“দ্য ব্রেড উইনার” বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া তখন আফগানিস্তানে তালিবান শাসন চলছিলাে। ডেবােরাহ এলিস এসেছিলেন পাকিস্তানে, আফগান রিফিউজি ক্যাম্পে। বেশ সময় কাটিয়ে, ভেতরের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি উপন্যাস লিখলেন, ‘দ্য ব্রেড উইনার’। পরবর্তীকালে এটি হয়ে উঠল বিশ্বের অন্যতম আলােচিত বই। লাখ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে বিশ্বজুড়ে। ‘দ্য ব্রেড উইনার’ একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির করুণ ইতিহাস এবং জীবনবাস্তবতার জীবন্ত দলিল। এর মূল চরিত্র পারভানা, ১১-১২ বছরের এক কিশােরী। তার বাবা-মা সুশিক্ষিত ও ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান হলেও যুদ্ধের কারণে চাকরি হারান এবং নির্যাতিত হন। এক পর্যায়ে কিশােরী পারভানাই হয়ে ওঠে পরিবারের একমাত্র ভরসাস্থল। যেহেতু আফগানিস্তানে মেয়েদের প্রকাশ্যে চলাফেরা নিষিদ্ধ, তাই ছেলের ছদ্মবেশে পরিবারের খাদ্যের জোগানদাতা হয়ে ওঠে সে। কবরস্থান থেকে হাড় তুলে বিক্রি করা থেকে শুরু করে ফেরিওয়ালার কাজও করতে বাধ্য হয়। আর তার চোখ দিয়েই লেখক এখানে তুলে আনেন কাবুল ও আফগানিস্তানের বিধ্বস্ত-জীবন। এই রকম একজন কিশােরীকে লেখক ক্যাম্পে পেয়েও ছিলেন। উপন্যাসের গল্প তাই জীবনঘনিষ্ঠ এবং মর্মান্তিক। অন্যদিকে আশা জাগানিয়াও বটে। ২০০১ সালে প্রকাশের পর ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে বইটি। ক্যাম্পের সেই সব অভিজ্ঞতা নিয়ে মােট চারটি বই লিখেছেন তিনি। প্রথমটি ‘দ্য বেড উইনার’, আর সর্বশেষটি ‘মাই নেইম ইজ পারভানা’ (২০১১)। আরাে বই লিখলেও পারাভানাকে নিয়ে লেখাই তাঁকে দিয়েছে বিশ্বজোড়া পরিচিতি, যশ ও প্রতিপত্তি। বইটির খুব সুখপাঠ্য অনুবাদ করেছেন শামিম মণ্ডল।