জাতক সাহিত্য পৌরাণিক বিষয়। ভগবান বুদ্ধের পূর্বজন্মের বৃত্তান্তই জাতকের আলোচ্য। বৌদ্ধ ঐতিহ্যমতে এগুলো কল্পিত কাহিনী নয়, বুদ্ধের বোধিসত্ত্বকালীন জীবনের ইতিকথা মাত্র। জাতকের মৌল উপাদান গৌতম বুদ্ধের উপদেশনা। তাঁর শিষ্য-প্রশিষ্যদের কাছে দেশনাকালে আলোচ্য বিষয়ের সরলীকরণের জন্য জাতক কাহিনীর অবতারণা করতেন। বুদ্ধের এই কাহিনীগুলো নৈতিক জ্ঞানার্জনের এক অনন্য সম্পদরূপে মূল্যায়িত। তাই জাতকের উৎস ধর্মশাস্ত্র হলেও প্রাচীন জীবনধারার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও তত্ত্ব এতে অঙ্গীভূত। শুধু নীতিকথা নয়, জাতকে এই উপমহাদেশের তথা প্রাচীন ভারতের ভূগোল, আর্থ-সামাজিক, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বহুমাত্রিক পরিচয়ও পাওয়া যায়। এক কথায়, রাজা-মহারাজা থেকে ব্রাত্যজনের যাপিত জীবনের সংস্কার-সংস্কৃতির সাথে পশু-পাখি ও পরিবেশ প্রসঙ্গে অমূল্য কথা জাতকে উপজীব্য হয়ে আছে। জাতক সন্দর্শন-এ সুমন কান্তি বড়–য়া ও শান্টু বড়–য়া জাতক কাহিনী পর্যালোচনা করে এর অন্তর্নিহিত নানা দিক তুলে ধরতে গিয়ে উপর্যুক্ত বিষয়গুলোর প্রতি আলোকপাত করেছেন। জাতকের কাহিনী নিয়ে এ ধারার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসমৃদ্ধ গ্রন্থ রচনার প্রয়াস বাংলা সাহিত্যে বিরলই।
সুমন কান্তি বড়ুয়া ও শান্টু বড়ুয়া সুমন কান্তি বড়ুয়া, জন্ম চট্টগ্রামে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পালি ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সসহ মাস্টার্সে প্রথম স্থান লাভ করেন। ২০০৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। এবং বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ’র মাসিক সাহিত্য পত্রিকা কৃষ্টি-র নির্বাহী সম্পাদক। তিনি দেশ-বিদেশে বহু আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ ও গবেষণামূলক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ: ত্রিপিটক পরিচিতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (যৌথভাবে) ২০০০, কীর্তিমান বৌদ্ধ সাহিত্যিক ও দার্শনিক (যৌথভাবে) প্রভৃতি। br> শান্টু বড়ুয়া, জন্ম চট্টগ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ থেকে অনার্সসহ মাস্টার্সে প্রথম স্থান লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। মি. বড়–য়ার ঐতিহাসিক পালি বংস সাহিত্য সমীা শীর্ষক গ্রন্থটি ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়
Santu Barua- জন্ম চট্টগ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ থেকে অনার্সসহ মাস্টার্সে প্রথম স্থান লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। মি. বড়–য়ার ঐতিহাসিক পালি বংস সাহিত্য সমীক্ষা শীর্ষক গ্রন্থটি ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়।