"মোসাদ (ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ৬০ বছরের সবচেয়ে ভয়ংকর, নিন্দিত, বিতর্কিত ও সংকটাপন্ন মিশনগুলো নিয়ে এই বই)" বিশ্বের ভয়ংকরতম গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। আজ থেকে ষাট বছর আগে ইহুদিদের এই গোয়েন্দা সংস্থার প্রকাশ। এরপর থেকেই সারা বিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জগন্যতম অপরাধে লিপ্ত হয় মোসাদ। বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো তাদের টার্গেটে পরিণত হয়। মোসাদ তার দেশ ও পশ্চিমা সার্থে সন্ত্রাসী, বিপ্লবী, বিজ্ঞানী, রাষ্ট্রনায়ক, সরকার প্রধানদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা শুরু করে। কখনো গুলি করে, কখনো বিষ প্রয়োগে, কখনো মেয়ে লেলিয়ে ঘটায় হত্যাকা-। আর এসবের নির্দেশদাতা ইসরাইল সরকার প্রধান। মুসলিম দেশগুলোকে কিভাবে পরাভূত করা যায় এটাই মোসাদের অন্যতম লক্ষ। প্রবীণ সাংবাদিক কায়কোবাদ মিলন বইটি অনুবাদ করেছেন। ২০১০ সালে বইটি যখন ইংরেজিতে প্রকাশ পায়। সত্তর সপ্তাহ ধরে এটি ছিল বিশ্বের বেষ্ট সেলার
‘মোসাদ ২’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ মোসাদ বইটি বছরব্যাপী আবিষ্কার’র বেস্ট সেলার। বইটি প্রকাশ পায় ২০১৭ সালের অমর একুশে বইমেলার শেষ প্রান্তে। এরই মধ্যে চতুর্থ মুদ্রণ চলছে। বাংলাদেশের অনলাইন বুক মার্কেটিংয়ে সেরা প্রতিষ্ঠান রকমারি ডট কম-এর বেস্ট সেলারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে মোসাদ। ২০১০ সালে বইটি যখন ইংরেজিতে প্রথম প্রকাশ পায় ৭০ সপ্তাহ ধরে এটি ছিল বিশ্বের বেস্ট সেলার। বাংলাদেশেও এটি বেস্ট সেলার হতে চলেছে। সময়ের স্বল্পতার জন্য তখন পুরো বইটি অনুবাদ ও মুদ্রণ সম্ভব হয় নি। ২০১৮ বই মেলার আগেই প্রকাশিত হয়েছে মোসাদ’র দ্বিতীয় খণ্ড ‘মোসাদ ২'। মোসাদ বিশ্বের ভয়ঙ্করতম গোয়েন্দা সংস্থা। ইসরাইলি এই সংস্থাটির দুঃসাহসিক অভিযান নিয়েই এই বই।
আবিষ্কার থেকে প্রকাশিত লেখকের বই। একাত্তরে পরাশক্তির যুদ্ধ।
মোসাদ।
ভূমিকাঃ ইহুদিদের ইতিহাস, আরব ভূখণ্ডে ইসরাইল রাষ্ট্র গঠন এবং কার্যকলাপ অন্তহীন জল্পনার বিষয়। ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ কয়েক দশক ধরে বিশ্বজুড়ে পরিচিত ভয়ঙ্কর হিসেবে নাম। বিশ্বের সেরা গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবেও এটি বিবেচিত। সেই মোসাদের নেপথ্যের কাহিনী নিয়ে বই লিখেছেন মিশায়েল বারজোহার এবং নিসিম মিশাল। মোসাদের ষাট বছরের সবচে ভয়ংকর, নিন্দিত, বিতর্কিত ও সংকটাপন্ন মিশনগুলো নিয়ে এই বই। এর প্রতিটি ঘটনাই সত্য ও বাস্তবিক। ইন্টেলিজেন্স যুদ্ধ সম্পর্কে যাদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ রয়েছে তাদের কাছে এই বই এক অমূল্য সম্পদ। প্রথমোক্ত লেখক জোহার চারটি ইসরাইল– আরব যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। মিশাল টিভি ব্যক্তিত্ব এবং ইসরাইলের সরকার নিয়ন্ত্রিত টিভির মহাপরিচালক। ২০১০ সালে মোসাদ বইটি যখন প্রথম প্রকাশিত হয় তখন এক নাগাড়ে ৭০ সপ্তাহ বইটি ছিল বিশ্বে বেষ্ট সেলার। এরই মাঝে বেশ কয়েকটি ভাষায় মুদ্রিত হয়েছে মোসাদ।
ভারতীয় উপমহাদেশে ইহুদিদের উপস্থিতির কথা জানা যায় আড়াই হাজার বছর আগে। তারা এখনো নামে বেনামে ব্যবসাসহ নানা পেশায় কাজ করছে। বাংলাদেশে কোনো ইহুদি পরিবার রয়েছে এমন তথ্য অজানা। ইতিহাস বলে রেডিও পাকিস্তান ও পাকিস্তান টেলিভিশনে ইংরেজি সংবাদ পাঠক Mordechai Cohen ছিলেন ইহুদি। তিনি থাকতেন রাজশাহীতে। ১৯৬০ সালে তিনি ভারতে চলে যান।
ভারতের ট্রেনে মোসাদ বইয়ের কয়েকটি পাতা পড়ার পর মনে হল বাংলা ভাষার, বিশেষ করে বাংলাদেশের পাঠকের বইটি পড়া উচিত। তাই এই প্রয়াস। আমাদের দেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে কয়েক লক্ষ সদস্য রয়েছেন। সত্যিকার গোয়েন্দা কাহিনী ও ইতিহাসের উপাদান জানার আগ্রহ কোটি লোকের। তারা এই বইটি পড়তে যে আগ্রহী হবেন তা হলফ করেই বলা যায়। তাছাড়া কূটনৈতিক এবং গোয়েন্দা পেশা কত ঝুঁকিপূর্ণ তাও উঠে এসেছে বইয়ের পাতায় পাতায়। সত্যিই মানুষ সন্ধানী, সত্যিই মানুষ অ্যাভেঞ্চার প্রিয়। আবিষ্কার থেকে প্রকাশিত আমার লেখা একাত্তরে পরাশক্তির যুদ্ধ বইটি খুব নাম করেছিল। সেই বইয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ- কালের বিভিন্ন দেশের মোস্ট সিকরেট চিঠিগুলা ফাঁস করেছিলাম। আর মোসাদ আরও অনন্য সাধারণ। এমন বই বাংলায় সত্যিই আর হয়নি। ১৯৪৮ সালে প্যালেস্টাইনে ইহুদিদের নিজস্ব বাসভূমি ইসরায়েল রাষ্ট্র স্থাপনের পর থেকে সারা বিশ্বে এদের ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থ ও ব্যাংকিং, শিল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞান, রাজনীতি, প্রচারমাধ্যম এবং সামরিক গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বিস্ময়করভাবে নজরে আসছে। বিশ্বের তাবৎ পরাশক্তির সঙ্গে রয়েছে এদের গোপন আতাত। ইহুদি
ব্যতীত অন্য যে কোনো ধর্মের অনুসারীকেই এরা মনে করে পৌত্তলিক বা বিধর্মী। মুসলমান এবং খ্রিস্টান সম্পর্কে এদের মন্তব্য Gentile, Goi এবং Sheketz। Latin এই শব্দগুলোর অর্থ বিধর্মী, পশুবীর্য ও শুকর। বলতে দ্বিধা নেই যারা এগুলো বলে তাদের আচরণ ও কার্যকলাপ সভ্য সমাজের মানুষের সঙ্গে তুল্য নয়। যে জেরুজালেম বিশ্বের সবচেয়ে বর্ণাঢ্য ও আন্তর্জাতিক নগরিই শুধু ছিলো না যা ছিলো মুসলমান খ্রিস্টান ও ইহুদিদের মহাপবিত্র নগরী সেই নগরি এখন ভয়াবহ আতংকের নগরি। আর এর জন্যে সবচেয়ে দায়ি ইহুদিরা। তবে এ কথাও সত্য ভূমধ্যসাগর ও জর্ডান নদীর তীরে সভ্যতা ইতিহাস এবং তিন হাজার বছরের মহাকাব্যিক জীবনধারায় মিশে আছে বিশ্বের শ্রেষ্ট ধর্ম ও জাতি সমূহের বিজয় গৌরবের কাহিনী।
এই বই অনুবাদ করতে পারার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই পীরসাহেব আলহাজ্ব মঞ্জিল মোরশেদ, মিডিয়া জগতের শীর্ষ নেতা ও সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, ইত্তেফাকের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার ও পূর্বানী সম্পাদক খোন্দকার শাহাদাৎ হোসেন, জাতীয় মহিলা সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) মাসুদা হোসেন, চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, মামা ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ হাবিবুর রহমান, বন্ধুবর অধ্যক্ষ আবদুস সালাম হাওলাদার, অধ্যাপিকা শিরীন আফরোজ, আন্টি মমতাজ বেগম রোজী, সিনিয়র
অ্যাডভোকেট আশিক আল জলিল, মোশতাক মোরশেদকে। বইয়ের ব্যাপারে তারা উৎসাহ দিয়েছিলেন। আমার অসুস্থ আম্মা আলহাজ্ব সাজেদা রহমান, তাঁকে আমরা বলি বরিশালের বেগম রোকেয়া। বর্তমানে তিনি খুবই অসুস্থ। তার জন্য দোয়া চাই। আমার স্ত্রী অধ্যাপিকা দিলরুবা জলিল দিনকে দিন আমাকে তার গুণমুগ্ধ করে তুলছেন। এক বিচারপতির মেয়ে, আরেক বিচারপতির বড় বোন এই ভদ্রমহিলা অনেকের কাছেই অনুকরণীয় এবং দশভূজা। তাদেরও ঐকান্তিক সহযোগিতা ছাড়া এতেঠ অল্প সময়ে অনুবাদের কাজ সম্ভব হতো না। ইত্তেফাকের আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ফজলুল হক, সাংবাদিক-সম্পাদক শাহজাহান আলি ও ওয়াহিদ মুরাদ জাতীয় প্রেসক্লাব লাইব্রেরিয়ান ইমরান খান, সাহিদউল্লাহ, সোনারগাঁওয়ের সাংবাদিক কাজী ফরিদ, অনুজ গীতিকার জুলফিকার চমন ও জিএম সরোয়ার মোহনকে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ। পুত্র ইভান ও সুমাইয়াকে ধন্যবাদ পরামর্শের জন্যে। হাজারও সালাম হাক্কোননূরে।
বি. দ্র.: ইসরাইল, জেরুজালেম ও ইহুদি সম্পর্কে কিছু তথ্য ‘টিকা’ অনুচ্ছেদ সংযুক্তি পাঠকের ভালো লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।
কায়কোবাদ মিলন।
[email protected] সূচিপাতাঃ আজ আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ বাধবে ১১
অন্যরকম যুদ্ধ ১৬
কে এই যুবক ২০
ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধ ২৬
আমরা চাই একটা মিগ টুয়েন্টি ওয়ান ৩১
ইরাকে ফাঁসির মঞ্চে ইসরাইলি গোয়েন্দা ৪৭
রেড প্রিন্সের সন্ধানে ৫৯
ব্লাক সেপ্টেম্বর ৬১
সিরিয়ায় ইসরাইলি গুপ্তচরের ফাঁসি ৮১
মিসরের মারণাস্ত্র প্রকল্প ভন্ডুল ১০৬
যারা কখনো ভুলবে না ১২০
রানি মারিয়ামের দেশে ১৩২
কোথায় ইয়োসেলি? ১৪৪
টিকা
বিশ্বযুদ্ধ ১৬৭
সন্ত্রাস ১৭২
ইহুদি রাষ্ট্র ১৭৬
ইহুদি ধর্ম ১৮২
অন্য ধর্মের প্রতি মনোভাব ১৮৬
ইহুদিদের স্বপ্ন ১৯১
জেরুজালেম ১৯৬
মোসাদ এক্সোডাস ১৯৭৭ সাল। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ তাদের এজেন্টদের গতানুগতিক ষড়যন্ত্র ও গুপ্তচরবৃত্তির বাইরে একবারে ভিন্ন একটা অ্যাসাইনমেন্ট দেয়। ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মেনাহেম বিগিন তাদের আদেশ দেন সুদানে আটকে থাকা ইথিওপিয়ান ইহুদি শরনার্থীদের উদ্ধার করে ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনার জন্য।
তিনি বলেন- 'শরনার্থীদের যেকোনো মূল্যে উদ্ধার করে আমার কাছে নিয়ে আসুন এবং অবশ্যই এই ইহুদি ভূমিতে।' তারই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পনা করা হয় নতুন এক অভিযানের। তবে সেবার পুরোপুরি ভিন্ন কিছুর ছক আঁকে মোসাদ। ১৯৮০ সালের শুরুর দিকের কথা। আক্রমণ চালাতে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে কোনো আগন্তুককে শত্রুভূমিতে পাঠানোর পরিবর্তে, সুদানের দূরবর্তী এক পরিত্যক্ত হলিডে ভিলেজে গুপ্ত ঘাঁটি গড়ে তোলে মোসাদ। যেখানে কদাচিৎ কিছু দর্শনার্থীর দেখা মিললেও, জনসাধারণের চাপ কম এবং ঘনবসতি নেই। তারপর সেখানে একদল সক্রিয় এজেন্ট মোতায়েন করা হয় শরনার্থীদের উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার জন্য। পরবর্তীতে নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও বিপদসংকুল পরিবেশের মুখোমুখি হয়ে তারা শরনার্থীদের ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করে সমুদ্র ও আকাশপথে ইসরায়েলে প্রেরণ করে। এই বইয়ের লেখক গ্যাড সিমরন সেই অভিযানেরই একজন সদস্য ছিলেন।
বইটি ১৯৯৮ সালে প্রথম হিব্রু ভাষায় প্রকাশিত হয়। ইংরেজি ভাষায় এর পরিমার্জিত সংস্করণে 'কীভাবে এই অভিযানের পরিল্পনা করা হয়েছিলো এবং কীভাবে মোসাদ টিম সুদানে তাদের এই অভিযানে সফল হয়' হাতেকলমে সেসবের রোমাঞ্চকর বর্ণনা দেয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে ব্যক্তিগত ঝুঁকি এবং দিনের ঝকমকে আলোয় দর্শনার্থীদের ভয় থাকা সত্ত্বেও স্থানীয়দের আড়ালেই রাতের বেলা শরনার্থীদের উদ্ধার করার কথা। এছাড়াও বইটিতে অভিযানের শেষদিকে আমেরিকার সংশ্লিষ্টতার কথাও আলোকপাত করা হয়েছে। তুলে আনা হয়েছে হোয়াইট হাউসের অনুমতি সাপেক্ষে ইথিওপিয়ান ইহুদি শরনার্থীদেরকে উদ্ধারে আকাশপথে আমেরিকার সাহায্য করার বিষয়টি এবং সিআইএ এর খার্তুম স্টেশন থেকে মোসাদ কর্মীদের আশ্রয় ও লিবিয়ার গুপ্তচরদের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচতে সহায়তার কথা। আরো বলা হয়েছে মেইলের মাধ্যমে মোসাদ অফিসারদের অনুপ্রেরণা দেবার প্রসঙ্গেও। সবমিলিয়ে লেখক গ্যাড সিমরন দুর্দান্ত পর্যবেক্ষণে আদর্শবাদী বীরত্বের গাঁথা বইটিতে সাবলীল ভঙ্গিমায় ফুটিয়ে তুলেছেন, যা সহজেই পাঠককে মুগ্ধ করবে।
"মোসাদ ‘র’ ও অন্যান্য" বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা:
যুগ যুগ ধরে গোয়েন্দাগিরিকে যুদ্ধের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে ধরা হয়। রাষ্ট্র নিজস্ব স্বার্থ হাসিল করতে, শত্রুর উপর আধিপত্য কায়েম করতে অথবা নিজেকে নিরাপদ রাখতে এই টেকনিক ব্যবহার করে থাকে। পূর্বে সাম্রাজ্যগুলুর লড়াইয়ে এই কৌশলের সীমিত প্রয়োগ আমরা দেখতে পেতাম, আর আজ আধুনিক যুগে রাষ্ট্রের সবচে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে এটা। বলা যায় বর্তমান যুগের প্রতিটি উন্নত রাষ্ট্র টিকে আছে গোয়েন্দাদের উপর ভর করে। তথ্য সংগ্রহ করা, মনিটরিং করা, প্রক্সিযুদ্ধ করা কিংবা শত্রু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে 4th and 5th Generation যুদ্ধ পরিচালনা করা, সবই করে থাকে গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা ব্যবস্থাকে রাষ্ট্রের ছায়া সরকারও বলা যায়। গোয়েন্দারা হল রাষ্ট্রীয় বাহিনীর চোখ ও কান।
গোয়েন্দা কী, গোয়েন্দারা কীভাবে কাজ করে, কেন গোয়েন্দাগিরি গুরুত্বপূর্ণ, ইসলামে এটার বিধান কী, গোয়েন্দাদের বৈশিষ্ট্য, প্রশিক্ষণ, অবদান সহ গোয়েন্দা এবং গোয়েন্দাগিরি আদ্যপান্ত এই গ্রন্থে আলোচনা করা হয়েছে।
বিশ্বের সেরা গোয়েন্দা সংস্থা বিশেষ করে ইসরাইলের 'মোসাদ' এবং ভারতের র' এর ইতিহাস, সফল ও ব্যর্থ মিশন এবং বর্তমান অবস্থাসহ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে আপনার হাতে থাকা এই গ্রন্থে।
বাংলা ভাষায় লিখিত গোয়েন্দা বিষয়ক সবচে বড় কলেবর এই গ্রন্থ। যা আপনাকে নিয়ে যাবে এক অদ্ভুত শিহরণ জাগানিয়া, রহস্যময় গোয়েন্দা জগতে। অবিশ্বাস্য হলেও তার প্রায় প্রতিটি বর্ণনা সত্য। বর্ণনাগুলো বিশ্বের বাঘা বাঘা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের অবসর জীবনে লিখিত বইয়ের অনুবাদ কিম্বা কোনো সাংবাদিককে একান্ত সাক্ষাৎকারে অকপটে বলা বাস্তব ঘটনাচিত্র।
চুম্বকাংশ....
"....১৯৬৫ সালের দিকে অমিত তার আত্মজীবনীতে লিখেন “...আমাদের স্বপ্ন বাস্তব হতে চলেছে। অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে। উত্তর ইরাকের বিদ্রোহী নেতা মোল্লা মোস্তফা বারজানীর তাঁবুতে ইসরাঈলী সরকারি প্রতিনিধি ঢুকতে সক্ষম হয়েছে। তাদের কুর্দিস্তানে অবস্থানকে বিশাল সাফল্য হিসেবে দেখা হলো। ইরাকের প্রধান ফ্যাক্টর হলো এই কুর্দিরা। এই একগুয়ে সম্প্রদায়ের সঙ্গে এই প্রথমবারের মতো ইসরাঈলের একটা যোগসূত্র সৃষ্টি হলো। কুর্দিরা ইরাকী রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে লাগাতার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। কুর্দিরা ছাড়া ইরাকের আর দুটি ফ্যাক্টর হলো শিয়া ও সুন্নীরা। বারজানীর নেতৃত্বাধীন কুর্দিরা ইরাকের অভ্যন্তরে ব্যাপক এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। মোসাদ যদি কুর্দি বিদ্রোহীদের মদদ দিয়ে আরো শক্তিশালী করতে সমর্থ হয়, তবে অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ইরাককে আরো ব্যতিব্যস্ত থাকতে হবে। ফলে ইরাকের শক্তি ক্ষয় হবে এবং ইসরাঈলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা হ্রাস পাবে। কুর্দিদের সঙ্গে এই আঁতাত ইসরাঈলের পক্ষে আশীর্বাদ হয়ে উঠবে।