যারা বিজ্ঞানী, তারা খুব স্বাভাবিক কারণেই সাহিত্যিকদের মতো সহজ করে লিখতে পারেন না। আবার যারা সাহিত্যিক, তারা বিজ্ঞানীদের মতো গভীরভাবে বিজ্ঞান বোঝেন না। মোস্তফা তানিম এই সমস্যার একটি চমৎকার সমাধান বের করেছেন। তিনি নিজে সাহিত্যিক আবার বিজ্ঞানের ছাত্র। তিনি একটি সাংঘাতিক কাজ করে ফেলেছেন। করোনা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের যত তথ্য আছে, সব তিনি এক জায়গায় করেছেন। তারপর সহজ বাংলায় তিনি ব্যাপারটিকে গুছিয়ে লিখেছেন। এরপর তিনি এই পাণ্ডুলিপি পাঠিয়েছেন আমেরিকার বাঘা বাঘা ডাক্তার, ভাইরোলোজিস্টদের। তারা সেই লেখা পড়ে ভুলত্রুটি খুঁজে বের করেছেন। সেগুলো সংশোধন করা হয়েছে। এই করতে গিয়ে একশ সাতাশ পাতার বইটি লিখতে মোস্তফা তানিমের সময় লেগেছে তিন মাস। এই তিন মাস তিনি অন্য কোনো কাজ করেননি, গৃহবন্দী অবস্থায় শুধু এ বইটি লিখেছেন। করোনায় এখন পর্যন্ত তিন লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। মানবসভ্যতার সবচেয়ে বড় শত্রুর নাম : করোনা। ইংরেজিতে একটা কথা আছে, keep your friend close, keep your enemy closer। কাজেই করোনা নামক এই শত্রুকে চিনতে হলে, এই বইয়ের চেয়ে ভালো বই আর একটিও নেই। না ইংরেজিতে, না বাংলায়। আশীফ এন্তাজ রবি
মোস্তফা তানিম লেখালেখি করছেন দুই দশক ধরে। বাংলাদেশের যে স্বল্প সংখ্যক লেখক সায়েন্স ফিকশন লিখে পাঠকের মনোযোগ কেড়েছেন, মোস্তফা তানিম তাদেরই একজন। লেখক-তীর্থভূমি হিসেবে খ্যাত ''কচি কাঁচার আসর'' দিয়ে তার লেখক জীবনের সূচনা। নব্বই দশকে পত্রিকার জন্য দুই হাতে লিখেছেন। লেখালেখির মতো তার পেশাও ভীষণভাবেই বিজ্ঞানকেন্দ্রিক। বুয়েটে লেখাপড়ার পাট চুকিয়ে তিনি পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এ এন্ড এম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি একটি মার্কিন আই,টি, কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। বিজ্ঞান তার একটা প্রিয় বিষয়, তার লেখায় সেটার স্পষ্ট ছাপ পড়েছে। বিজ্ঞানের সাথে কলার বিরোধ আছে। মোস্তফা তানিম অসামান্য দক্ষতায় সেই বিরোধ সামলান তো বটেই, মাঝে মাঝে দু'টোকে বেশ দারুনভাবে সমন্বয় করেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ন'টি।