সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। দিগন্ত লালিমায় অদৃশ্য হচ্ছে অনুকূলের সূর্যটা। চারিদিক থেকে ধেয়ে আসছে দাজ্জালদের কালো থাবা। পশ্চিমা সংস্কৃতি খেয়ে ফেলছে মস্তিষ্কের অবশিষ্ট কোষগুলো। আর শরীরের প্রতিটি অনুকণা তারস্বরে চেঁচিয়ে বলছে 'তোমার অস্তিত্বের দোহাই! আমাকে বাঁচাও, আমাকে অশান্তির আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করো না, নরকের দাবানলে ছুঁড়ে ফেলো না।' অথচ আমরা নির্বিকার। নিশ্চুপ। নিজেরাই ধ্বংস করছি নিজেদেরকে। ভ্রুক্ষেপ করছি না কিছুই। প্রবৃত্তির অনুসরণে মত্ত হয়ে আছি। ডুবে আছি ঘনকালো আঁধারের গহ্বরে।
কিন্তু আর কত প্রিয়? আর কতকাল ঘুমিয়ে থাকব অলসতার চাদরে? কতটা সময় পেরোলে জাগবে আমাদের অন্ধআত্মা? এখনও কি সময় হয়নি? নিভু নিভু দীপাধারে আলো জ্বালাবার সময় কি এখনও হয়নি?
প্রিয় পাঠক!
আমি এক অধম মালী। ঝাঁঝরি হাতে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরি। কেউ যদি সিঞ্চন করে আপনার মস্তিষ্ক, কেউ যদি শিকড়ের সন্ধান পেতে চায়; এই আশায়... হৃদয়ের গভীর থেকে নবীজির কথামালা সাজিয়েছি বইয়ের পাতায় পাতায়। স্রষ্টার বিধানাবলি বলেছি কথায় কথায়। গল্পে গল্পে এঁকেছি ইবলিসের আদলে আমাদের সহাবস্থান। ব্যথাতুর হৃদয়ে লিখেছি মহান রবের বিরোধিতার ইতিবৃত্ত আর স্বকীয়তা ধ্বংসের কতকথা।
পরিশেষে কবিতার শব্দে বলতে চাই,
যে জন করছে হরণ আপনার জীবন,
সে জন জাগলে জেনো, ধন্য ভুবন।