে বিচ্ছিন্ন করার চেয়েও ক্ষমতাবান। দিয়ে লেখক কত তরুণকে যে মোহগ্ৰস্ত করলেন তার লেখাজোকা নেই। পাবনা পাগলাগারদে ‘হিমু ওয়ার্ড আছে বলে শুনেছি। হিমুর লেখকের শব্দের জালে জড়িয়ে বিকারগ্রস্ত মানুষদের ঠিকানা নাকি এই ওয়ার্ডটি। আমরা কামনা করি জাতীয় মানসিক সুস্থতা। চিন্তাশীলতা। সৃষ্টিশীলতা। এসব সেকুলার লেখক বুদ্ধিজীবীরা কীভাবে পৃথিবীকে দেখেন, তাদের বিশ্বাস-চেতনা কী—তা বর্তমান প্রজন্মের প্রায় সকলেরই জানা। তবে একজন বিশ্বাসী কীভাবে পৃথিবীকে দেখেন তা সেকুলার মধ্যবিত্তরা জানে না। বিশ্বাসী মানুষদেরও যে একটা আদর্শ ও নৈতিকতার শক্ত ধারা আছে তা সমাজের বহুলাংশের কাছে অজানা।
নট ফর সেল এর সূচিপত্র: * প্রকাশকের কথা ৭ * আমার মাকে কেন বিশ্বসুন্দরী করা হয় না ৯ * আমি ‘লেডি’ নই ১৫ * চট্টগ্রামের পর্দানশীন বোনেরা ২৩ * নট ফর সেল ২৯ * ওজন বিরাম্বনা ৩৩ * বিজ্ঞাপন ৩৯ * অনির্দিষ্টকালের জন্য আত্মার উন্নয়ন কাজ চলিতেছে ৪৩ * সভ্য না বর্বর ৪৭ * প্রত্যাবর্তন ৫৩ * আত্মপরিচয় ৫৭ * আমার জীবনে বইমেলা ৬৩ * ভালো শাশুড়িদের গল্প ৬৭ * আমি”ময় পৃথিবী ৭৯ * একটি উত্তম বৃক্ষ ৮৩ * বুদ্ধিমান বোকা ৮৯ * সব ক’টা জানালা খুলে দাওনা। ৯৩ "আদর্শ মুসলিম নারী" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: সত্যিকারের ইসলামী নারীসত্তার স্বরূপ নির্ণায়ক একটি নির্ভযোগ্য গ্রন্থ। ইসলাম ঠিক কোন্ ধরনের ‘মুসলিম নারী’ প্রত্যাশা করে, কোন্ স্বভাবের মুসলিম নারীকে ইসলাম নিজের মজবুত অনুসারী হিসেবে সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহন করে নেয়, এ বইটি তার চিত্তাকর্ষক চিত্র অঙ্কন করেছে। এতে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলামী জীবন পদ্ধতিকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গ্রন্থে ১০টি অধ্যায়ে এর আলোচ্য বিষয় পরিবেশন করা হয়েছে। আর তা হলো, মুসলিম নারী তার- (১) স্রষ্টার সাথে (২) নিজের সাথে, (৩) পিতামাতার সাথে, (৪) স্বামীর সাথে, (৫) সন্তানদের সাথে, (৬) জামাতা ও পুত্রবধুদের সাথে, (৭) আত্মীয়-স্বজনের সাথে, (৮) প্রতিবেশীর সাথে, (৯) বোন-বান্ধবীর সাথে ও (১০) তার সমাজের সাথে কি ধরনের সম্পর্ক রাখবে। আজকের এই অস্থির সমাজে মুসলিম নারীসমাজ যখন ওয়েস্টার্নাইজেশনের দুর্বার প্রচারের তোড়ে নিজেদের গর্বিত আত্মপরিচয় ভুলে বেসামাল হয়ে পড়ছে, ঠিক এমন সময় তাদের হারিয়ে ফেলা ব্যাক্তিসত্তা বিনির্মাণে এ বইটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে, ইনশাআল্লাহ্। সব সময় বলা হয়, সাহিত্য সমাজের দর্পণস্বরূপ। কিন্তু এর বিপরীত চিত্রটিও সমান সত্য যে, সাহিত্য সব সময় সমাজকে শুধু প্রতিনিধিত্বই করে না, সমান্তরালভাবে পাঠকদের মানসিক বিকাশে সূক্ষ্ম কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিস্তার করে। অর্থাৎ লেখনীর এমন শক্তি রয়েছে যে, ছাপার অক্ষরের মাধ্যমে একটি পুরো প্রজন্মের মানসিকতার আমূল পরিবর্তন সাধন করা যায়। সেই সাথে পরিচ্ছন্ন ও সত্যান্বেষী অন্তর গঠনকল্পে উজ্জীবিতও করা যায়। আমাদের 'রৌদ্রময়ীদের' লক্ষ্য অনেকটা এমনই। পরিচ্ছন্ন অশ্লীলতাবিহীন সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে বাঙালি পাঠকদের বিনোদনপ্রদানের সাথে সাথে সুন্দর কোনো মেসেজ পৌঁছে দিতে সদাই তৎপর আমরা। আশা করি আমাদের লেখাগুলো শুধু সাময়িক সুখপাঠ্য হওয়ার ভেতরেই সীমাবদ্ধ না থেকে, পাঠকের ভাবনার জগৎকে নাড়া দিতে সক্ষম হবে। এখন অনেকের প্রশ্ন হতে পারে, এই রৌদ্রময়ী কারা? রৌদ্রময়ী হচ্ছেন সেই নারীরা, যারা তাদের লেখার মাধ্যমে ইতিবাচক মানসিকতার আলো ছড়িয়ে দেন। যেখানে থাকে না স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারী জীবনের দিকে আহ্বান; বরং তাদের লেখায় আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার বিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক সামগ্রিক জীবনযাত্রা ও সামাজিক সম্পর্কগুলোর প্রতি দায়িত্বশীলতা প্রকাশ পায় । রৌদ্রময়ী একটা দেয়াল, যেখানে এসে রৌদ্রময়ীরা নিজেদের কথাগুলো খোঁদাই করে দিয়ে যায় আবেগে, আবদারে, অভিযোগে, শাসনে। মমতাময়ী মা, প্রিয়তমা স্ত্রী কিংবা আমাদের মতই এই সমাজের একজন হিসেবে তাঁরা যেন সাহিত্যের এক নকশীকাঁথা বুনেছে। দাম্পত্য খুঁটিনাটি, পরিবার, সমাজ থেকে শুরু করে আমাদের এই যান্ত্রিক আটপৌরে জীবনের নানা অসঙ্গতি, মিথ্যে মোহ আর নাটুকেপনা আবেগের উল্টো পিঠে তাঁরা আমাদের শুনিয়েছে অদ্ভুত কিছু জীবনের গল্প। অযত্নে আর অবহেলায় যে গল্পগুলো পড়েই ছিলো, সেগুলোকে তাঁরা তুলে এনেছে পরম যত্নে, মমতায়। হৃদয়ছোঁয়া সেসব জীবনের গল্প নিয়েই এই বই ‘রৌদ্রময়ী’।