এই গল্প প্রেমের। মানব-মানবীর প্রেমের সঙ্গে যুক্ত হয় স্বপ্নের প্রতি প্রেম। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে রাকিব। কলেজে পড়ার সময় থেকেই সে উদ্যোক্তা হতে চায়। কিন্তু পরিস্থিতি প্রতিকূল। এই দেশের সব বাবা-মাই চায় তাদের ছেলেমেয়ে পড়ালেখা করে সরকারি চাকরি করবে। না হলে বড় কোনো বেসরকারি চাকরি। এর বাইরে তারা ভাবতে চান না। ফলে অনেক ছেলেমেয়েকে তাদের ইচ্ছার বাইরে গিয়ে অভিভাবকের চাপে পড়ে অনেক কিছু করতে হয়। তারা এমন সব কাজ করে সারাজীবন, যা তারা ভালোবাসে না। বাধ্য হয়ে করে। কিন্তু রাকিব একরোখা। সে স্বপ্ন দেখে একদিন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শপটি তার হবে। তার স্বপ্ন কি সফল হবে? রাকিব পরিশ্রমী, একনিষ্ঠ, সাহসী। কিন্তু সামাজিক মূল্যবোধগুলোকে সম্মান করে। সে ভালোবাসে নাহারকে, নাহারও তাকে। কিন্তু সামাজিক অবস্থান তাদের প্রেমের ক্ষেত্রে বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়ায়। রাকিবের বেস্ট ফ্রেন্ড মাফুজও নাহারের প্রেম প্রত্যাশী। এই গল্পে যোগ হয় ত্রিভুজ প্রেমের সংকট। রাকিব কোনদিকে যাবে? শূন্য থেকে শুরু করে স্বপ্নের পেছনে ছুটতে গেলে অনেক কিছুই বিসর্জন দিতে হবে। বন্ধুত্বেও ফাটল ধরবে। সে কি নাহারকে পাবে? সব প্রতিকূলতাকে জয় করে অনলাইন ব্যবসাটাকে দাঁড় করাতে পারবে? রাহিতুল ইসলামের উপন্যাস ‘ভালোবাসার হাট-বাজার’-এ এভাবেই উঠে এসেছে মফস্বলের এক স্বপ্নবাজ তরুণের গল্প। প্রেম, বন্ধুত্ব ও স্বপ্নের দ্বিধাদ্বন্দ্বের সমন্বয় এ উপন্যাস।
রাহিতুল ইসলাম (Rahitul Islam) একজন বাংলাদেশি তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিক, লেখক ও নাট্যকার। বর্তমানে দেশের একটি শীর্ষ দৈনিকে সাংবাদিকতা করছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করেন। তবে তাঁর আগ্রহের বিষয় মূলত তথ্যপ্রযুক্তি। সংবাদপত্রে লিখে আর কথাসাহিত্য রচনার মধ্য দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন পাঠকদের এই জগতের জানা-অজানা নানা বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত করাতে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১২। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস: ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’, ‘চরের মাস্টার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার’, ‘হ্যালো ডাক্তার আপা’, ‘ভালোবাসার হাট-বাজার’ এবং ‘কেমন আছে ফ্রিল্যান্সার নাদিয়া’। ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইটি ফিলিপাইন থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইয়ের জন্য জাতীয় ফ্রিল্যান্সিং অ্যাওয়ার্ড (২০১৯) এবং ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’র জন্য এসবিএসপি সাহিত্য পুরস্কার (২০২১) পেয়েছেন।