ভূমিকা আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি তাদের কাছে একাত্তর পরবর্তী বছরগুলো বেশ গোলমেলে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস কখনই আমাদের জানতে দেয়া হয়নি। সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে ইতিহাস ,তথ্য আর দলিল পরিবর্তনের ধারা আজও বহাল।
সেদিক থেকে আমি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করি।আমার বাবা প্রয়াত লুৎফুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি তুরায় (সেক্টর ১১) জোনাল এ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদে যো্গ দিয়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন আর তাঁরই চোখে আমার একাত্তর দেখা। আমার ভেতরে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে এক প্রশ্নাতীত আবেগের জন্ম তিনিই দিয়েছেন।
ইংরেজীতে লেখঅ তাহমিমা আনামের প্রথম উপন্যাস ‘এ গোল্ডেন এজ’ এই সময়ের জন্য একটি অত্যন্ত পুরুত্বপূর্ণ কাজ। একানে বলা প্রয়োজন এটি কোন ইতিহাসের দলিল নয়, তবে মুক্তিযুদ্ধের আবেগ ও চেতনা সঞ্চার তো বটেই। তাছাড়া বইটি আন্তর্জাতিক বিশ্বকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আবারও ভাবতে বাধ্য করে। প্রবাসে বড় হওয়া ছেলেমেয়েরা যখন বইটি পড়ে দেশ সম্পর্কে ,স্বাধীনতা সম্পর্কে জানতে উৎসাহী হয় তখনই এর অপরিহার্য টের পাই। আর সে কারনেই এই কাজটির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করার সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে।
যদি বর্তমান প্রজন্মের তরুন ছেলেমেয়েরা বইটি পড়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আবেগ তাড়িত হন বা আরো জানবার আগ্রহ বোধ করেন, তবে সেই যথেষ্ট। লীসা গাজী
মফিদুল হক (জন্ম: ১৯৪৮) পেশায় প্রকাশক এবং কর্মসুবাদে শিল্প-সংস্কৃতি ও সৃজনমূলক বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। তার সমাজচিন্তামূলক বহুবিধ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও শিল্প-সাহিত্যের সাময়িকীতে, যদিও প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তুলনায় খুব বেশি নয়। মৌলিক প্রবন্ধ রচনার পাশাপাশি অনুবাদেও তিনি সর্বদা আগ্রহের পরিচয় রেখেছেন। সমাজ-অধ্যয়ন তাঁর রচনার মূল বিষয়, এক্ষেত্রে শিল্প-সাহিত্যের দৃষ্টিকোণ পেয়েছে বিশেষ প্রাধান্য। বাংলা একাডেমী থেকে জীবনীগ্রন্থ সিরিজে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর রচিত আবুল হাশিম’ এবং পূর্ণেন্দু দস্তিদার' প্রকাশিত উল্লেখযােগ্য অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘মনােজগতে উপনিবেশ: তথ্য সাম্রাজ্যবাদের ইতিবৃত্ত’, ‘তৃতীয় বিশ্ব এবং নারীমুক্তির পথিকৃৎ। অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে এর্নেস্তো কার্দেনালের ‘বিপ্লব ও ভালােবাসার কবিতা, জন হের্সের ‘হিরােশিমা', সিডনি শনবার্গের ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ: ১৯৭১', আহমেদ সালিমের ‘পাকিস্তানের কারাগারে শেখ মুজিবের বন্দিজীবন’ প্রভৃতি। শিল্পকলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয়েছে দ্বিভাষিক গ্রন্থ কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউটইউনেস্কো প্রকাশিত দ্বিবার্ষিক সংকলন ‘ওয়ার্ল্ড অব থিয়েটার'-এর অন্যতম সম্পাদক। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য-সচিব তিনি।