"দুনিয়াকে বদলে দেওয়া ভিশনারিজ মার্ক জাকারবার্গ সাকসেস সিক্রেট" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: বিগত দশকে যদি আপনি নিজের মাথাটা বালুতে না খুঁজে রাখেন, শুধু ইন্টারনেট নয়, নিউজপেপার, টেলিভিশন ও সিনেমার আলােচনা সবই এড়িয়ে না গিয়ে থাকেন, তবে একটি সােস্যাল মিডিয়ার দাপট আপনার নজর এড়াবে না। সেটি হলাে ফেসবুক। দুনিয়ার সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এর ব্যবহারকারী হচ্ছে আনুমানিক ১.৫ বিলিয়ন। ৩১ বছর বয়সে মার্ক জাকারবার্গের সম্পদের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ৪৬ বিলিয়ন ডলারে। উত্তরাধিকরিসূত্রে তিনি এই সম্পদ পাননি। শূন্য থেকে শুরু করে মাত্র ১২ বছরে তিনি এই সম্পদ বানিয়েছেন এবং মাত্র একটি পণ্য দিয়ে তা করতে পেরেছেন ; ফেসবুক। জাকারবার্গ নিজেই এই বিশাল সম্পদের পেছনে ছিলেন এমন না। এ নিয়ে বিতর্ক করার সুযােগ খুব একটা রাখেননি। কিন্তু নিজেকে এন্টারপ্রাইজ এবং উদ্ভাবনের সামনের সারিতে রেখেছেন সবসময়ে। টাইম ম্যাগাজিনের ভােটে তিনি ম্যান অব দ্য ইয়ার হয়েছেন এবং ট্রেক বিশ্বের পােস্টার চাইল্ড হতে পেরেছেন। বিল গেটস এবং ওয়ারেন বাফেট-যারা তার চেয়ে অনেক বছরের সিনিয়রতাদের সাথে দ্য গিবিং প্লেজ-এ তিনিও একজন স্বাক্ষরদাতা। এবং এভাবে তিনি ফিলাড্রোপিস্টদের পথে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। চ্যারিটিতে তার অনুদানের প্রতিজ্ঞা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ফেসবুক আয়ের ৯৯পার্সেন্ট-এ। জীবদ্দশায় তিনি তার অঙ্গীকারের লেবেল প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। পুরাে বইজুড়ে জ্যাকারবার্গের জীবনীর পাশাপাশি রয়েছে তার অমূল্য দিকনির্দেশনাসমূহ-যেগুলাে আজকের তরুণদের নিয়ে যাবে উন্নতির শীর্ষে, বিশ্বসভ্যতার হবে আরাে সমৃদ্ধ। ‘আপনি যা সৃষ্টি করবেন তা নিয়ে আপনাকে উত্তেজিত হয়ে উঠতে হবে। যদি কোনাে আইডিয়া আপনার মধ্যে খ্রিল তৈরি করতে না পারে; এটি অন্য কাউকেই থ্রিল দিতে পারবে না।' সাকসেস সিক্রেট এলন মাস্ক একজন তরুণ হিসেবে আমি সবসময়ে মহান পুরুষ ও নারীর জীবন সম্পর্কে জেনে আলােড়িত হয়ে থাকি। এসব লােকদের হয় কোনাে ভিশন থাকবে, না হয় কোনাে উদ্দেশ্য বা স্বপ্ন অথবা জীবনে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়ে থাকে। আমরা আমাদের আচরণ, ইন্টারেকশন এবং এমনকি চিন্তাধারাও পরিবর্তন করে ফেলি। আমি ভাবি এসব নারী পুরুষরা আমাদের অন্যদের জন্য অমর মেন্টর। আপনাদের সাথে এসব গ্রেট মেন্টরদের জীবনের শিক্ষা শেয়ার করতে পারা বেশ আনন্দের। এ-রকম একজন মহামানব হলে এলন মাস্ক। একজন তরুণ হিসেবে মাস্ক ঠিক করলেন তিনটি বিষয় তার জীবদ্দশায় বিশ্বকে চেঞ্জ করতে যাচ্ছে-ইন্টারনেট, রিনিউয়েবল এনার্জি এবং স্পেইস ট্রাভেল। তারপর তিনি এই তিনটি এরিয়ায় ঝাপটা দেন। $২৮০০০ লােন নিয়ে ইন্টারনেট স্টার্টআপ বিজনেস শুরু করেন, $২২ মিলিয়ন আয় করেন; যেটি ছিল সবচেয়ে বেশি দামে স্টার্টআপ বিক্রি করা। আরেকটি কোম্পানি গঠন করেন যা পরে অর্ধেক পেপাল হয়ে যায়। তারপর সেই কোম্পানি বিক্রির অর্থ দিয়ে কম ব্যয়বহুল স্পেইস ট্রাভেল করতে পারে এবং ইলেকট্রনিক কার তৈরিতে প্রচুর বিনিয়ােগ করেন। এ-রকম একজন নিয়ে পড়তে থাকুন যিনি সত্যিকারের একজন ভিশিওনারি এবং আমাদের জেনারেশনের একজন গ্রেটেস্ট মাইন্ড। দ্য লাইফ এন্ড বিজনেস লেসন অব বিল গেটস গেটসের জীবন প্রভাববিস্তারকারী বিষয়ে ওপরের বিশ্লেষণ থেকে কোনগুলাে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়? প্রথমে দেখা যায়, একটি সলিড পারিবারিক জীবন তার মধ্যে চমৎকার ভিত্তি গড়ে দিয়েছে যার ভিত্তিতে তিনি অ্যাডাল্ট হিসেবে সফল হয়ে ওঠেছেন। গেটস তার মায়ের সাথে খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। যিনি তার কোর ভ্যালু এবং বিশ্বাস গেটসের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে ছিল ফিলানথ্রোপির কাজে নিজেকে উৎসর্গিত করা এবং শিক্ষার প্রতি শ্রদ্ধাবােধ। তার জীবনে তার পিতারও দর্শনীয় প্রভাব ছিল। যদিও তিনি ক্যারিয়ার হিসেবে আইনজীবী হওয়াটা বেছে নেননি, তার প্রি-লাে পাথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। প্রমাণ করে বাবা তার জীবনে এক রােল মডেল ছিলেন। উইলিয়াম এইচ গেটস সিনিয়র’র কাজ ছিল উইলিয়াম এইচ গেটস ফাউণ্ডেশন পরিচালনা করা যা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা ফাইন্ডেশনের পূর্বসূরি।