ভূতের বাচ্চা সাপুফো, সাপুফো ও সাইলাসের অদ্ভুতুড়ে অভিযান
ভূতের বাচ্চা সাপুফো ভূতের রাণীর একটি পুত্রসন্তান হয়েছে, যেটি দেখতে এতো বিশ্রী যে, কুকচকুচে কালো না, একেবারে দুধে-আলতায় মেশানো গায়ের রং, চোখগুলো বিশাল হয়ে ঝুলছে না, একেবারে পটলচেরা, মাথাটা গোলাকার, লম্বাটে লাউয়ের মতো না... যেন... যেন দেখতে একটা মানুষের বাচ্চা! কী বিশ্রী কী বিশ্রী!
যাইহোক এমন অদ্ভুতদর্শন ভূতকে ভূতরাজ্যে রাখা যাবে না বলে রাজ্যের সব মন্ত্রি ও বিজ্ঞজন মতামত দিয়েছেন, রাজার ছেলে হয়েছে বলে কী হয়েছে!
একদিন রাণীর প্রিয় ভূত সাইলাস, শিশুভূত সাপুফোকে মানুষ্যরাজ্যে রেখে এলো।
সাপুফো যেহেতু আসলে ভুত, সে তাদের অনেক কিছুই করতে পারত, যেমন আকাশে ওড়া, অদৃশ্য হয়ে যাওয়া। তো এক মানুষের পরিবারে বড় হতে থাকাকালে সে নানা ধরণের মজার মজার কাণ্ড-কারখানা করে যেতে থাকে। সাপুফো ও সাইলাসের অদ্ভুতুড়ে অভিযান "ভূতের বাচ্চা সাপুফো" বইটির সিকুয়্যেল এটি। সাপুফো বিশ্রী, মানে মানুষের মতো বিশ্রী (!) দেখতে হওয়ায় তাকে ভূতরাজ্য থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। তাকে যে ভূতটি নিয়ে এসেছিল, তার নাম সাইলাস।
এখানে ঘটনা নয় বছর পরের। ইতোমধ্যে সাপুফো একটা মানুষের পরিবারে বড় হচ্ছে, তার ইউশি নামে ছোট্ট একটা বোনও আছে। তবে সে যে ভূত এটা তার পাপা-মাম্মা ছাড়া আর কেউই জানে না। এমনকি ইউশিও না!
সাইলাস একদিন ভূতরাজ্য থেকে পালিয়ে মনুষ্যরাজ্যে চলে আসে, কারণ সে এত বোকা যে, মানুষকে ভয় দেখাতে পারে না বলে তাকে আবার ভূত একাডেমিতে প্রশিক্ষণের কথা চলছে। কী লজ্জার কথা। তাই মনের দুঃখে সে পালিয়ে এসেছে।
এখানে সাপুফোর সাথে তার আবার দেখা হয় এবং দুজনে মিলে মজার এক অদ্ভুতুড়ে অভিযানে জড়িয়ে পড়ে।
"মনের আনন্দের জন্যই লেখালেখি করি। ২০০১ সাল থেকে লেখালেখি করলেও ২০০৯ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর থেকে লেখালেখিতে বেশ নিয়মিত হয়েছি। সেনাবাহিনীতে চাকুরির সুবাদে যেমন দেশের প্রায় সব জায়গায়ই ঘুরেছি, বিদেশেরও ত্রিশটি দেশে ঘুরেছি। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও জাতিসংঘের অভিজ্ঞতা ছাড়াও দেশে বিদেশে নানা রকম মানুষের সংস্পর্শে এসেছি, নানা ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি, সেসব অভিজ্ঞতা ও মানুষের কথাই আমার গল্প উপন্যাসে আপনাতেই চলে আসে! ছোটগল্প, উপন্যাস ছাড়াও অনুবাদ করতে পছন্দ করি। এযাবৎ আমার ১৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে, যার মধ্যে ৩টি উপন্যাস, ২টি ছোটগল্প সংকলন, ১টি মুক্তিযুদ্ধের উপর গল্প সংকলন, ১টি জাতিসংঘের অভিজ্ঞতার উপরে লেখা নন-ফিকশন, ২টি শিশুতোষ মজার ভূতের উপন্যাস, ৪টি অনুবাদ ও ২টি যৌথ গল্প সংকলন রয়েছে। এবারের (২০১৯) বইমেলায় আমার ৩টি বই (১টি ভ্রমণকাহিনী, ১টি জীবনধর্মী গল্প সংকলন ও ১টি শিশুতোষ গল্পের অনুবাদ) প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। লেখালেখির পাশাপাশি ""নহলী"" নামে আমি একটি সংগঠন গড়ে তুলেছি, যেটার প্রকাশনীর মাধ্যমে নবীন লেখকদের বই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ছাপিয়ে থাকি এবং একটি মোটামুটি বড় লাইব্রেরি গড়ে তুলেছি যেখান থেকে যে কেউ বই নিয়ে পড়তে পারেন। লাইব্রেরিটিতে এখন প্রায় চার হাজার বই থাকলেও শীঘ্রই এতে দশ হাজার বই যোগ হবে এবং অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপভিত্তিক একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেশের যে কেউ আমাদের কুরিয়ার খরচে বই নিয়ে পড়তে পারবেন। "