ভেতরের শান্তি বিকশিত করা এবং অন্যকে সেই শান্তি দিয়ে প্রভাবিত করার প্রাকৃতিক উপায় নিয়ে বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম বই ‘আনলক ইয়োর ইনার মিলিয়নিয়ার’। পরিচিতি: নিজের এ বইটি যে কোন পাঠকের মাইন্ডকে সহজে ট্রেইনআপ করতে পারে; কীভাবে 24X7 শান্তিতে থাকবেন এবং নিজের প্রকৃত শক্তিকে আনলক করবেন। গবেষণা বলছে, বেশির ভাগ মানুষ জীবন সম্পর্কে অজ্ঞ, বর্তমান নিয়ে উদ্বিগ্ন, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। বাংলাদেশের মতো গরিব দেশে এই ধরনের মানুষের সংখ্যা আরো বেশি। এ বইটি আপনার জন্য মেন্টর বা গাইডের মতো শান্তি ও সাফল্যের পথ দেখাবে। আধ্যাত্মিক কৌশলগুলো ব্যবহার করে আপনি নিজের বর্তমানকে যে কোন মাত্রায় রূপান্তর করতে পারবেন। সব শেষে নিজের ভেতরের প্রকৃত শক্তিকে আনলক করার জন্য পাবেন ‘আনলক ইয়োগা মেডিটেশন’। এই বইয়ে দেওয়া প্রতিটি ব্যবহারিক কৌশল হাজার বছর ধরে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত, উচ্চ মানসম্মত কিন্তু সহজ, প্রাসঙ্গিক ও কার্যকর। যা প্রতিদিন চর্চা করলে আপনার জীবনের সার্বিক মান উন্নয়ন ঘটবে। ‘আনলক ইয়োর ইনার মিলিয়নিয়ার’ এটি একটি আট ঘণ্টার ট্রেনিং সেশন। এটি আমার এবং হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করেছে। আশা করি এই কৌশনগুলো আপনার জন্যও কাজ করবে। প্রথম অধ্যায়: নিজেকে জানো! কোনো কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে আগে সে সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে হবে। তার পর তুমি পারবে যে কোনো ধরনের পরিবর্তন করতে। প্রথম অধ্যায় পড়লে জানবে নিজেকে, তোমার প্রতিটি চিন্তাভাবনা আর বিশ্বাস সম্পর্কে; যেগুলো তোমাকে প্রতিনিয়ত পরিচালনা করছে। আরও জানবে, তোমার মেন্টাল প্যাটার্ন, তোমার লক, লকের ধরন, চাবি, ইনার মিলিয়নিয়ার আসলে কী? সব শেষে পাবে, নিজেকে যে-কোনো মাত্রায় বিকশিত করার টুল্স আনলক ইয়োগা মেডিটেশন। দ্বিতীয় অধ্যায়: লার্ন ফ্রম লাইফ! জ্ঞান পৃথিবীর কোন বইয়ে অপেক্ষা করছে না, যেটা তুমি পড়বে আর সফল হবে। জ্ঞান তোমার ভেতরেই আছে। জ্ঞান ভালো বা মন্দ হয় না। সম্ভাবনা তেমনি কম বা বেশি হয় না। এটা কেবল আছে। কে কতটা নেবে এটা নির্ভর করে তার উপর। তোমাকে কেবল নেয়াটা শিখতে হবে। তৃতীয় অধ্যায়: নিজের বাস্তবিক নতুন জীবনের পরিকল্পনা! লোকে জীবনের প্লানিং বলতে কেবল ক্যারিয়ার প্লান বোঝে। জীবন তো কেবল ক্যারিয়ারের জন্য নয়; তোমার পারসোনাল লাইফ, রিলেশনশিপ, ওয়ার্ক লাইফ, সোশ্যাল কন্ট্রিবিউশনসহ সব দিকে সমন্বয় করতে পারলেই তুমি পাবে পরিকল্পিত ব্যালেন্সড লাইফ। সুখী ও সফল হওয়ার জন্য এটা প্রাথমিকভাবে দরকার। আর একজন ইনার মিলিয়নিয়ারের জীবন পাবে কিভাবে? এই অধ্যায়ে তুমি সেটা জানবে। চতৃর্থ অধ্যায়: পছন্দের ক্যারিয়ার ও আর্থিক স্বাধীনতার সন্ধান করো। তোমার জীবনে ক্যারিয়ার ও আর্থিকভাবে যা চাও, তার একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করো। টেকসই গতি বজায় রাখার জন্য কৌশল তৈরি করো। এই অধ্যায়ে তার বাস্তবসম্মত কৌশল পাবে। তোমার মন কি তোমার জন্য সব সময় কাজ করে? এবার করবে শতভাগ। পঞ্চম অধ্যায়: মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা। যে-কোনো কিছু করার জন্য প্রথমে দরকার মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা। তবে এই অধ্যায়ে কেবল মনের সুস্থতা নিয়েই কথা বলা হয়েছে। কারণ, শরীরে রোগ হলে তোমার পরিবার বিচলিত হয়ে ওঠে; মনে অসুখ হলে তা হয় না। অথচ মানুষের মনে এখন ২০০ এর বেশি রোগ হতে পারে আর এসব রোগ প্রভাব বিস্তার করে শরীরেও। জানো নিশ্চয়, কেবল মনের শক্তি ব্যবহার করেই শরীরকে ৭৫ শতাংশ সুস্থ রাখা সম্ভব। ষষ্ঠ অধ্যায়: ভয়ের ভূত তাড়াও; এ তোমার অবচেতন শত্রু। ভয় তোমাকে নিরাপত্তা দেয় ঠিকই, কিন্তু একই সাথে বন্দিও করে। মনকে অখাদ্য খাওয়ানো বন্ধ করলেই ভয় যাবে পালিয়ে। তখন তুমি প্রকৃত মুক্তির স্বাদ পাবে। ওটাই জীবন, ওটাই তোমার স্বর্গীয় পরিচয়। সপ্তম অধ্যায়: ভালোবাসায় পূর্ণ সম্পর্ক। প্রতিটি সম্পর্কে শক্তিশালী বন্ধন তৈরির জন্য দরকার মনের শান্ত স্বরূপ স্থিতি ও সাড়া দেওয়ার সচেতনতা। তুমি একজন নেতা, সহকর্মী, বন্ধু, স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা হিসেবে নিজের সচেতন অংশগ্রহণ প্রভাবিত করে অন্যের মনে নিজের জন্য শক্তিশালী অবস্থান ও শক্তিশালী বন্ধন তৈরির দক্ষতা পাবে এ অধ্যায়ে। তবে আমি বিশ্বাস করি- ভালোবাসার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় নিজেকে ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে। এক্সট্রা অধ্যায়: ট্রান্সফরমিং নিউ লাইফ। নিজেকে নতুন করে তৈরি করতে হয় একটু একটু করে। দুয়েকটি অভ্যাস বা চিন্তার পরিবর্তন দিয়ে শুরু করতে হয়। শুরু করো নিজেকে পরিবর্তনের যাত্রা। এই যাত্রা তোমাকে মনের মতো করে তৈরি করবে। এ হোক তোমার দ্বিতীয় জন্ম। ………………… …………………….. বইটি পড়ে যে দশটি বিষয় শিখবে: ১. নিজেকে ফিরে পাবেন আপনার দখলে, অন্যেদের খেলার ফুট বল আপনি হবেন না ২. 24X7 শান্তিতে থাকার সক্ষমতা এবং বুলেট প্রুভ কনফিডেন্ট পাবেন ৩. নিজের ভেতরের প্রকৃত শক্তিকে আনলক করার আধ্যাত্মিক ইউজার ম্যানুয়াল পাবেন- ‘আনলক ইয়োগা মেডিটেশনে’ ৪. বর্তমান নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর করার গাইড লাইন ৫. জীবন থেকে সাফল্যকে শেখার সহজ ও নিরাপদ কৌশল ৬. পারসোনাল লাইফ, রিলেশনশিপ, ওয়ার্ক লাইফ, সোশ্যাল কন্ট্রিবিউশনসহ সব দিকে সমন্বয় করার ও পরিকল্পিত ব্যালেন্সড্ লাইফ ৭. পছন্দের ক্যারিয়ার ও আর্থিক স্বাধীনতার সন্ধান ৮. মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার - মেন্টাল ওয়েলবিং ৯. ভয়ের ভূত তাড়ানোর কৌশল - প্রকৃত মুক্তির স্বাদ ১০. ভালোবাসায় পূর্ণ সম্পর্ক পাওয়ার প্রাকৃতিক ও কার্যকর উপায় ………………. ……………….. …………………………. লেখক ভাবনা: কেন লিখলাম ‘আনলক ইয়োর ইনার মিলিয়নিয়ার’ বইটি? ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত আমি মনে করতাম ভালো বিশ্ববিদ্যালয় ও ভালো ডিগ্রী, পারিবারিক স্ট্যাটাস এবং টাকা কেবল এই সবই জীবন পরিবর্তন করতে পারে। যেহেতু এসবরে কিছুই আমার নেই। তাই এই কষ্টের জীবনটাই মেনে নিয়েছিলাম। অন্যে আর দশ জন মানুষের মতো আমারও এ জীবন নিয়ে কোন আক্ষেপ ছিলনা। এরপর হঠাৎ একটি প্রশ্ন আমার মনের মধ্যে এলো, এই সব কিছু যার আছে তিনি কি তার জীবনে বড় কোনো পরিবর্তন করতে পারছে? আমার গবেষণা থেকে উত্তর পেলাম, ‘না’। তারা হয়ত জীবনে উপভোগ করতে পারছে কিন্তু নিজেকে ভিন্ন মাত্রায় রূপান্তর করতে পারেনি কেউই। তাহলে কে তার জীবনে বড় পরিবর্ত করতে পারছে? উত্তর পেলাম যে, তার বুদ্ধিকে শান্ত রাখতে পারছে এবং নিজেকে ওয়েল ট্রেনিং দিতে পারছে। সেই সব মানুষ কেবল নিজেকে নয় পরিবর্তন করেছে সারা পৃথিবীকে। নিজেকে ট্রেনিং করানোর যতোগুলো পথ রয়েছে তার মধ্যে আধ্যাত্মিক পথই সব থেকে দ্রুত কাজ করতে পারে। তাই শুরু করলাম আধ্যাত্মিক পথ ধরেই। এই জার্নি থেকে শেখা প্রতিটি ব্যবহারিক কৌশল যা হাজার বছর ধরে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত। এই বইতে সে সব কৌশলের কথাই লিখেছি ফল প্রাপ্তির পরে। আনলক ইয়োর ইনার মিলিয়নিয়ার বইটি আমার নিজেকে আনলক করার ছোট একটি নমুনা মাত্র। আপনি নিশ্চয় নিজের প্রকৃত শক্তি সম্পর্কে জানতে চান, বর্তমান নিয়ে উদ্বিগ্নতা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর করতে চান তবে এই বইটি আপনাকে অবশ্যই সাহায্য করবে। এই বইয়ের আধ্যাত্মিক কৌশলগুলো আমাদের জন্য কাজ করছে আশা করছি আপনার জন্যও সমান ভাবে কাজ করবে। মানুষ হিসেবে আপানর উচিৎ নিজেকে পরিবর্তনের যাত্রা শুরু করা এবং সেটা এখনই।
একটা সময় ছিল, যখন আমার মনে হতো রাগ জীবনের সবচেয়ে দরকারি বিষয়। এটি ছাড়া যেন জীবনে কোনো কিছুতেই মূল্যায়ন পাওয়া সম্ভব নয়। মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন চর্চা শুরুর পরপরই বুঝলাম, আমার চোখে এত দিন কাঠের চশমা ছিল। এরপর ভালো লাগা থেকে মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন অ্যাডভান্স লেভেল শেখা ও চর্চা করা শুরু করলাম। আস্তে আস্তে নিজের মনের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়লো। উপলব্ধি করতে পারলাম, আমার আশপাশের মানুষগুলোর মধ্যে যে সম্পর্কজনিত সমস্যা, পেশাগত সমস্যা, শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা এসবেরই উৎস হচ্ছে রাগ, ভয় এবং অহংকার। তখন আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ, আমার অর্ধাঙ্গিনীকে (আফসানা মিনা) তার মনের উপর দখল আনতে সহযোগিতা করা শুরু করলাম। এই কাজে সফল হওয়ার পর আমার উপলব্ধি হলো—এটিই আমার জীবনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। এখন মানুষকে সুখী হতে উৎসাহিত করা এবং সেই শিক্ষাদান করাই আমার জীবনের উদ্দেশ্য। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেকের জীবনের বর্তমান মুহূর্তটি সুখের হলে তাঁর পুরো জীবনটাই শান্তিময় এবং কল্যাণকর হয়ে উঠবে। আমি জোবায়ের রুবেল। একজন মোটিভেশনাল লেখক, মাইন্ডফুলনেস টিচার, পিআর কনসালট্যান্ট এবং উদ্যোক্তা। আমি ‘সুখের স্কুল’ (www.sukherschool.com) এর প্রতিষ্ঠাতা। এ প্রতিষ্ঠানটি দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের আলোকে মাইন্ডফুলনেস চর্চার বিজ্ঞানসম্মত কনটেন্ট প্রদান করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করচ্ছে। ‘স্টোরিটেলার’ (www.storyteller.team) নামে একটি পিআর এজেন্সিরও প্রতিষ্ঠাতা আমি। এ প্রতিষ্ঠানটি পজিটিভ পাবলিক রিলেশনস নিয়ে কাজ করে। মনে রাখবেন, সুখী হতে পারাটা একটি দক্ষতা এবং এটি শেখা যায়। আরও জানতে: www.jobairrubel.com