"কীভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়" ভূমিকা? প্রতিটি মানুষেরই সাফল্যের পেছনে বেশ কিছু গুণাবলি থাকা চাই। কিন্তু ক’জনই বা জানে যে, সাফল্য লাভের জন্য তার কি কি গুণাবলির প্রয়ােজন। কোন্ পন্থা অবলম্বন করলে সে দ্রুত সফল হতে পারবে। এমন পন্থা কি সত্যিই আছে? না থাকলে জগতের অন্যসব মানুষগুলাে কীভাবে সহজ উপায়ে সফলতা লাভ করছেন। নিশ্চয়ই সফলতার সহজ উপায় আছে। আপনারও সে উপায়ের সন্ধান। করা আবশ্যক। আপনিও পারেন জীবনকে পাল্টে দিতে। নিশ্চয়ই পারেন। তার প্রথম প্রমাণ হল এই পরিবর্তনের লক্ষ্যেই আপনি বইটি হাতে তুলে নিয়েছেন। এটা সত্যিই আপনাকে আপনার উচ্চ অভীষ্টে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। এই মুহূর্ত থেকে আপনার জয়যাত্রা আরম্ভ হল। এ জগতে অনেক মানুষই নিজেদের ব্যর্থতার গ্লানিতে কষ্ট পান। অথচ কী করলে বা হলে তারা নিজেদেরকে সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে পারবেন- সে বিষয়ে তাদের তেমন মাথা ব্যথা নেই। কোনাে পরিকল্পনা বা লক্ষ্যই তারা আজও ঠিক করতে পারেননি। তারা নেতিবাচক মনােভাব প্রকাশ করেন এবং নিজেদেরকে অযােগ্য বিবেচনা করেন। এটাই তাদের ব্যর্থতার মূল কারণ। তারা সাফল্যকে ভয় করার প্রধান কারণ হল নিজেকে সাফল্য লাভের যােগ্য পাত্র বলে বিবেচনা না করা। এর ফলে সাফল্য যখন হাতের নাগালে এসে যায়- তখন তারা সামান্য বাধা পেলেই হাল ছেড়ে দেয়। এ বাঁধাগুলােকে গুড়িয়ে দিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানাের মনােভাব না থাকায় তারা জীবনে বার বার ব্যর্থ হতে থাকেন। আপনার সেসব নেতিবাচক মনােভাবকে দূর করতেই এই বইটি পড়ন। অবশ্যই এর একটা ফল পাবেন ইনশাআল্লাহ। মােস্তাক আহমাদ
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।