সহীহ মাসনূন ওযীফা সালাত, দু’আ ও যিকর মুনাজাত ও নামায সালাতের মধ্যে হাত বাঁধার বিধান : একটি হাদীসতাত্ত্বিক পর্যালোচনা "সহীহ মাসনূন ওযীফা" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: প্রথমত, বিশুদ্ধভাবে তাওহীদ ও রিসালতের উপর ঈমান আনুন। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীগণের আকীদা বা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আকীদা যা ইমাম আবু হানীফার (রহ) “ফিকহুল আকবার”, ইমাম তাহাবীর (রহ) “আকীদায়ে তাহাবীয়া” ও অন্যান্য প্রাচীন ইমামগণের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থসমূহে লিপিবদ্ধ রয়েছে সে অনুসারে নিজেদের আকীদা গঠন করুন। পরবর্তী যুগের বিদ‘আত ও বানোয়াট আকীদা বর্জন করুন। সাথে সাথে সকল প্রকার শিরক, কুফর, বিদ‘আত ও ইলহাদ থেকে আত্মরক্ষা করুন। দ্বিতীয়ত, সকল প্রকার হারাম উপার্জন পরিহার করুন। ফরয ইবাদত বিশুদ্ধভাবে পালন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন। সকল কবীরা গোনাহ ও হারাম বর্জন করুন। কোনো মানুষ অথবা প্রাণীর হক বা অধিকার নষ্ট করা বা ক্ষতি করা বিষবৎ পরিত্যাগ করুন। তৃতীয়ত, মনকে হিংসা, ঘৃণা, বিদ্বেষ, অহংকার, আত্মতৃপ্তি, জাগতিক সম্মান, প্রতিপত্তি বা টাকা-পয়সার লোভ থেকে যথাসম্ভব পবিত্র রাখার জন্য সর্বদা সতর্কতার সাথে চেষ্টা করুন। এজন্য সর্বদা আল্লাহর দরবারে তাওফীক চেয়ে কাতরভাবে দু‘আ করুন। প্রয়োজন ছাড়া মানুষের সাথে হাসি তামাশা বা গল্পগুজব যথাসম্ভব কম করুন। চতুর্থত, নফল ইবাদত বেশি বেশি পালনের চেষ্টা করুন। মানুষের সেবা, উপকার ও সাহায্য জাতীয় কাজ যথাসম্ভব বেশি করুন। নফল সালাত যথাসম্ভব বেশি আদায়ের চেষ্টা করবেন। বিশেষত তাহাজ্জুদ, ইশরাক ও মাগরিবের পরে কিছু নফল সালাত (আওয়াবীন নামে পরিচিত) সর্বদা পালন করবেন। ‘ সহীহ মাসনূন ওযীফা’ বইয়ের সূচীপত্রঃ প্রথম পরিচ্ছেদ: ওযীফার আগে ৭-৩৪ (ক) বেলায়াত, ওসীলা ও ইহসান /৭ (খ) তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি ১০ (গ) আত্মশুদ্ধি, বেলায়াত ও ইহসানের মাপকাঠি /১১ (ঘ) বেলায়াত, তাযকিয়া ও ইহসানের পথ /১২ (ঙ) ইবাদত কবুলের শর্ত ১৩ (চ) ফরয-নফল ইবাদতের পর্যায় ও গুরুত্ব /১৩ (ছ) অবহেলিত কয়েকটি ফরয ও হারাম /১৪ ১. শিরক, কুফর ও নিফাক /১৪ ২. সমাজে প্রচলিত কিছু শিরক-কুফর ১৫ ২. বিদআত ১৯ ৩. পর্দা /২১ ৪. সৃষ্টির অধিকার বা পাওনা নষ্ট করা /২২ ৫. গীবত বা পরনিন্দা করা বা শোনা /২২ ৬. নামীমাহ বা চোগলখুরী ২৩ ৭. ঝগড়া-তর্ক /২৪ (জ) তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধির কিছু কর্ম /২৪ প্রথমত: বর্জনীয় মানসিক কর্ম /২৪ ১. প্রবৃত্তির অনুসরণ ও আত্মতৃপ্তি /২৪ ২. অহঙ্কার ২৫ ৩. হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা /২৭ ৪. প্রদর্শনেচ্ছা ও সম্মানের আগ্রহ ২৭ ৫. অকারণ মানসিক ব্যস্ততা /২৮ দ্বিতীয়ত: অর্জনীয় মানসিক কর্ম /২৯ ১. আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সাঃ) মহব্বত /২৯ ২. সকল মুমিনের প্রতি মহব্বত ও কল্যাণ কামনা /২৯ ৩. ধৈর্যধারণ ও সুন্দর আচরণ /৩০ ৪. আল্লাহর প্রতি সু-ধারণা পোষণ /৩১ ৫. কৃতজ্ঞতা ও সন্তুষ্টি /৩২ ৬. নির্লোভ ও আখিরাতমুখিতা /৩৩ দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: সাধারণ নেক আমলের ওযীফা /৩৫-৪৫ (ক) ওযীফার পরিচয় ও গুরুত্ব /৩৫ (খ) নামাযের ওযীফা /৩৫ (১) সালাতুল্লাইল বা তাহাজ্জুদ /৩৭ (২) সালাতুদ্দোহা বা চাশত /৩৯ (৩) মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সালাত (আওয়াবীন) /৪০ (8) তাহিয়্যাতুল ওযূ /৪১ (৫) তাহিয়্যাতুল মাসজিদ (দুলুল মাসজিদ) /৪১ (৬) সালাতুত তাসবীহ /৪১ (৭) সালাতুত তাওবা /৪২ (৮) সালাতুল ইসতিখারা /৪২ (গ) রোযার ওযীফা /৪২ (ঘ) ইলমের ওযীফা /৪২ (ঙ) দাওয়াতের ওযীফা /৪৪ (চ) খিদমাতে খালকের ওযীফা /৪৪ তৃতীয় পরিচ্ছেদ: যিকরের ওযীফা ৪৬-৭৩ (ক) যিকরের পরিচয় ও গুরুত্ব /৪৬ (খ) সার্বক্ষণিক পালনীয় যিক্-ওযীফা /৪৭ (গ) সময় নির্ধারিত যিক্-ওযীফা /৫২ (১) ফজরের ওযীফা /৫২ (২) যোহরের ওযীফা /৬২ (৩) আসরের ওযীফা /৬২ (৪) মাগরিবের ওযীফা ৬২ (৫) ইশার ওযীফা /৬২ (৬) দরুদের ওযীফা /৬৩ (৭) মুরাকাবা ও মুহাসাবা /৬৩ (৮) শয়নের ওযীফা /৬৫ (৯) ঘুম ভাঙার ওযীফা /৭১ (ঘ) কয়েকটি বরকতময় মাসনূন দুআ /৭২ চতুর্থ পরিচ্ছেদ: ভালবাসা, সাহচর্য ও মাজলিস ৭৪-৮০ (ক) আল্লাহর জন্য ভালবাসা /৭৪ (খ) আল্লাহর জন্য সাহচর্য /৭৫ (গ) যিকরের মাজলিস /৭৫ (ঘ) যিকিরের মাজলিসের যিক্র /৭৭ (ঙ) দরবারে ফুরফুরার তালিমী মাহফিল /৭৭
‘সালাত, দু’আ ও যিকর’ বইটির লেখক পরিচিতিঃ ড.খোন্দকার আ. ন. ম. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ) জন্ম: ঝিনাইদহ জেলায় ১৯৫৮ সালে। মৃত্যু: ১১ই মে ২০১৬। পিতা মরহুম খোন্দকার আনোয়ারুজ্জামান। মাতা বেগম লুৎফন্নাহার। ঝিনাইদহ আলিয়া মাদ্রাসায় ফাজিল পর্যন্ত অধ্যয়নের পর ১৯৭৯ সালে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে প্রথম শ্রেণীতে অষ্টম স্থান অধিকার করে হাদীস বিষয়ে কামিল পাশ করেন। সৌদি আরবের রিয়াদস্থ ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬, ১৯৯২ ও ১৯৯৮ সালে যথাক্রমে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পি-এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশ ও বিদেশে যে সকল প্রসিদ্ধ আলিমের কাছে তিনি পড়াশোনা ও সাহচর্য গ্রহণ করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন খতীব মাওলানা ওবাইদুল হক (রাহ.), মাওলানা মিয়া মোহাম্মাদ কাসিমী (রাহ.), মাওলানা আনোয়ারুল হক কাসিমী (রাহ.), মাওলানা আব্দুল বারী সিলেটী (রাহ.), মাওলানা ড. আইউব আলী (রাহ.), মাওলানা আব্দুর রহীম (রাহ.), আল্লামা শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল আযীয ইবন বায (রাহ.), আল্লামা আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন (রাহ.), আল্লামা মুহাম্মাদ ইবন সালিহ ইবন মুহাম্মাদ আল-উসাইমীন (রাহ.), শাইখ সালিহ ইবন আব্দুল আযীয আল শাইখ, শাইখ সালিহ ইবন ফাওযান ইবন আব্দুল্লাহ আল ফাওযান। কর্ম জীবনে তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদীস বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন ১৯৯৮ সালে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সালের ১১ই মে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করার আগ পর্যন্ত তিনি উক্ত বিভাগে অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন। দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বাংলা ইংরেজী ও আরবি ভাষায়। তার প্রায় অর্ধশত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গবেষণামূলক গ্রন্থের সংখ্যা ত্রিশের অধিক। গবেষণা কর্মের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ের লক্ষ্যে ১৯৯৮ খৃষ্টাব্দে তিনি ‘আল ফারুক একাডেমী' নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। বিশুদ্ধ ইসলামী জ্ঞান ও মূল্যবোধ প্রচার ও মানব সেবার উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে ‘আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট' নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০১২ TC Education and Charity Foundation Jhenaidah নামে একটি শিক্ষা ও সমাজ সেবাসংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ সকল প্রতিষ্ঠান শিক্ষাপ্রচার, ধর্ম প্রচার, দুস্থ নারী ও শিশুদের সেবা ও পুনর্বাসনে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। সূচীপত্র সম্পাদকের কৈফিয়ত ৫ ভূমিকা ৮ ১. ১. সালাতের সংক্ষিপ্ত বিধান ও নিয়ম ১০ ১. ১. ১. সালাতের গুরুত্ব ১১ ১. ১. ২. আল্লাহর যিকরের জন্য সালাত ১৩ ১. ১. ৩. সালাতের সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি ১৬ ১. ১. ৪. কয়েকটি ফিকহী মতভেদ ও বিদ'আত ঝগড়া ২৫ ১. ২. সালাতই শ্রেষ্ঠ যি, মুনাজাত ও দু'আ ২৮ ১. ৩. সালাতের পূর্বে ও সালাতের জন্য ৩৫ ১. ৩. ১. ইস্তিঞ্জার যিকর ৩৫ ১. ৩. ২. ওযূ ও গোসলের যিকর ৩৭ ১. ৩. ৩. আযান ও ইকামত ৪৩ ১. ৪. সালাতের যিকর ৫৩ ১. ৪. ১. সানা ও তিলাওয়াতকালীন যিকর ৫৩ ১. ৪. ২. রুকুর যিকর ৬০ ১. ৪. ৩. সাজদার যিকর ৬৯ ১. ৪. ৪. তাশাহ্হুদ ও বৈঠকের যিকর ৭৩ ১. ৫. ফরয ও নফল সালাত ৮২ ১. ৫. ১. সুন্নাত-নফল সালাত বাড়িতে আদায় ৮৬ ১. ৫. ২. সুন্নাত সালাত ও সন্নাত পদ্ধতি ১০০ ১. ৫. ৩. ফরয সালাত জামাআতে আদায় ১০৬ ১. ৫. ৪. বাড়ি-মসজিদ গমনাগমনের যিকর ১১৩ ১. ৫. ৫. জামা'আতে সালাতের কতিপয় অবহেলিত সুন্নাত ১১৩ ১. ৬. সালাতুল বিতর ১১৫ ১. ৬. ১. সালাতুল বিতর এর রাকআত ও পদ্ধতি ১১৫ ১. ৬. ২. সালাতুল বিতর এর কুনুত ১২৩ ১. ৬. ৩. কুনুতের জন্য হস্তদ্বয় উত্তোলন ১৩৩ ১. ৬. ৪. মনে মনে বা সশব্দে কুনুত পাঠ ও আমীন বলা ১৩৫ ১. ৬. ৫. বিতর ও রাতের সালাতে জোরে বা আস্তে কিরাআত ১৩৮ ১. ৬. ৬. কুনুতে নাযিলা বা বিপদাপদের কুনুত ১৩৯ ১. ৭. অতিরিক্ত কিছু নফল সালাত ১৪০ ১. ৭. ১. সালাতুল ইস্তিখারা ১৪০ ১. ৭. ২. সালাতুত তাওবা ১৪২ ১. ৭. ৩. সালাতুত তাসবীহ ১৪৩ ১. ৮. সালাতুল জানাযা ১৪৫ ১. ৮. ১. সালাতুল জানাযার গুরুত্ব ও পদ্ধতি ১৪৫ ১. ৮. ২. সালাতুল জানাযার পরে দু’আ সুন্নাত বিরোধী ১৫৪ ১. ৮. ৩. জানাযা বহনের সময় সশব্দে যি মাকরুহ ১৫৮ ১.৯. সিয়াম ও কিয়াম:সালাতুত তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ ১৫৯ গ্রন্থপঞ্জি ১৭১ `সুন্নতের আলোকে মুমিনের জীবন-২ : মুনাজাত ও নামায’ বইয়ের সূচীপত্রঃ ভূমিকা /৫ ১. মুনাজাত ও দু'আ /৭ ২. মুনাজাত বনাম নামায /৭ ৩. দুআ-মুনাজাতের গুরুত্ব ও ফযীলত /৮ ৪. মুনাজাত বনাম মাসনূন মুনাজাত /১২ ৪. ১. সুন্নাত বনাম জায়েয ও ফযীলত /১২ ৪. ২. মুনাজাতের মাসনূন পদ্ধতি /১৫ ৪. ২. ১. সাধারণ কিছু নিয়ম ও আদব ১৫ ৪. ২. ২. দুআ-মুনাজাতের জন্য হাত উঠানো /১৬ ৪. ২. ৩. দুআ-মুনাজাতের জন্য হাত না উঠানো /১৭ ৪. ২. ৪. দু'আর পরে দুই হাত দিয়ে মুখমণ্ডল মোছা /২০ ৪. ২. ৫. দু'আর সময় কিবলামুখী হওয়া /২১ ৪. ২. ৬. দু'আর সাথে আমীন বলা /২২ ৪. ৩. মুনাজাতের মাসনূন সময় /২৩ ৫. নামাযের মধ্যে মুনাজাত /২৩ ৫. ১. সানার সময়ে দুআ-মুনাজাত /২৩ মাসনূন মুনাজাত-১-২ / ২৪-২৫ ৫. ২. সাজদার মধ্যে দুআ ও মুনাজাত /২৫ মাসনূন মুনাজাত ৩-৫ / ২৬-২৭ ৫. ৩. সালামের আগে দুআ-মুনাজাত /২৭ মাসনূন মুনাজাত ৬-১১ / ২৮-৩২ ৫. ৪. বি -এর কুনূতের দু'আ /৩২ মাসনূন মুনাজাত ১২/৩৩ কুনুতের মুনাজাতে হাত উঠানো বা না উঠানো /৩৪ ৬. নামাযের পরে মুনাজাত /৩৫ ৬. ১. ফরয নামাযের পরে যি ও মুনাজাতের গুরুত্ব /৩৫ ৬. ২. ফরয নামাযের পরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কর্ম /৩৭ ৬. ৩. ফরয নামাযের পরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর যিক্র /৩৭ ৬. ৪. ফরয নামাযের পরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মুনাজাত /৩৭ মাসনুন মুনাজাত-১৩-৩৪ / ৩৭-৪৭ ৬. ৫. নামাযের পরে যির-মুনাজাতের মাসনুন পদ্ধতি /৪৭ ৬. ৬. নামাযের পরে জামাতবদ্ধভাবে হাত তুলে মুনাজাত /৪৮ ৬. ৬. ১. অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক /৪৮ ৬. ৬. ২. মুনাজাত বনাম জামাতবদ্ধ মুনাজাত /৫১ ৬. ৬. ৩. মুনাজা বনাম হাত তুলে মুনাজাত /৫৩ ৭. আরো কিছু মুনাজাত ৫৮ মাসনুন মুনাজাত-৩৫-৪৭ / ৫৮-৬৪ শেষ কথা /৬৪
ভূমিকাঃ بسم الله الرحمن الرحيم الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على النبي الأمي المبعوث رحمة للعالمين، و اله وصحبه أجمعين. মুমিনের জীবনের অন্যতম ইবাদত দু'আ বা মুনাজাত। আমরা সকলেই কোনো না কোনোভাবে মুনাজাত করি। মুনাজাতের কয়েকটি পর্যায় রয়েছে: প্রথমত, দুআ-মুনাজাত' একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। অন্য কোনো দলিল দ্বারা নিষিদ্ধ নয় এমন যে কোনো ভাষায়, যে কোনো সময়ে এবং যে কোনো অবস্থায় মুমিন আল্লাহর নিকট মুনাজাত করতে পারেন । এতে দু'আর মূল ইবাদত পালিত হবে এবং বান্দা সাওয়াব ও পুরস্কারের আশা করবেন। দ্বিতীয়ত, রাসূলুল্লাহ (আঃ)-এর শেখানো কথা দ্বারা মুনাজাত করলে মুমিন মাসনূন বাক্য ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত সাওয়াব লাভ করবেন। এ ছাড়া মাসনূন বাক্য ব্যবহারের মাধ্যমে মুমিন অতিরিক্ত বরকত ও মহব্বত লাভ করবেন এবং দোয়া কবুল হওয়ার বেশি আশা করতে পারবেন। তৃতীয়ত, মাসনূন মুনাজাতগুলির বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। কিছু মুনাজাত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন বা পালন করেছেন নির্ধারিত সময়ে বা নির্ধারিত পদ্ধতিতে। আবার কিছু মুনাজাত তিনি সাধারণভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। মুমিন যে কোনো মাসনূন মুনাজাত যে কোনো সময়ে আদায় করতে পারেন। এতে মাসনুন মুনাজাত ব্যবহারের সাওয়াব ও বরকত লাভ করবেন। আর নির্ধারিত সময়ের নির্ধরিত মুনাজাত ব্যবহার করলে অতিরিক্ত সুন্নাত পালনের মর্যাদা লাভ করবেন। চতুর্থত, মুনাজাতের পদ্ধতির ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (আঃ)-এর অনুসরণ করতে পারলে মুমিন মাসনূন পদ্ধতি পালনের অতিরিক্ত সাওয়াব, বরকত ও কবুলিয়্যাত লাভ করবেন। পঞ্চমত, দুআ-মুনাজাত করার বিশেষ বিশেষ সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন। সেগুলির অন্যতম হলো নামায। তিনি নামাযের মধ্যে ও পরে বিশেষভাবে দুআ-মুনাজাত করেছেন এবং করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাতে বা অন্যান্য সময়ে দুআ-মুনাজাত করার সুযোগ অনেকেরই হয় না। পক্ষান্তরে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আমরা সকলেই আদায় করি। এ সময়ের মাসনূন মুনাজাতগুলি আদায় করা আমাদের জন্য সহজ এবং এভাবে আমরা বিশেষ সাওয়াব, ফযীলত ও কবুলিয়ত লাভ করতে পারব, ইনশা আল্লাহ…..
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ইসলাম ধর্ম বিষয়ক ব্যক্তিত্ব, লেখক এবং গবেষক। তাঁর জন্ম ১৯৬১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ জেলার ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামে। তিনি ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল পাশ করে আলিম, ফাজিল এবং আল হাদিস বিভাগ থেকে কামিল পাস করেন। উচ্চতর শিক্ষার জন্য তিনি সৌদি আরবের রিয়াদস্থ ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাঊদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরপর দুবার সেরা ছাত্রের পুরষ্কার লাভ করেন। এরপর তিনি ঢাকার দারুস সালাম মাদ্রাসায় খণ্ডকালীন শায়খুল হাদিস, এবং পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন। পিস টিভি, ইসলামিক টিভি, এটিএন বাংলাসহ বিভিন্ন চ্যানেলে ধর্মবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতেন ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর। সর্বদা মানুষকে ইসলামমুখী করার ব্যাপারেই তিনি সচেষ্ট ছিলেন। ২০১৬ সালের ১১ মে মাগুরায় এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন দেশবরেণ্য এই ইসলামী ব্যক্তিত্ব। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর বইগুলো সবই ইসলাম ধর্ম বিষয়ক। তিনি ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ত্রিশের অধিক বই রচনা করেছেন। এর মধ্যে কিছু অনুবাদ, কিছু ব্যখ্যা ও গবেষণামূলক। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর বই সমূহ এর মাঝে এহইয়াউস সুনান, কুর’আন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকীদা, রাহে বেলায়াত, ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ, খুতবাতুল ইসলাম, A Woman From Desert, Guidance For Fasting Muslims, A Summary of Three Fundamentals of Islam প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। তিনি আরবী ভাষাতেও বই রচনা করেছেন। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর বই সমগ্র মানুষকে ইসলামমুখী করতে, ইসলামের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানার সুযোগ করে দিয়েছে। তবে তিনি কেবল বইয়ের গণ্ডির মাঝেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। এর পাশাপাশি ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, ধর্মপ্রচার এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথেও নিজেকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রাখতেন তিনি।