হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালি জাতির জনক। স্বাধীনতার মহান স্থপতি। অনিবার্যভাবে তাকে নিয়ে বাঙালি সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীরা অবিরাম রচনা করেছেন মুজিব-প্রণাম। বাঙালি জাতির-এ মহান নেতাকে নিয়ে যত কবিতা, ছড়া, গান, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, স্মৃতিচারণ রচিত হয়েছে, এত রচনা খুব কম বাঙালির ভাগ্যে জুটেছে। তিনি তো রাজনীতিবিদ। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তাকে নিয়ে যত লেখা হয়েছে তা পৃথিবীতে বিরল। এর প্রধান কারণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যতটা রাজনীতিবিদ, তার চেয়ে বেশি বাঙালি জাতির প্রাণের মানুষ তিনি। বাঙালি জাতির মনের মধ্যে যেভাবে তিনি স্থান করে নিয়েছেন তা শিল্পের সৌন্দর্য হিসেবে অনেক বড়ো। ‘ফরিদপুর উপজেলার কবিদের ছড়া-গান-কবিতায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এই সংকলন তার ব্যতিক্রম নয়। তিনি যে তৃণমূল মানুষের আপনজন তার অনন্য উদাহরণ এই সংকলনটি। এতে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার থেকে শুরু করে ছোটো বন্ধু তাবিয়া তাসনিম পর্যন্ত ৫৩ জন লেখক তাকে নিয়ে লিখেছেন। আমি সংকলনটির বহুল প্রচার আশা করছি। রহীম শাহ প্রতিটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে থাকে অনেক আত্মত্যাগের ইতিহাস। ১৯৪৭ সালের পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ এক মুহূর্তের জন্যও স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সংগ্রাম আর জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ করে ৩০ লাখ বাঙালির আত্মত্যাগ, দুই লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্ব^র বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বঙ্গবন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ী। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের কাঠামোর সব স্তরে, জাতীয় পতাকায়, জাতীয় সংগীতে, শস্য খেতে দোল খাওয়া ফসলে, নদীর কলতানে, পাখির কুজনে তিনি আছেন এবং থাকবেন। বঙ্গবন্ধুকে কোনো বইয়ের মলাটে আবদ্ধ করা যায় না, তবুও বলতে হয়- ‘ফরিদপুর উপজেলার কবিদের ছড়া-গান-কবিতায় বঙ্গবন্ধু’ সংকলনে তাকে ধারন করার যে চেষ্টা চালিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। মঈন মুরসালিন প্রকাশক